আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাবিতে যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ : মানববন্ধন

কম্প্রমাইজ প্রথম ধাপ দুর্নীতির। তাই নো কম্প্রমাইজ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই। আজন্ম যোদ্ধা সংসপ্তক আমি। রাবিতে যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ : মানববন্ধন রাবি প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির শিকারের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী নগরীর আলুপট্টি এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এ মানববন্ধনে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ছাত্রীর শিক্ষাজীবনের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। সূত্রে জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এ ছাত্রী বিভাগের প্রভাষক সাইদুর রশিদ সুমনের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ করার লিখিত অভিযোগ দেন সভাপতি অধ্যাপক নীলুফার সুলতানার কাছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে বৃহস্পতিবার একাডেমিক কমিটির বৈঠক আহ্বান করে। বিভাগীয় সভাপতি ও কয়েক জন শিক্ষকের ঘোর বিরোধিতা ও অনাগ্রহের কারণে সাইদুর রশিদ সুমন নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন আলোচনাই হয়নি।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মহিলা পরিষদ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে ভিসিকে স্মারকলিপি দেয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোন উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে ওই ছাত্রীর ক্যারিয়ার ধ্বংসের ভয় দেখিয়ে বিভাগীয় সভাপতি নীলুফার সুলতানাসহ কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রথম বর্ষে ৩.৩৯ ফলাফল নিয়ে সে প্রথম হয়। এরপর ভালো ফলাফলের প্রত্যাশায় দ্বিতীয় বর্ষের শুরু থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী হয়।

কিন্তু বিভাগের ওই শিক্ষক তার বিবাহিত জীবনের বাইরে তার সঙ্গে আলাদা সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দেন এবং ভালো রেজাল্ট করে দেয়ার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিভাবে ভালো রেজাল্ট করি তা তিনি দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ফলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সে লিখিতভাবে বিভাগের সভাপতিকে জানান।

কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুষ্ঠু বিচার পাইনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিভাগের সভাপতি প্রফেসর নীলুফার সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.