কিছু না। বেশ কিছুক্ষন ধরে ঝিম ধরে বসে আছেন পুলক ভাই । সাথে জুলকারনাইন মেহদী ও । মাঝে মাঝে গেয়ে উঠছেন “ আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী” । আবার ডুব মারেন ভাবের রাজ্যে ।
আমি আর বাবলু এসে প্রায় আধাঘন্টা ধরে বসে আছি কিন্তু পুলক ভাইয়ের কোন সাড়া শব্দ নেই । পুলক ভাই আবার শুরু করলেন “ আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী” । বাবলু খানিকটা রসিকতা করেই বললো “ ভাই , পরের লাইনগুলো কি ভুলে গেছেন ’’
- হারামজাদা, ফাজিলের ফাজিল । বত্রিশটা থাপ্পড় দিয়া একটা গালের দাত ফালায়া দিব । চুপ থাক ।
স্বভাবতই সবাই চুপ হয়ে গেলাম না । আমি একটু আড়াল হয়ে মেহদীকে জিজ্ঞেস করলাম “ কাহিনি কি ? চুপ হয়ে আসিছ কেন?”
-আমি বেশ চিন্তিত হয়ে চিন্তা করছি, পুলক ভাই কি চিন্তা করছেন”
-কি চিন্তা করছেন?
-সেটাই তো চিন্তার বিষয় । কোন কুল কিনারা পাচ্ছি না ।
- কি ভাবছিস । এই গান একটাই ।
তাও আবার একটা লাইন । এই গানকে তো জাতীয় সংগীত বানিয়ে ছাড়ছে ।
- ভাই, ইদানিং পুলক ভাইয়ের গতিবিধি ইদানিং বেশ সন্দেহজনক । হাতে সবসময় একটা পেপার নিয়ে ঘুরেন । উদাস উদাস ভাব ।
-কাহিনি কি ?
-ভাই উনার পেপার কাটিংটা পেলে কিছু একটা বলা যেত । তবে ফেইসবুকে উনার ওয়াল থেকেও কিছু আইডিয়া পাওয়া যায় ।
-ফেইসবুকে আবার কি ?
-ফরেন কানেকশান, ফরেন কানেকশান । জনৈকা ইসাবেলা নামক ডেনিশ সাদা চামড়াওয়ালী রমনীর সাথে পুলক ভাইয়ের ওয়ালপোস্ট চালাচালি হচ্ছে বেশ ।
-মানে ! (বিস্মিত হয়ে) ।
তাহলে সোমা আপু কি পাস্ট টেনস ?
- না । সেটা প্রেজেন্ট পারফেক্ট টেনস ।
- কি, প্রেজেন্ট পারফেক্ট টেনস ! হা হা হা, মানে কি ?
- অতীতে প্রেম হয়েছিলো আর এখন অন্তর জ্বলিতেছে ।
আমি আর বাবলু বেশ কৌতুহলি হয়ে উঠলাম । আমরাও গাইতে শুরু করলাম “ আমরাও চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনি” ।
এটুকু বলেই আসমান ফাটানো বজ্রপাতের মতো গর্জন শোনার অপেক্ষায় পুলক ভাইয়ের দিকে তাকালাম । কিন্তু একি । উনাকে দেখে মনে হচ্ছে বেশ লজ্জা পাচ্ছেন। পুলক ভাইয়ের লাজুক মুখ দেখে কিছুটা আতঙ্কিত হলাম । মনে হচ্ছে পালাতে পারলেই বাচেন ।
আফ্রিকান বাউন্সি কন্ডিশানে ডেল স্টেইনের তোপের মুখে যত বাঘা ব্যাটসম্যানই হোক, আউট সাইড দ্যা অফ স্টাম্প বল ছেড়ে দেয়াই শ্রেয় মনে করে । এই বিব্রতকর অবস্থায় প্রতিরোধের চেয়ে পিচু হটাই উত্তম, এই নীতিতে পুলক ভাই বললেন “তোরা বোস, আমি একটু আসছি। ”
ইতোমধ্যে আমাদের নিয়মিত আড্ডাস্থল কেএফসিতে (কামাল ফুড কর্নার) এসে হাজির জুয়েল । হম্বিতম্বি করে এসেই বললো “ পুলক ভাই ডেনমার্ক চলে যাচ্ছে । আর তোরা আমাকে কিছুই বললি না ।
” একথা শুনে তো আমাদের অষ্টম আসমান থেকে পড়ার আবস্থা । সবাই চুপ হয়ে গেলাম । হঠাৎ বাবলু লাফিয়ে উঠে বললো “ পাইছি কাহিনি” । “কি, কি” ।
বাবলু বললো “যত নষ্টের গোড়া এই আদমশুমারি রিপোর্ট”
