আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নগরীর আত্বকথন

"এক ষ্টেশনের টিকেট কেটে অন্য কোন স্টপেজে নেমে পড়া আমার আজন্ম স্বভাব" ইয়াহু মেসেন্জার : ahmed_wpsi@yahoo.com দেশভাগের লোভাতুর আনন্দে কয়েকটা সাদা চামড়ার পশু পেন্সিলের হ্যাচকা টানে আমাকে করলো বিভাজন । ব্যবচ্ছেদ টা হলো ঠিক আমার শরীর থেকে নিম্নাঙ্গ বরাবর তাই আমার উর্ধাঙ্গ পেল ভারত মাতা আর আমি রয়েগেলাম পূর্বে। ক্ষুদ্র হবার ক্ষুদ্রতা আমাকে কুড়ে খায়নি কখনোই বরং রূপের প্রশংসায় ভিজেছি বহুবার কহুভাবে ; বিদ্রোহ ও প্রেমের কবি তো আমার কাছে এসেই লিখেছিলেন-- "কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী, এ কোন সোনার গায়ঁ আমার ভাটির তরী আবার কেন উজান যেতে চায় "। । আমার বক্ষজুড়ে যে মাথাভাঙ্গা নদ সে তো কিংবদন্তী তার দুকূলেই তো বাংলার লাল-সবুজের পোষ্টার সাটাঁ, "ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ আমার বসন্ত" এই অমর পংতির স্রষ্টা পদাতিক কবিবর-কে আলো বাতাস দিতে পেরে আমি যে চীর গর্বিত।

। আমার কোলে যে বিশাল জনবহুল জংশন ছিল আজ সে হয়তো কিছুটা জৌলুস হারিয়েছে কিন্তু আত্বার যে টান সে তো লালনের একতারার তারের মতই আজ-ও অবিনশ্বর টনটনে হয়ে আছে । এইতো সেদিন মৈত্রী এক্সপ্রেস থেকে নেমেই কংকা মানে কুচবিহারের আশিঁ বছরের বৃদ্ধা কংকনা রয়, আমার ষ্টেশনের প্লাটফর্মের মাটিতে যে গড়া-গড়ি খেল , তার সমস্ত শরীরে যে জন্মস্থানের পবিত্র ধুলা মেখে নিল , চোখের জলে ভিজে যে বুক ভরে বঙ্গমাতার শ্বাস নিল, মা হিসাবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি-ই বা হতে পারে ? মাথাভাঙ্গা নদ দিয়ে স্রোত যতই উজানে যাক পানি বিষয়ক চুক্তি যতই অমিমাংসীত হয়ে থাক, জয়নগর সীমান্তে অভাগীর লাশ যতই বৈরীতা নিয়ে বেড়াক, কেরু এন্ড কোম্পানীর মাড়াইয়ের আখ যতই ফুরিয়ে যাক , এই আমি দিবা-নিশি আর্শিবাদের দ্বীপ জ্বেলে যায় আমি যে মা- স্বন্তান কে সর্বদাই আগলে রাখতেই হয় । । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.