আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চেয়ারম্যানের কিলিকবাজি

https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 * * * আফনেগো দোয়ায় এই ছুডু জীবনে কিলিকবাজি কম করি নাইক্কা মাশাআল্লাহ। আইজকা ইস্টোরি বয়ান দিমু কেমতে মায়ের লগে মীর জাফরের লাহান কিলিকবাজি করছিলাম। খাদক আর লুল ভায়েরা আউগায়া সিট বুকিং লন। হেই টাইমে আমি কেলাস ৪ এ পড়ি। আব্বার ডায়াবেটিস ধরা পড়লো আর আমার আম্মাজান ও জেলার পদে নিয়োগ পাইলো মাইনে আব্বার খাওন দাওনের উফরে ১৪৪ ধারা তো জারি হইলোই আর লগে ফিরি হিসাবে আরো কয়েক ধারা ।

পরথম কয়েকদিন দেখলাম বাপে বই দেইখা পারলে সোনা রুপার মাপের লাহান ওজন কইরা ইটিং করে। ডাইল খায় সোয়া ১ গেলাস,ভাত খায় পৌনে আধা বাটি আরো কতো ইচিংবচিং । মাগার কয়দিন যাইতেই দেহি বাপে গিরগিটির লাহান রং পাল্টাইয়ালছে । আম্মা যাই দেয় খাওনের পরে পোয়াতি বেডিগো তেতুলের লাহান আরেক মুঠ বেশি খাইবার চায়। ক্ষিদায় বাপজানের মুখখান কারবালার লাহান হুগায়া গেলেও আম্মাজান সিকো ফাইভ ঘড়ি না দেইখা বে টাইমে খাওন দেয়না।

যার ফলাফল হিসাবে এক রাইতে খাটে শুইয়া জনাব আব্বা সন অফ মাই ডিয়ার দাদা র লগে আমার দ্বি পক্ষিয় খাদ্য চুক্তি সম্পন্ন অইলো। ইতিহাসে যা "বাপ বেটা ফুড চুক্তি" নামে বেফুক অপরিচিত। এই চুক্তির আওতায় ১ খাওনের সময় চামে চিকনে আব্বার পেলেটে ভাতের ব্যালেন্স ট্রান্সফার করিতে হইবে। ২ রুটি হইলে আমার নাম কইরা আইনা আব্বার পেলেটে চালান দিতে হইবে, ৩ বিকেল বেলার বিভিন্ন নাস্তা আব্বার কাছে বাটি চালান দিতে হইবে। বিনিময়ে আমি চাহিবা মাত্র বাপে ডেইলি ২ খান কইরা চকোলেট দিতে বাধ্য থাকিবে।

ফলাফল হিসাবে জোতদার গো লাহান বাপের কাছ থাইকা ২ খান চলকেট আদায় কইরা ১ খান আমি খাইতাম আর স্পেয়ার কপি খান নিচতলার সোনিয়া রে দিতাম। এমুন কইরা কয়দিন চললো। একদিন সোনিয়া আমার মায়ের কাছে আয়া কয় আন্টি নাদিম না মেলা বালা। আমারে ডেইলি চলকেট গিফোট দেয়। হেইদিন আমি বাইরে থাইকা আইতেই মায়ে আমারে জোকের লাহান যাইত্যা ধরলো কয় তুই চলকেট পাস কই? আমি নাদান ,মাছুম ছাওয়াল বাপের সাইড ফরগেট খাইয়া সব ফরফরাইয়া কয়া দিলাম।

আর যায় কই মায়ে বাপে শুরু অয়া গেলো টিপু সুলতান সিরিজের লাহান তলোয়ার ফাইট। চামের উফরে আমি বামে সইরা গেলাম। পিঠ বাচানি ফরযে আইন। রাইতের বেলায় বাপে দেহি ফুটকা মাছের ন্যায় ফুইল্লা রইছে,আমি অস্তে অস্তে গিয়া বাপের ঠেং টিপন শুরু করলাম। বাপে কয় লাগতো না,তুই একটা মীর জাফর,রাজবল্লভ।