-মানে ।
দেখি বাবলুর হাতে পুলক ভাইয়ের সেই পেপার কাটিং । সেখানে লেখা “বর্তমানে বাংলাদেশে নারী অপেক্ষা পুরুষের সংখ্যা দুই লাখ বেশী” । এটুকু পড়েই আমরা হাসতে হাসতে আধমরা (প্রায় খুন হওয়ার পর্যায়ে) । পুলক ভাই কি তবে ধরেই নিয়েছেন,সেই দুইলাখ হতভাগার দলে তিনি পড়ছেন । তাহলে ঘটনা হল এই, আদমশুমারি রিপোর্ট আর জনৈকা ইসাবেলা একই সুত্রে গাঁথা ।
আরও মজার ব্যাপার হল ডেভেলপড এইসব দেশে নাকি বেকার ভাতাও পাওয়া যায় । বাহ বাহ বাহ, ক্যায়া বাত হ্যায় ।
দুর থেকে জুয়েলকে দেখে বোধহয় পুলক ভাই একটু সাহস পেলেন । গুটি পায়ে তিনি সামনে আসতেই জুয়েল বলে উঠলো “ কালাম ভাই, ড্যানিশ কনডেনস মিল্ক দিয়ে একটা স্ট্রঙ্গ ওভার লোড চা দেন তো’’ (স্ট্রঙ্গ ওভার লোড চা মানে দুধ চিনি বেশী হলে স্ট্রঙ্গ আর পুরো কাপ মানে ওভার লোড)। পুলক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে জুয়েল বললো “ ভাই, স্লামালিকুম ।
এই ভাইরে ড্যানিশ কনডেনস মিল্ক দিয়ে একটা সুপার হিট চা দে ’’ । পুলক ভাই কিছুটা শান্ত স্বরে বললেন “একটা ভালো কাজে যাচ্ছি, কোথায় উৎসাহ দিবি, তা না । ফাজিলের দল ’’ ।
-ভাই ফরেন কানেকশানের কাহিনি কি?
-ওসব কিছু না । গুগল কনভার্টার দিয়ে কিছু ওয়ালপোস্ট লিখতাম ডেনিশ ভাষায় ।
এই আর কি ।
- ভাই,ওয়ালপোস্ট চালাচালি কি এখনো চলছে ।
-শোন মজার এক কাহিনি বলি । একদিন এক ছোট ভাই এ প্লাস পাওয়ার পর ও কোন ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাইলো না । আমার বাসায় এসে সে জগতের সকল সিষ্টেম,সকল নেতানেত্রীকে মনখুশিমত গালাগাল করলো ।
আমিও তৎক্ষনাত গুগল কনভার্টার লিখলাম অমুক is bad, তমুক is bad । কিন্তু বাংলায় যা আসলো,ততে আমার চোখ মাথার উপরে । হায়রে আমি ইসাবেলাকে কি সব ঠিক লিখি ।
সবাই চুপ হয়ে গেলাম । পুলক ভাই চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলতে শুরু করলেন “ জুয়েল, তুই তো ভালোই কবিতা লিখিস ।
লিখে যা । আমি তো ওসব পারিনা । তবুও ভাষা নিয়ে রিসার্চ করার সিদ্বান্ত নিলাম । পাবলিক আমাদের এত মধুর ভাষাটারে তামা তামা বানাই ফেলছে ’’ ।
জুয়েল কিছু বলার আগে বাবলু বললো “ ভাই, যুগান্তকারী সিদ্বান্ত ।
কিন্তু ভাই কবিতার মতো ফালতু জিনিষ কেন ’’ ।
পুলক ভাই বললেন “ কবিতার সমস্যা কি ?’’
- ভাই , এই কবিতার জন্য স্কুল লাইফে যে কি মাইরটা না খাইছি । আমি বোধহয় ক্লাশ টু তে । কি একটা কবিতা লিখতে বলেছিলো । লিখলাম, সব ঠিক ।
কিন্তু কবির নামের জায়গায় আমি আমার নাম লিখে দিলাম । দুইটা কারন, এক , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বানান বেশ কষ্টের, দুই, আমি ভাবছিলাম নাম তো নামই । বইতে যে লিখেছে তার নাম লিখেতে হবে এমন তো কথা নাই । আমি নিজের নাম লিখেছিলাম, কবির নামের জায়গায় ।
-বাহ, বাহ ।
দারুন দারুন । শুধু কি এই । নাকি কবিতা নামের কেউ………….”
