হয়তো কোন এক জ্যোত্স্না রাতে তুমি আবার আসবে ফিরে...হাতটি ধরে বলবে "ভালবাসি"...জেনে রেখো সেদিন আমি আর নই যে তোমার..এখন আমি ভালবাসি শুধুই আমায়... -ধুর শালীর বেটি !
-কিরে..মোবাইল আছাড় মারলি কেন ??
-আরে মামা..আর কইস না ! এই দুই মাস কতো কষ্ট কইরা সাদিয়া মাইয়াটারে পটাইলাম...ভাবসিলাম কয়েকদিনের মধ্যে একটা প্রপোজ মারমু !আর ওরে এখন দেখি আরেক পোলার সাথে রিলেশনসিপ স্ট্যাটাস দিসে...ক্যামনটা লাগে বল তো ??
-হে হে হে...
-ওই শালা। ছাগলের মতো হাসস কেন ??
-তুমি তো মামা পুরাই প্রেমহীন দেবদাস হইয়া গেলা...না আছে তোমার পারু না আছে চন্দ্রমুখী...তোমার কষ্ট দেইখা আমার হাসিতে চোখের পানি পরতাসে...
-মজা লস হারামী !! মনে কর তোর পাওনা ১০০০ টাকা তোর ঐ চোখের পানির সাথে ধুইয়া গেসে। যা ভাগ এখান থাইকা..
ঐদিন ঠিকই আমার ঐ বন্ধু জান বাঁচায়ে পালাইসিলো..কিন্তু শালায় বেশিক্ষণ মুখ বন্ধ রাখতে পারে নাই। ঘন্টা খানেকের মাঝেই এফ এম রেডিওর মতো এই ঘটনা আমাদের পুরো ফ্রেন্ড সার্কেলে বয়ান করসে। ফলাফল হিসেবে প্রায় ৫-৬ দিন কলেজ এবং বন্ধু মহলে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হইসে আমাকে....
এতোক্ষণ যার দুঃখের কথা বললাম সেটা যে স্বয়ং আমি তা আর না বললেও চলে..এবং সাথের ঐ এফ এম রেডিও গাধাটা আমার সব ক্লোজ বন্ধুদের মধ্যেও আরো এক ধাপ ক্লোজ বন্ধু সাকিব।
এক এলাকায় থাকার কারনেই হয়তো আমাদের মাঝে এতোটা ভাল বন্ধুত্ব। তার উপর লেংটা কাল থেকে আমরা সব সময় একসাথেই থাকতাম এবং আমরা একসাথেই প্রাইমারী স্কুল,হাই স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে এখন একই কলেজে পড়তেসি..আমার অভাবের দিনের একমাত্র এটিএম কার্ড হিসেবে কাজ করে সাকিব। এতো ভাল মনের ছেলে খুব কমই পাওয়া যায় এই যুগে। তাই তার সাথে আমার খুব ভালোই জমতো সব সময়।
যাই হওক কথা সেটা না।
কথা হলো গিয়ে কিছুদিন ধরে প্রেম করার ভুত চাপসে আমার ঘাড়ে। কিন্তু নিজের শহরে প্রেম ভালবাসা করাটা আমার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না। কারণ আমার বাবা একেবারে হাইব্রিড প্রজাতির দজ্জাল একটা মানুষ। যদি কোন উপায়ে জানতে পারে যে আমি প্রেম করি এবং মেয়েদের নিয়ে ডেটিং এ যাই তাহলে যে আমার কি অবস্থা হবে তা হয়তো স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ও বলতে পারবেনা। তাই কয়েকদিন ভাবলাম কিভাবে আমার হৃদয়ের এই সুপ্ত বাসনাটা পূরণ করা যায়।
কলেজে পড়ি আর প্রেম করবোনা এইটা কি হয়!! কলেজ জীবনে একটা প্রেম না করতে পারলে তো ষোল আনা জীবনের বিশ আনাই বৃথা। আর সাকিব হারামীটা যখন আমার সামনে বসে বসে তার সুন্দরী প্রেমিকা সারিকার সাথে মোবাইলে "জান,জানু" ইত্যাদি ইত্যাদি প্রেমময় উপমা ব্যাবহার করে কথা বলে তখন আমার বুকের বাম পাশে যে কেমন ব্যথা করে তা বলে বোঝানো যাবে না।
