আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চেয়ারম্যানের ফাউ দাওয়াত খাওয়া

https://www.facebook.com/chairmanzerozero7 কোরবানির গোস্ত খাইয়া পেট পোয়াতি বেডির মতোন করে ফেলা খাদক আর লুল ভাইয়েরা আউগায়া বহেন। বিকজ চেয়ারম্যান ইজ ব্যাক তখন কলেজে পড়ি। মাসের শেষের দিকে হোটেলে গিয়া ভালো মন্দ খামু তো দূরের কথা পকেটে বুট খাওনের ও টেকা নাই কিন্তু অমল বোসের এই পেটতো মানেনা তাই বৈসা গেলাম ছক কষতে কারে আইক্কাওয়ালা বাশ দেওয়া যায়। লেকিন গুগল সার্চ মাইরাও কুনু সহৃদয়বান বেক্কল দোস্ত পাইলাম না হঠাৎ মাথায় রিমাইন্ডার আইলো হোস্টেলের পাশের কমিউনিটি সেন্টারে একটা অপারেশন চালাইলে কেমুন হয় মাশাল্লাহ দিনটাও ছিলো শুভ মানে শুক্কুরবার ,আর পায় কেডা ? চামের উফরে একটা বিয়ার পার্টি দেইখা ২ দোস্তে বর পক্ষের লগে এন্ট্রি মারলাম ফিতা কাটনের সময় দেখি বাংলা সিনেমার ফাইট শুরু হৈয়া গেছে। চামের উফরে বর রে গিয়া কৈলাম ভাইজান আমি মাইয়া পক্ষের ,আমারে হালকা মাল পানি ছাড়েন আমি ব্যাবস্থা করতাছি।

ভাইয়ে ও মুচকি হাইসা হাতে ৫০০ ধরায়া দিলো আমিও এক মন ওজনের তুলার লাহান বডি লইয়া উইড়া গিয়া মাইয়া পক্ষের হাত থাইকা কাঁচি লৈয়া দুলা মিয়ারে ধরায়া দিলাম আর দুলা মিয়া ফিতার খতনা কৈরা আমারে বোগলদাবা কৈরা ভিতরে হান্দাইয়া গেলো ভিতরে ঢুইকা দুলা মিয়া তো আর আমারে ছারে না। কয় ভাই তুমি কেডা গো ? আমি দাত ৩৩ খান বাইর কৈরা কৈলাম আমি আফনের শালা হই আফার চাচতো ভাই। ভাইয়ে কয় আরে শালা বাবু তুমি না থাকলে তো আজকে আমার ১০০০০ গেছিলো । হুইনা গর্ভবতী বেডিগো লাহান মাথাডা চক্কর মাইরা উঠলো চোখ মুখ শুকায়া কৈলাম ১০০০০ এর কাম ৫০০ তে কৈরা দিছি আমারে কিছু বকশিশ দিতেন না? বেক্কল বেডায় খাড়ার উফরে হাতে আরো ৩ হাজার ধরায়া দিলো আর ঐদিকে মাইয়াগো অন্দর মহলে আমারে লৈয়া কানাঘুষা শুরু হয়া গেছে। পারলে গুন্ডা পাঠায়া আমারে জামাইয়ের সামনে থাইকা তুইলা নিয়া যায় এমন দশা।

বুঝলাম ফিল্ডের অবস্থা সুবিধার না। চামের উফরে জামাইরে কৈলাম ভাই আমি একটু এক লমবর কাম সাইরা আসি। কৈয়া উইঠা আইসা দেখি আমার দোস্তে এক টেবিলে বৈয়া একলা একলা আমারে থুইয়া হমানে রোস্ট চিবাইতাছে কৈলাম আমারে থু্ইয়া তো খাইতে পারলি ? হালায় কয় কেন তুমি কি লায়ক রাজ্জাক আর আমি তুমার বউ শাবানা যে না খাইয়া পতির লাইগা ওয়েট করুম কৈলাম ওরে মালিকা হামিরার তালতো ভাই আর কতো খাবি ? খাওনের পরে ডেজার্ট হিসাবে মাইর খাইতে না চাইলে জলদি ঠ্যাং দুইডা কান্দে লৈয়া খিচ্চা দৌড় দে। বদের বেটা নাখোশ হৈয়া হাতে একটা ফিরনির কাপ লৈয়া খাইতে খাইতে বিরস বদনে আমারে ফলো করলো। দোস্তরে লৈয়া বাইরে আইতেই দেহি পাশের রুমে আরেক পার্টি হৈতাছে ২ হাত তুইলা কৈলাম হে মাবুদ হে পরওয়ার দেগার আইজকা শুক্কুরবারের দিন জুম্মা না পড়লেও তুমি এই বান্দার দিকে ঠিক ই রহমতের মুখ তুইলা চাইছো মি আই লাব ইউ খাজা বাবার নাম লৈয়া ঢুইকা পড়লাম ঐ হলরুমে ।