-তখন ক্লাশ ফোরে। কোন হারামজাদা একটা কবিতা লিখেছে আর স্যার আমারে সে কি মাইর”
- কি কবিতা ?
-‘‘মুখে তার হাসি নাই
ভাবসাবে হাবলু
তারপরও নাবিলারে
ভালোবাসে বাবলু”
জুয়েল হুট করেই বলে দিলো “ এই ছড়া আমি লিখি নাই” । বলামাত্রই বাবলু জুয়েলের কানের নিচে হস্তরেখাসমেত পাঁচ আঙ্গুল বসিয়ে দিলো ।
পুলক ভাই খানিকটা রাগত্স্বরে বললেন “কি শুরু করলি তোরা । থাম থাম । ” এটুকু বলে উনি নিজেও হাসতে শুরু করলেন । হাসি থামিয়ে বললেন “জুয়েল দারুন ছড়া । ভাষার শুদ্বতা রক্ষার দায়িত্ব কবিদের ।
তাই তোকে চালিয়ে যেতে বলেছি । এখনতো ভাষা নিয়ে কত এক্সপেরিমেন্ট শুরু হয়েছে । আরজে ভাসা, ব্লগের কতা, ট্রুথ কমিউনিকেশনের জগা খিচুড়ি আরও কত কি । এসব স্রোতে গা ভাসাবি না । ”
-ভাই, ভাষা তো বহতা নদীর মতো ।
ভাষাকে কি ভাষার মতো চলতে দেয়া উচিত না ।
- উচিত । অবশ্যই উচিত । কিন্তু ভাসা ইজ ওয়ান কাইন্ড আব বতা নদী, এই টাইপ কথা বলা তো সেই নদীতে বাঁধ দেয়ার মতো ।
-ভাই, আপনার আদেশ শিরোধার্য ।
-শাহরিয়ার, মেহদী বাবলু, তোদের বলি । বানরামি কমা । বান্দরের হাড্ডি । তোদের সবাইকে চিঠি দিব । জবাব দেয়া বাধ্যতামুলক।
পুলক ভাই এর কিছুদিন পর ডেনমার্ক চলে গেলেন । সত্যিই তিনি ভাষা বিষয়ে থিসিস করা শুরু করলেন । আমাদের নিয়মিত চিঠি দিতেন । উনার চিঠির ভাষা এতই দুর্বোধ্য যে পাঠোদ্বার করা অনেকাংশে তা অসম্ভব । কিছু মজার ঘটনাও আছে উনার চিঠিতে ।
যেমন একবার লিখেছিলেন “ কে বলে আদি যুগের মানুষ ছিলো সহজ সরল । প্রাচ্য ভাষা কোর্সের একটা পর্যায়ে আমাদের চর্যাপদ পড়তে হচ্ছে । ব্যাটা লুইপা কি লিখছে! নাম শুনে মরটিন বিজ্ঞাপনের মশার সর্দার মনে করিস না । উনি চর্যাপদের প্রধান কবিদের একজন। ………..”।
এর কিছুদিন পর থেকে যে চিঠি উনি দিতেন কিংবা ফেইসবুকে যে স্টাটাস দিতেন সেগুলো ঠিক বুকের বাম পাশে এসে ধড়াফ করে লাগতো । একদিন খুব সকালে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল (এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। সকালে এলার্ম বাজলে সেটা বন্ধ করে আবার ঘুমিয়েছিলাম । এলার্ম বন্ধ করার পর যে ঘুমটা হয় সেটাকেই বলে সুখনিদ্রা । তাই বিরক্ত হয়ে)“হ্যালো কে”
ওদিকে পুলক ভাই “ কে পরে হবে ।
কেএফসি চলে আয়”
- জি ভাই, আসছি ।
- কিরে ঘুম ভাঙ্গে নাই । আমি পুলক। সারপ্রাইজ দেব বলে ফিরে আসার কথা বলিনি । এখন তোর কান্ড দেখে নিজেই সারপ্রাইজড ।
- ভাই আপনার সবশেষ চিঠি পেয়ে বুঝে গেছিলাম, ওখানে আপনার দিন শেষ । আমি আসছি ।
বেশ অনেকদিন পর আবার সবাই একসাথে। সবাই বেশ জানতে চাইলাম ওখানকার কথা। পুলক ভাই বললেন “ ওখানে গিয়ে একটা পরীক্ষা দিলাম ।
স্বাভাবিকভাবেই ফেইল মারলাম । ওরা বললো “সরি । আপনাকে দিয়ে রিসার্চ হবেনা । ”
-ভাই, তাহলে কি আপনারে আমরা রিসার্চ ফেলু পুলক ভাই ডাকতে পারি । হা হা হা……………
-জুয়েল, কিরে এত চুপচাপ ।
কথা বলছিস না যে ।
- ভাই একটা ছড়া ভাবছি ।