তাই সব দিক বিবেচনায় রেখে শেষে সিদ্ধান্ত নিলাম যে ফেইসবুকেই একটা প্রেম করবো। কিন্তু কিভাবে শুরু করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হঠাত্ মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো যে আগে রুপসী এবং ভদ্র মেয়ে সিলেক্ট করতে হবে প্রেম করার জন্যে।
যেই ভাবা সেই কাজ। সারাদিন বসে বসে ফেইসবুকে মেয়েদের প্রোফাইলে অবাধে বিচরণ করা শুরু করলাম। সুন্দরী মেয়ে দেখলেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো,,মেয়েদের ছবিতে "একেবারে কমলা সুন্দরী তুমি অথবা পরীর মতো লাগতেসে তোমাকে" এইসব কমন রোমিও মার্কা কমেন্ট মারা শুরু করে দিলাম।
সুন্দরী কোন মেয়ে অনলাইনে আসলেই প্রেমময় খেজুরা আলাপ করাটা যেন আমার ডেইলী রুটিনের একটা অংশ হয়ে দাড়ায়। কিন্তু কিসের কি !! এইসব প্রচেষ্টার প্রায় দুই মাস হয়ে চললো কিন্তু কোন পাখিই খাঁচায় বন্ধি করতে পারলাম না।
তেমনি একদিন হঠাত্ এক ফ্রেন্ডের স্ট্যাটাসে "আফরিন মৌ" নামে একটা মেয়ে দেখলাম। মেয়ে দেখলেই তার প্রোফাইল চেক করা আমার একটা কমন স্বভাব। তার প্রোফাইল পিকচার দেখে মেয়েটাকে মনে ধরে যায়। খুবই সুন্দরী কিন্তু সিম্পল একটা মেয়ে। সাথে সাথেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম।
এক্সেপ্ট হওয়ার পরেই চ্যাট করা শুরু করে দিলাম। বেশি কিছু দিনের মধ্যেই অনেক ভাল বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার সাথে। মনে মনে ভাবতে থাকলাম যে কিভাবে প্রেম নিবেদন করা যায় এই ললনা কে।
ঐদিন রাতেই বুক ভরা সাহস এবং উত্কন্ঠা নিয়ে ভালবাসার প্রস্তাবটা দিয়েই ফেললাম মেয়েটাকে। কিন্তু এর পরে যা শুনলাম তার জন্যে একেবারেই প্রস্তুত ছিলামনা আমি।
তার জবাবটি ছিল ঠিক এমন-
"দেখো ঈষাম,,আমার এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে। পরের মাসেই আমার বিয়ে। বিয়ের পরে আর হয়তো ফেইসবুক চালানো হবেনা। আমরা কি পারিনা এই কয়েকটা দিন ভাল বন্ধু হয়ে থাকতে??"
যদিও মেয়েটাকে তেমন একটা মন থেকে ভালবাসি নাই। তবুও প্রথম প্রচেষ্টাতেই এমন একটা ধাক্কা খাবো তা কল্পনাতেও ভাবি নাই।
প্রথম ব্যর্থতার গ্লানি অবশ্য আমাকে বেশি দিন বয়ে চলতে হয়নি। কিছু দিনের মাঝেই সাদিয়া নামের একটা মেয়ের সাথে ভালোই বন্ধুত্ব হয়ে যায়। মাঝে মাঝে তার ইনবক্সে রোমান্টিক রোমান্টিক কবিতা,গানের লিরিক্স লিখে পোষ্ট করতাম। মেয়েটাও দেখতাম যে খুশিতে টগবগিয়ে উঠতো এবং বলতো যে,
-"ঈষাম,,তুমি এতো লোমান্টিক..হায় আল্লাহ !!"
