কী লাভ আকাশ সম হতাশা নিয়ে বেঁচে থেকে , এর চেয়ে তো মরণ ভালো ! পাশের বাসার ছোট মেয়েটা যে কিনা একাদশে পড়ে ,
এম.বি তে শপিং করার সময় কে জানি দেখে চয়েস করছে ।
এখন বিয়ে ঠিক ।
বর আবার ইংল্যাণ্ড এ থাকে ।
এতো ছোট ছোট মেয়ের বিয়ে হয় যায়,
আর আমাদের মত ধাড়ি ছেলের কিছু হয় না।
এই দুঃখ কোথায় রাখি ।
আমরা ও কি এম.বি ,বিলাসে কম যাই ।
কোনো মেয়ে তো আমাদের চয়েস করে না।
বিয়ের কথা নিয়ে আসে না ।
ইয়া আল্লাহ্ এই কষ্ট আর সইতে পারুম না । এই মুখ আর কাউরে দেখামু না ।
:-(
দুনিয়া থাইকা তাড়াতাড়ি উডাইয়া নেও আল্লাহ্ ,নাইলে দড়ি ফালাও !
বাইয়া উডি যাই । :'(:'(:'(
২৫ জানুয়ারী ২০১২
→আজ ভোরে মেয়েটির বাবা মারা গেছে ।
এই তো আমার পাশের বাসার দুতলায় ই থাকতেন তিনি ।
আমার বাসার বেলকনি থেকে বড়জোর ৮ কি ১০ গজের দূরত্ব হবে ।
প্রতিদিন দুপুর বেলা ই দেখতাম তাঁকে ।
গোসল করে ,কোমরে গামছা পেঁচিয়ে ,
বেলকনিতে উদোম গায়ে রোদ পোহাতেন ।
আর বাম হাতে থাকতো সিগারেট ।
আজ দুপুরে বেলকনিতে সেই চিরচেনা মুখটাকে আর দেখলাম না ।
দেখলাম না উদোম গায়ে বসে থাকা সেই মানুষ টা কে ।
বেলকনিতে আজ সুনসান নিরবতা ।
ঘর থেকে কেউ এসে বলছে না ,আব্বু এসো ,খাবে ।
পুরো তিনতলার মানুষ ই আজ মৌনব্রত পালন করছে ।
কোথাও কোনো কোলাহল নেই ।
বাসার নিচে আজ আর কেউ খেলতে আসে নি ,
একটি কোণে
শেষ গোসলের চৌকি টা পড়ে আছে ।
আর ঐ মেয়েটি !খুব কাঁদছিল সে ।
তার বুকফাঁটা কান্না এখন ও কানে বাজছে আমার ।
কিন্তু স্বান্তনা দেবার জন্য বা সামাজিকতার খাতিরে ও নিচে নেমে যাই নি ।
দেখতে যাই নি মেয়েটির বাবাকে ।
একটু আগে গোসল করে এসে ,বেলকনিতে দাঁড়ালাম ।
এক ধরণের অপরাধ বোধে ভেতরটা কুঁকরে যাচ্ছিলো বার বার ।
শুধু একটি কথাই ভাবছি ,আমি তো পারতাম একটি বার দেখতে যেতে ।
কেনো গেলাম না !কেনো !কেনো !!কেনো !!!
এর উত্তর আমার কাছে নেই ।
আসলে আমারা শহরের মানুষেরা খুব ই স্বার্থপর ।
তা না হলে এতো কাছে থেকে ও গত দু বছরে আমরা এখনো কেনো অপরিচিত থাকবো !
নিজেকে সত্যিই ক্ষমা করতে পারবো না । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।