মনে মনে কইলাম আহারে মায়ের লগে ইস্টিং ডিস্টিং ফাইট দিয়া বাপের মাতাডা গেছে,আরে অতো বড়ো একখান গরু কোরবান দিয়া আমার আকিকা দিয়া নাম রাখলা, আর অহনে কও মীর জাফর? আচপুচ অল্প বয়সে বাপে মেমোরি লস খাইলো। যাউকগা দেহি বাপের মনের গলনাংক বেফুক। কয় তুই আমার পোলা অয়া আমার নামে ইসকেন্ডাল ছড়াইছোস। অতোদিন চলকেট দিয়া আমি সাপ পুষছি,আমি কই সাপ না আব্বা চেয়ারম্যান পুষছো। বাপে যেমতে ভিলেন জাম্বুর লাহান চাইলো নগদে সোয়া দেড় হাত তফাতে গেলাম।

আমিও সেয়ানা কম না,রান্দা ঘরতে গিয়া কয়ডা বিস্কুট আর ১ গেলাস দুধ দিতেই বাপের মুখ খান ১০০ ওয়াটের ফিলিপস বাত্তির লাহান অয়া গেলো। খাওনের পরে বাপে কয় কিরে চুক্তি নবায়ন করবি নাহি? আমিও দিলদারের লাহান দাত কেলাইয়া কইলাম "আবার জিগস?" এর পর থাইকা আমি মাঝে মইদ্যে বাপের লগে বাজারে গিয়া হোটেলে খাইতাম। আর বাসায় ফিইর‌্যা মায়ের কিরা কছম কাইট্টা কইতাম জানো আব্বা না বাজারে গিয়া পান ছাড়া কুছতা খায় না। আম্মাও সিনেমার সোজা সিধা শাবানার লাহান বিশ্বাস যাইতো। একদিন আম্মা গেছে শপিং এ চামের উফরে আমরা বাপ বেটায় মিইল্লা বইয়া গেলাম পিয়াজু বানাইতে।

মাতবরি কইরা তেল গরম অইছে কিনা দেহনের লাইগা যেইনা উকটু পানি ছিডা দিছি,বোলতার চাকের লাহান তেলের ছিডা আমার শইল্যে ব্রাশ ফায়ার করলো। আর যায় কই আম্মাগো আব্বাগো কইয়া চিক্কুর ফাইরা আমি শেষ। বাপে তো ডরায়া মরায়া আমারে লইয়া বাজারের ডাক্তারের কাছে ছুটলো। ডাক্তার হালায় দেইখা কয় তেমন কিছু না,মলম দিয়া দিলাম বালা অয়া যাইবো। আর আমার দিকে চায়া যেমতে মিচলা ভেটকি দিলো মনে অয় যেন আমি হের কাছে ষান্ডার তেল কিনতাম গেছি ,মনে কইষা কয়ডা গালি দিলাম হমুনদির নাতিরে।

থিনকিং করছিলাম কয়দিন ইস্কুল মিস দিমু না হরুরু পুতে দিলো সব মাডি কইরা। বাপে আমার মন খারাপ দেইখা কয় কিরে হোটেলে মোগলাই খাবি গরুর ঝোল দিয়া ? নয়া কায়ার বাইচ্চার লাহান মুখটা মেলাইয়া চি চি কইরা কইলাম খামু,আর সিংগারাও খাওয়ান লাগবো কইলাম নাইলে আম্মার তে কয়া দিমু। খাইয়া দাইয়া যেইনা বাইর অইছি হোটেল থন দেহি মায়ে আমার সখি গো লইয়া হাতে শপিং এর ব্যাগ সমেত মালিকা হামিরার লাহান মুর্তি লইয়া মনে খাড়ান। কয় আইজকা পাইছি ২ চোরেরে এক লগে। পরের বাসায় আয়া কি অইছিলো আর জিগায়েন না পিলিজ লাগে।

হেগো পাটাপোতার মাঝে পইরা আফনেগো অবলা এই চেয়ারম্যানের ভালোমন্দ খাওন দাওন ডা যে বাশ মারা গেছিলো হেইডা আর কওনের জরুরত নাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.