-হুম ! সবই সাদিয়া নামের রুপসী মেয়েটার জন্য ।
-যাহ দুষ্ট !! কি যে বলো নাহ !
এভাবেই চলছিল আমাদের দিনগুলি।
সাদিয়া মেয়েটার সাথে ভালোই একটা ক্লোজ রিলেশন হয়ে গিয়েছিল। তেমনি একদিন কলেজ শেষে বাসায় এসে ফেইসবুকে লগ ইন করলাম। ফেইসবুকে ঢুকেই মেজাজটা চরম পর্যায়ে খারাপ হয়ে গেলো। সাদিয়া আরেকজনের সাথে রিলেশনসিপ স্ট্যাটাস দিয়েছে। এবং ইনবক্সে একটা মেসেজ পাঠিয়েছে-
"কয়েকদিন যাবত্ আমার এক্স বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া চলছিলো।
এতো দিন খুবই মন খারাপ ছিল। কিন্তু এই কয়েকটা দিন তুমি আমাকে একজন প্রকৃত বন্ধুর মতো সঙ্গ দিয়েছো। তার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিছুক্ষণ আগে আমাদের সব ঝগড়া মিটে গিয়েছে। তাই আবার তার সাথে রিলেশনে গেলাম।
আমাদের জন্যে দোয়া করো"
মেসেজটা পড়ে আর রিপ্লাই করার ইচ্ছা হলো না। তাড়াতাড়ি ফেইসবুক থেকে বেড় হয়ে গেলাম। হাতের মোবাইলটা সজোড়ে একটা আছাড় মারলাম। সাদিয়ার নতুন রিলেশনের সুখে নাকি নিজের অন্তরের সীমাহীন দুঃখে সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।
তারপর বেশ কয়েকদিন ধরে ছ্যাকা খাওয়া রোমিও মার্কা স্ট্যাটাস দেওয়া শুরু করলাম ফেইসবুকে।
সেইসব স্ট্যাটাসে আমার কলেজের বন্ধুরা যুক্তি করে আমাকে পঁচাতো। কিন্তু কারো কোন কথাই যেন কান দিয়ে ঢুকতো না আমার। মনে হতো যে কেউ আমাকে হতাশা এবং দুঃখের সাগরে ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু অক্সিজেনের সিলিন্ডারটা দিতে ভুলে গেছে। এই কয়েকদিনে আমার দুঃখের সাথে আমার মাথার চুল ও হাতের নখ গুলো সমানুপাতিক হারে বেড়ে চললো। কিন্তু কথায় আছে "যেখানে রাত হয় সেখানে বাঘের ভয়"
এমন উস্কখুস্ক অবস্থায় একদিন ধরা পড়লাম বাপের কাছে।
তার কাছ থেকে এমন পর্যায়ে ধমক খেলাম যে ৯ নাম্বার বিপদ সংকেত দেখতে ঊপকূলীর মানুষ যেভাবে দৌড়ায়ে সেই স্থান ত্যাগ করে তেমন আমিও সেইভাবে দৌড়ে চুল এবং নখ দুইটাই কেঁটে সমান করলাম ।
এই রোমিও রোমিও ভাবটা কিছুদিন পরেই বিলুপ্ত হয়ে গেলো হঠাত্ । মনে মনে ভাবলাম যে "পরাজয়ে ডরে না বীর"..দুইবার হয় নাই তো কি হয়েছে। একবার না পারিলে দেখো শত বার । এইবার আর একজনের পিছে ঘুরবো না।
বেশি ভদ্র হয়ে তো বাঁশ খেলামই। এবার কয়েকজনের সাথে ট্রাই মারবো। একজন না হলে আরেকজন ।
নিজের কথামতো কয়েকদিনের মাঝেই দুইটা মেয়েকে ভাল লেগে গেলো। কিন্তু দেখলাম যে আমার চেয়ে তারা আরো কয়েক ডিগ্রি এগিয়ে।
আমার আগেই তারা দুজনই আমাকে প্রপোজ করে। একে তো জীবনের প্রথম প্রপোজ তাও আবার মেয়ের পক্ষ থেকে। খুশিতে যেন আমার পা মাটিতে পড়তে চাইল না। তাই একই সাথে দুজনের সাথেই প্রেম করা শুরু করলাম। কখনো চ্যাট কখনো ইনবক্স আবার কখনো ফোনে।
ভালোই চলছিল আমাদের প্রেমলীলা !!
