ভুত মোর নাম.. আছর দেয়া যার কাম..
ফেসবুকে ব্যক্তিগত স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনাকারী শিক্ষক মুহাম্মদ রুহুল আমীন খন্দকারকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এরপরই প্রধানমন্ত্রীর হায়াত ৩ মাস বেড়ে যায় এবং রুহুল আমিনের হায়াত ৬ মাস কমে যায়। বাকি ৩ মাস হাইকোর্টের বিচারকরা ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩ মাস বেশি বাঁচার বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত বলেন, “সবই উপরওয়ালার ইচ্ছা, আমরাতো উছিলা মাত্র।
”
এর আগে একনেকের সভায় নতুন ৩ মাসের হায়াতের অনুমোদন দেয়া হয় এবং অনুমোদনের কপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠালে সেখান থেকে সুপারিশের কপি নিয়ে যাওয়া হয় রুহুল আমিনের কাছে। তার স্বাক্ষর নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠালে আজ ৩ মাস হায়াত অবমুক্ত করার পক্ষে রায় দেয়া হয়।
রায় দেয়ার পর বাড়তি ৩ মাস হায়াতকে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে গণভবনে নিয়ে আসে। এসময় রাস্তার দু’পাশে সাধারণ মানুষ তাদের গায়ের জামা উড়িয়ে ৩ মাস হায়াতকে স্বাগতম জানায়। গণভবনে নিয়ে আসার পর হায়াতকে গোসল করিয়ে মুড়ি খেতে দেয়া হয়।
বিকেলে বাড়তি এ হায়াত নিয়ে ঘুরতে বের হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ঘটনার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ কয়েকজনকে অনুরোধ করেছেন ফেসবুকে তার মৃত্যু কামনা করে স্টাটাস দিতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ রাজি হয়নি। বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিষয়টিকে চক্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এ গণবিরোধী হায়াত আমার লাগবে না।
”তিনি আরো বলেন এতো বছর রাজাকার ও ভাংলা ভাইকে মগজ সরি মাদক আবারো চরি মদদ দিয়ে কি করলাম আজ গোলাম হজমকে এভাবে ধরে নিতে পারে না। প্রয়োজনে আমার পুরা হায়াতের বিনিময় হলেও তাকে দীর্ঘজীবি করে ছড়বো। আগে হাটু ব্যাথা সারুক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।