একটি রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই আদেশ দিয়ে বলেছে, গুলি করার ঘটনার বৈধতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আদালতের এসব প্রতিবেদন প্রয়োজন।
আদেশে বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন অনুসারে গুলি করার আগে-পরে যেসব প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে হয়, সেসব তলব করা হয়।
এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার ও রাজশাহীর মতিহার থানার ওসিকে এ সব প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলা হয়।
আদালত একইসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গত ২ ফেব্রুয়ারি কোন কর্তৃত্বে পুলিশ গুলি করেছে, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে।
পাশাপাশি বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন অনুসারে গুলি করার আগে ও পরে যে সব প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে দিতে হয়, সেগুলো জমা দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার ও রাজশাহীর মতিহার থানার ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স চালু ও ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনে চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলিতে আহত হয় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।