কিন্তু কিছুদিন পরে যা জানতে পারলাম তার পরে যদি আকাশ ভেঙ্গে আমার মাথায় পরতো তবুও একটুও অবাক হতাম না। জানতে পারলাম যে মেয়েগুলা একে অপরের কাজিন। আমি একজনের জন্য যা লিখতাম তা সবই তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতো এবং আমাকে নাচানোর জন্যেই তারা এই প্রেমের নাটকটা করে।
এটা শুনার পরে মনে মনে ভাবলাম "অভাগা যেখানে যায় সেখানেই দুর্ভিক্ষ হয়"..নিজেকে খুবই উচুঁ পর্যায়ের রামছাগল মনে হতে লাগলো আমার।
এই ঘটনার পর থেকে প্রেম করার ভুত চিরদিনের জন্য নেমে যায় আমার মাথা থেকে..আর কোন মেয়ের সাথেই ফেইসবুকে ভালবাসা আদান প্রদানের কাজ থেকে চিরদিনের জন্য অবসর গ্রহণ করলাম...সব সুন্দরী এবং রুপসী ললনাদেরকে একে একে আমার প্রোফাইল থেকে বিতারিত করা শুরু করলাম।
মনের দুঃখে ফেইসবুক থেকেও দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।
কিন্তু ফেইসবুক ছেড়ে কিছুদিন থাকার পরেই বুঝলাম যে ফেইসবুকহীন জীবন একেবারে জলহীন মাছের জীবনের মতো। তাই না পেরে প্রায় এক সপ্তাহ পরেই আবার ফিরে আসলাম ফেইসবুক আঙিনায়..এসেই দেখলাম যে নদী নামের একটা মেয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে সেই সাথে তার একটা মেসেজ-
"ঈষাম ভাই,আমি আপনার ফ্রেন্ড রাফির(ফেইসবুক ফ্রেন্ড) ছোট বোন। প্রায় চার দিন হলো রিকোয়েস্ট পাঠালাম কিন্তু এখনো এক্সেপ্ট করলেন না তো!!"
বন্ধুর ছোট বোন সেই হিসেবে আমারো ছোট বোন। এই ভেবে মেয়েটাকে এড করলাম।
সাথে সাথেই নদীর ওয়াল পোষ্ট-
"অনেক অনেক ধন্যবাদ ঈষাম ভাইয়া"
এরপর থেকে সময় পেলেই মাঝে মধ্যে মেসেজ দিতো এই মেয়েটি। এছাড়া আমার প্রতিটি স্ট্যাটাসেই খুব উত্সাহের সাথে কমেন্ট দিতো। অনেক সময় ফোনেও কথা হতো তার সাথে। নদীর এমন বাচ্চাদের মত স্বভাবটা ভালোই লাগতো আমার। কিন্তু তার একটা বদ অভ্যাস ছিল।
আর তা হলো অনর্গল বক বক করতো সারাদিন। নদীর স্রোত যেমন চিরকাল বয়ে যায় তেমনি এই মেয়েটির কথা একবার শুরু হলে বন্ধ করা খুব কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়...