-এরশাদ এরশাদ ।
- “লাইফ বুঝি হল এবার হেল
পুলক ভাই রিসার্চেও ফেল
বাবা তারে ঝাড়লো ভীষন, আর বকেছে খালা………
সবাই সমস্বরে বলে উঠলো “ অছাম শালা, অছাম শালা, অছাম শালা”
পাদটিকা :
পুলক ভাইয়ের একটি চিঠি নিচে তুলে দিলাম । আনকাট, আনসেন্সরড ।
প্রিয় শাহরিয়ার,
আদর দিয়ে দিয়ে তোদের বাদর বানিয়ে ফেলেছি । তারপরও শুরুতে সম্বোধন করতে হয় বলে প্রিয় লেখা । শুভেচ্ছা নিস । নিলে নে না নিলে নাই । জোর করব না।
ইদানিং বেশ ইতিহাস লিখছিস । আমার নামে যা তা লেখা শুরু করেছিস । ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে তাতে আবার নানা রকম মশলা দিচ্ছিস । আমাকে অপমান করার বৃথা চেষ্টা নিবি না । আরে মান থাকলেই তো অপমানের কথা আসবে ।
যাই হোক, যে বিষয়টা তোকে বলতে চাই। ইতিহাস তোর অনেক প্রিয় একটা বিষয়, আমারও। একটা ইতিহাস তোকে জানাই । ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমনের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা বটগাছ কেটে ফেলেছিলো আর শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলেছিলো। শ্রী জগদীশচন্দ্র বসু অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন “গাছেরও জীবন আছে” ।
এই জীবন্ত গাছ যদি দাড়িয়ে থাকতো আর তাদের ভেঙচি কেটে বলতো আমিও এই মাটির সন্তান। আমিও মাথা নত করতে পারিনা। ওই বটবৃক্ষ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী, এই ছিলো তার অপরাধ। আর শহীদ মিনারের অপরাধ তো আরো মারাত্মক । এটি বাঙ্গালীর জাগরনের প্রতীক।
এটি দেখলেই হয়তো তাদের মনে পড়ে যেত, কয়েদে আজম মন্ঞে দাড়িয়ে আর সবার দৃষ্টি জনৈক আবদুল মতিনের দিকে । হয়তো মনে পড়ে যেত,রফিক জব্বার বরকত আরো অনেকের কথা যারা রক্ত দিয়েছে কিন্তু পথ ছাড়েনী। ২১শে ফেব্রুয়ারিতে সবাই জড়ো হয় শুধু শহীদদের স্মরন করতেই নয়,স্পর্ধা দেখাতে যে আমরা কখনো মাথা নত করিনী। আমি মরতে রাজী কিন্তু আমার আমিত্ব ছাড়তে পারবোনা।
আজ২১ তারিখ।
দেশে থাকলে শহীদ মিনারে যেতাম। ফুল দিতাম,স্মরন করতাম শহীদদের। গান গাইতাম, জাগরনের গান। আমার ডেক্সটপে একটা ফোল্ডার আছে,নাম “ডাক”। এর প্রথম গানটা হল “ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়” ।
আহ কি মধুর কথা, কি মধুর সুর। এসব গান আমাকে একটা বিশেষ ডাক দেয়। ফোল্ডারের শেষ গানটা শুনলে ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবি। শেষ গান “লাল পাহাড়ি দেশে যা, রাঙ্গামাটির দেশে যা,এখানে তোরে মানাইছেনারে, এক্কেবারে মানাইছেনারে” । আমার দেশ আমাকে টানছে।
যে কোনো দিন ফিরে আসতে পারি। । আফসোস, ইতিহাসের পাতায় দেশের প্রতি আমার টানের কথা কোনদিনও লেখা থাকবেনা।
জুয়েল, বাবলু,মেহদী,রাফিদের আমার শুভেচ্ছা জানাবি। ভালো থাকিস, সুখে থাকিস,যেন ভূতে কিলায় ।
ইতি
পুলক ভাই (মতান্তরে মহামতি পুলক আহচান) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।