অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। আমি আবার খুবই সময়নিষ্ঠ ছাত্র। তাই পড়াশোনা শুরু করবো বলে বেশ সকাল সকাল (দুপুর বারোটার আধাঘণ্টা আগে) ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। বেশ আয়েশ করে পরোটা, ডিম ভাজি, আলু ভাজি আর ডিমের হালুয়া দিয়ে নাস্তাপর্ব শেষ করে টেবিলে বসলাম।
পরীক্ষা পরশুদিন।
হাতে সময় আছে দুইদিন, মানে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। Analytical Microbiology পরীক্ষা। সিলেবাস খুলে হিসাব মেলাতে বসলাম, কি কি পড়া আছে আর নতুন কি কি পড়তে হবে।
সিলেবাস খুলে চক্ষু চড়কগাছ। কলিজার পানি নাই হয়ে গেল।
মোট ৮টা টপিক এর ভিতর ৪ টা কোনরকমে একবার পড়া আছে আর ৪ টা তো কোনোদিন চোখেও দেখিনাই মনে হয়।
সময় ও তো নাই। ৪৮ ঘণ্টা। আজকে পড়া শুরু করলে তো সাতদিন লাগবে রিডিং পড়ে শেষ করতে। গলা শুকিয়ে কাঠ।
বুকে বাজা শুরু করল ড্রাম। মাথা বনবন। “আমার কি হপে গো” বলে ডাক ছেড়ে চিৎকার করতে যাবো......ঠিক সেই সময়......ঠিক সেই সময় সেই মহীয়সী নারীর লাবণ্যময় চাঁদবদনখানা আমার সামনে ভেসে উঠলো। তার সেই অমূল্য বানীখানাও মনে পড়ে গেল, “৪৮ ঘণ্টার আগেই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে”।
ব্যাস, আমি সাহস ফিরে পেলাম।
আমার পরীক্ষার তো ৪৮ ঘণ্টা বাকি। পুরা আ......ট......চল্লিশ ঘণ্টা...। আর আমি শালায় বেকুবের মত টেনশন করতেছিলাম। হায় পরিতাপ।
পৃথিবীতে কি ৪৮ ঘণ্টার চেয়ে দীর্ঘ সময় আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।