বেশ কয়েকটা দিন কেঁটে গেল এভাবেই। নদী এখন আর আমাকে ঈষাম ভাই ডাকে না। খুব অধিকার নিয়েই নাম ধরে ডাকে। তাকে এই অধিকারটা দিতে পেরে যেন আমিও মনে মনে অনেক খুশি।
কিছুদিনের মাঝেই তাকে ভালবাসার প্রস্তাব দেই আমি। কালবিলম্ব না করেই সাথে সাথে প্রস্তাব গৃহীত হয়। খুশিতে আত্বহারা হয়ে ফেইসবুকে নিজের রিলেশনসীপ স্ট্যাটাস "সিঙ্গেল" থেকে "এঙ্গেজড" এ রূপান্তরিত করি..ফল স্বরূপ কলেজের পুরো ফ্রেন্ডস গ্রুপকে একটা বিকালের জন্য উদরপূর্তি করাতে হয় আমার। আজকাল বন্ধুদের আড্ডায় ও তেমন যাইনা। এই নিয়ে অনেক বন্ধুই অনেক খোচা মেরে কথা বলে অনেক সময়।
কিন্তু তবুও আমি মহা খুশি। এখন থেকে অন্তত অন্য সকল বন্ধুদের প্রেমলীলা দেখে তো আর আফসোস করতে হবে না আমাকে।
নদীর সাথে আমার প্রেম ভালবাসা পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছিলো। এরই মাঝে একদিন দেখা করার কথা বলে নদী। আমিও সাথে সাথেই সায় দেই।
কিন্তু সে অন্য শহরে থাকে বিধায় টাকা পয়সার ব্যপারটা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় পরে যাই। কারণ এই মুহূর্তে পরিবার থেকে টাকা চাওয়া মানে কয়েকশটা প্রশ্নের মুখোমুখী হওয়া। এবং নদীর ব্যাপারে জানতে পারলে তো আমার আররেহাই নাই।
তাই অনেক ভেবেচিন্তে সাকিবের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে যাই নদীর সাথে দেখা করতে। জীবনে প্রথম কোন মেয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি তাও আবার একা।
ভাবতেই কেমন একটা রোমাঞ্চন এবং অজানা ভয়ের একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করে আমার মধ্যে। কিন্তু নদীর সাথে দেখা হবার পরেই ভয়টা কেঁটে যায় আমার। তার সাথে পুরো দিনটা ভালোই কাঁটে আমার। সারাটা দিন আমরা একসাথে রিক্সা দিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরি এবং অনেক গল্প করি। অনেক অনেক ছবি তুলে রাখি আমরা একসাথে।
সেদিন রাতের মধ্যেই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর একটা দিন কাঁটিয়ে বাসায় ফিরে আসি আমি।
কিন্তু বিধিবাম !! উপর ওয়ারা মনে হয় কাহিনীর সমাপ্তিটা অন্য ভাবেই লিখে রেখেছিলেন। বাসায় এসে যখনই আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য যাই তখনই নদীর ফোন আসে এবং ফোন ধরেন আমার শ্রদ্ধেয় বাবাজান। বাবা হ্যালো বলার আগেই নদী বলে উঠে-
"জান,,আজ আমরা সারাদিন যে ছবিগুলা তুলেছি ঐগুলা ফেইসবুকে আপলোড দিয়েছি। একটু লগ ইন করে দেখো তো জানু !!বাই......."
সেই দিনের পর থেকে আমার ল্যাপটপ এবং দামী মোবাইল সেটটা বাবার সিন্দুকের বাসিন্দা হয়ে আছে..আর আমি সাকিবকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার পুরুনো একটা নোকিয়া ১১১০ মোবাইল ব্যবহার করতেসি বাবার কাছ থেকে লুকিয়ে।
আর আমার প্রেমকাহিনী??..সেটার কথা নাহয় বাদই দিলাম.....শুধু একটা কথাই বলতে চাই-
"ভালবাসার মায়েরে বাপ...!!"
[লেখকের জীবনের সাথে এই গল্পের বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই...এবং অন্য কারো জীবনের সাথেও কোন মিল নেই অথবা থাকলেও তা আমার জ্ঞানের পরিধি বহির্ভূত...যদি কারো জীবনের সাথে এই গল্পের ঘটনা মিলে যায় তাহলে তা কাকতালীয় মাত্র..]
-ঈষাম আরমান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।