https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 ডিয়ার লুল ব্রাদার্স এন্ড কোং, মি আই চেয়ারম্যান ব্যাক এগেইন উইথ লুলিস্টোরি এন্ড ভংচং । যারা পরথম পর্ব পড়েন নাই এখনি এইখানে কিলিক মারিয়া অশেষ ফায়দা হাসিল করেন
হসপিটাল কাহিনির পরে নিশি তো আমার লগে কথা তো কয় ই না বরং সামনা সামনি পড়লে এমন ভাব ধরে যেনো আমি হনুলুলুর বান্দর প্রজাতির বংশধর মনের দুক্কে গয়া কাশি বা হিমালয় যামুগা ভাবতাছিলাম। জাতির এই দুক্কের দিনে আউগায়া আসলো আমার সেই পুরানা দোস্ত জলিল
কয় মুখটারে গুয়াতেমালার ওড়াংওটাং এর লাহান কৈরা রাখছোস কেন ?
কৈলাম হমুন্দির নাতি নিশি যে আমারে ছাইড়া গেছে গা হেই খেয়াল আছে ? তোর দেহি জেনারেল নলেজ পুরাই হাডুর তলে । আফচুস বন্দুর পিরিতের ইস্টোরিই তোর ইয়াদে থাকে না
জইল্যা কয় ভুলে মিসটেক খাইছি এইবার ক কি করন লাগবো ?
কৈলাম নিশি তো আমারে দেখলেই ১৮০ ডিগ্রি এবাউট টার্ন কৈরা উল্টাদিকে গিয়ার মারে
জইল্যা তাহার সেই বিখ্যাত ৩৩ খান দাঁত ( দাঁত তো না যেনো চাইনিজ কুড়াল) বাইর কৈরা কৈলো ইভনিং টাইমে লইস তোরে বোতল বাবার দরবারে লৈয়া যামুনে । নগদে জইল্যার কানশা বরাবর ঠাডায়া একটা বন মারলাম।
কৈলাম বেটা আমি ভূইয়া বংশের পোলা ,বোতল ধরি না । বেশরিয়তি কামে আমি নাই।
জইল্যা দ্বিগুন জোরে আমারে একটা বন দিয়া কৈলো ওরে বেক্কলের বাটখারা এই বোতল সেই বোতল না। এই বাবা বোতলে পানি পড়া দেয় । আমিও আন্ডারস্ট্যান্ড খাইয়া ৩২ দন্ত বিকশিত কৈরা টেংরা মাছের লাহান একটা হাসি দিলাম
সন্ধার সময় জইল্যারে লৈয়া গেলাম বাবার আস্তানায়।
বাবার আস্তানায় দেহি খালি বোতল আর বোতল। ডাইনে ,বামে পিছে ,সামনে দেখি খালি বোতল। জিগাইলাম এইডা কি বাবার আস্তানা নাকি ভাংগারির দোকান ? বাবায় তো মনে লয় বোতল টুকানির পার্ট টাইম জব করে
জইল্যা কয় সাবধান বাবার সামনে কৈলাম এইডি কৈস না ,উফায় নাই।
বাবার রুমে ঢুইকা দেহি বাবায় টিভিতে খবর দেখতাছে। বুঝলাম তিনি মডার্ন পীর।
আমাগোরে দেইখাই কয় বুঝলা দেশ টা রসাতলে যাইতাছে
আমরাও লগে লগে ঘাড় লাড়াইয়া সায় দিলাম,না দিয়া উপায় কি সবার হাতে পাঠ্য বইয়ের জায়গায় দেখি রসময় এর বই
বাবায় কয় খুইল্যা কও ,এক ফাল দিয়া সোয়া দুই হাত পিছায়া গেলাম,ওয়াজের সুরে চিক্কুর মাইরা কৈলাম "ঐ জইল্যা তুই আমারে কই লৈয়া আইলি?" মেলা দরগাহ মাজারে গেছি,ঐখানে জুতা খুললেই চলে আর বোতল বুইড়া আমার আব্রু খুইল্যা ফেলতে কয় ?
বাবায় হুংকার দিয়া কয় ওরে নালায়েক নচ্ছাড় আমি বাছা খাই,তোরে বিস্তারিত খুইলা কৈতে কৈছি
সকাল বেলা মেসের টয়লেটের সামনে লাইনের ১ লমবর সিরিয়াল পাইলে যেমন শান্তি লাগে সেইরাম একটা পুলক অনুভব করলাম
কৈলাম বাবা আমি ছ্যাকা খাইছি
বাবায় কয় তাইলে এইখানে কি ? এইডা কি হাকিমি দাওয়াখানা ? বাড়িত গিয়া মলম মাইখা শুইয়া থাক
জইল্যা কয় বাবা এই ছ্যাকা সেই ছ্যাকা না ,দোস্তে আমার দিওয়ানা হৈছে
বাবায় কতোক্ষন হুম হাম বক্কর চক্কর ফু দিয়া এক বোতল পানি ধরায়া দিলো কৈলো এইডা মাইয়ারে খাওয়াবি তাইলেই কাম সারবো।
পরেরদিন কলেজে টিফিন টাইমে জইল্যারে কৈলাম নিশির পানির লগে এই পানি কেরান্চি ফিটিং দিবি ,জইল্যা করলো কি পানির বোতল লইয়া গিয়া যেইনা বোতল বদল করতে গেছে মাইয়া শুকুইন্যা চোখ দিয়া দেইখ্যালছে
কয় এই জলিল আমার বোতল পাল্টাতে চাইছিলে কেনো ?
জইল্যা সুলেমানি হাসি দিয়া কৈলো না তুমার টা আমি খাই আমার টা তুমি খাও
মাইয়া কয় কেনো তুমি কি আমার সই লাগো নাকি ? নিশ্চয় এর মধ্যে একটা কেরফা আছে,এই পানি তুমি খাও। জইল্যা যতোই কল্লা নাড়ে মাইয়া তো ছাড়ে না। আমি জইল্যারে ইশারা দিলাম খাইছ নারে হমুন্দির নাতি। দোস্তানা ছবির লায়ক হওনের খায়েশ আমার নাই।
কিয়ের কি জইল্যা ডরাইয়া পুরা বোতল পানি খাইয়া ফালাইলো
পরের দিন দেহি জইল্যা আমার লগে আইসা বইলো আর হুদাই খাজুরা আলাপ করে ,কয় দোস্ত আমার লগে বেড়াইতে যাবি ,ল আইজকা বড়িবাধ ঘুইরা আসি
বুঝলাম পানি পড়ার একশন শুরু হইয়া গেছে,দাতমুখ খিচ্চা কৈলাম আমার লগে যদি বইতে আইছস উস্টা দিয়া দেড় হাত দূরে নিয়া ফালামু তোর গতি গতিবিধি সন্দেহজনক এরপরে জইল্যারে সপ্তাহ খানেক আর লগে বইতে দেই নাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।