প্রকৃত আলোয় আলোকিত হউক সবার হৃদয়।
কচু আমাদের দেশের অতি পরিচিত ও উপকারী একটি গাছ। কচুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ ও আয়রন। কচু আমাদেরকে রাতকানা রোগের হাত হতে রক্ষা করে। দেহের আয়রন ঘাটতি পূরণ করে।
পুষ্টিবিদগণ আরও অনেক উপকারীতার কথা হয়তো বলতে পারবেন, কিন্তু আমার উদ্দেশ্য কচুর উপকারীতা বয়ান করা নয়। আমি আজ কচুগাছের একটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
হয়তো ভাবছেন এত গাছ থাকতে কচু গাছের বয়ান কেন?
আজ সকালে ব্লগে এসে মানবজমিন পত্রিকার একটি রিপোর্ট পড়ি এবং তাতে একটি মন্তব্য করার চেষ্টা করি। কিন্তু নেটসংক্রান্ত জটিলতায় মন্তব্যটি করতে পারিনি।
আমার এক আত্মীয়ের বাসার সামনে একটি ডোবার পাড় ঘেষে আমি কিছু পানি কচু লাগিয়েছিলাম।
দুই বছর যাবৎ সেগুলো হতে লতি, ডগা, পাতা বেশ খাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি ওদের বাড়িওয়ালা ডোবাটি বালি দিয়ে ভরাট করেন। আমি বেশ হতাশ হই। এবং ভাবি, যদি আমাকে জানাতেন তবে কিছু গাছ অন্যত্র লাগাতে পারতাম। কিছুদিন পর দেখি আমার হতাশাকে দূর করে দিয়ে উশর বালুর নিরশ বুক চিরে দু'একটি কচু গাছের কচি পাতা বাতাসে দোল খাচ্ছে আর নিজেদের বিজয় ঘোষণা করছে।
খুশি হলাম এবং ভাবলাম কোন শক্তির বলে এরা টন টন বালির নিচে চাপা পড়েও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং সময়ের ব্যবধানে সে অস্তিত্ব জানান দিতে পেরেছে? একটি জবাবও পেলাম। আসলে এ গাছগুলো মৌলবাদি গাছ। মূল থেকেই এদের জন্ম। তাই কেউ চাইলেই অতি সহজে এদের নির্মূল করতে পারবে না।
আমাদের এই দেশেও একটি দলকে নির্মূল করার জন্য অনেক দল, কমিটি, পরিষদ গঠন করা হয়েছে।
এসবের পরিণতি আমরা কী দেখেছি? যাদের নির্মূল প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল তারা আরও জোরালোভাবে নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করছে আর নির্মূল কমিটিগুলো বালির মতোই নির্মল পানির স্রোতে ভেসে গেছে।
নিউজটি এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।