দোস্তে খালি পান্জাবি ধৈরা টানে কয় ল জাইগা। কৈষা একটা বন দিয়া কৈলাম শালি নিজে তো ঠিক ই গোডাউন ফুল কৈরা খাইছোস আর আমি এহনো এক গেলাস শরবৎ ও পাইলাম না হমুন্দির নাতি দাত কেলায়া কয় কেন ৩৫০০ টেকা যে পাইছোস কৈলাম ঐটা তোর বাপের বিয়াতে যৌতুক দিমু শালা বেক্কলের বাটখারা। কথা না বাড়ায়া এক টেবিলে বৈয়া পড়। বৈসাই হমানে রোস্ট ,রেজালা সিস্টেম দেয়া শুরু করলাম। বেয়ারা যাই লৈয়া আসে কুনুডাই ফেরত দেই নাই।

আমাগো খাওনের চোটে ঐ টেবিলের অন্য কেউ ভাগেই পাইলো না ঠিক মতোন খাওয়া প্রায় শেষ এমুন সময় এক আন্কেল আইসা কয় বাবা তুমার আব্বু আসে নাই ? আমিও বিনয়ে গৈলা পইড়া নুরানি হাসি দিয়া কৈলাম না আন্কেল খুব স্যরি আব্বু তো আজকে আসটে পারেন নাই ,উনি খুব বিজি বিয়ের কাজ নিয়ে। উনি বউ ভাতে অবশ্যই থাকবেন আন্কেল আমার কথা শুইনা খিচ মাইরা গেলো একটু পরে দেহি সাইডে গিয়া দেহি ২ পোলার লগে ফুসুর ফাসুর শুরু করছরে। বুঝলাম আকাম একটা কিছু হৈয়া গেছে। দোস্তরে কৈলাম কাহিনি কিরে জইল্যা ? মি আই নু আন্ডারস্ট্যান্ড । জইল্যা টেবিলের নিচ দিয়া ঠ্যাং দিয়া গুতা মাইরা ইশারা করলো।

কৈলাম জইল্যারে তোরকি সেই পুরানা দোস্তানা ফোবিয়া ( লাস্ট রম্য দ্রস্টব্য) ইস্টারট হৈছেরে ? ঈশারা না দিয়া শানে নুযুল আই মিন সারমর্ম ক। দোস্তে কয় আরে খাদকের পুত পিছনে চা। অনিচ্ছা সত্তেও মুরগির রান চিবানি বাদ দিয়া মাথাডারে ১৮০ ডিগ্রি এংগেলে ঘুরাইয়া দেখি দরজায় লেখা আজ রতনের খতনা মোবারক আস্তে কৈরা মুরগীর রান টা হাত থাইকা পেলেট পইরা টুং কৈরা উঠলো। কৈলাম জলুরে আইজকা গেছি। পুরাই সানডে মানডে ক্লোজ।

দোস্তে কয় ডরাইস না আমি ফিটিং দিতাছি। কয় ৫০০ টেকা দে। কৈলাম কম দিলে হয়না ? লেকিন পাষান হৃদয় গললো না এই মাছুম ইনসানের রক্ত পানি করে ২ লমবরি সিস্টেমে কামানো ৫০০ টেকার কড়কড়া নোট টা চিলের লাহান ছো মাইরা লৈয়া গেলো আমার কাছ থাইকা ৫০০ টেকা লৈয়া ওয়েটার রে ডাক দিয়া কয় হাতে ২০ টাক দিয়া কয় যাও একটা খাম লৈয়া আসো। খাম আনলে ঔটার ভিতরে ৫০০ টেকা ঢুকাইয়া আন্কেলের কাছে গিয়া কয় "আন্কেল তাড়াতাড়ি চলে আসছি তো বাবুর জন্য খেলনা আনতে পারি নাই" এইটা বাবুকে দিয়েন আন্কেল ও দেহি সব ভুইলা গোভিন্দের লাহান ৩২ ইন্চি ক্লোজ আপ ভেটকি মারলো ঐদিন ফিরি খাইয়া আরো ২৮৮০ টেকা রোজগার হৈছিলো। তবে এর পর আর কুনুদিন এই আকামে যাই নাই ।

এই গল্পের মোরালঃ মানীর মান আল্লাহ ই রাখে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.