(ভালোবাসা বলতে আমরা কেবল একটি ছেলে আর একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ককেই বুঝে থাকি। কিন্তু প্রেম ছাড়াও একটি ছেলে আর একটি মেয়ের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে পারে যেটাও এক ধরনের ভালোবাসা তা এই গল্পে বুঝানো হয়েছে)
কোনো একদিন-
হ্যালো… নীলা কেমন আছেন?
হুম ভাল, তুমি কেমন আছ?
হ্যা, আমি ভাল। আপনি কি করেন এখন?
এইতো প্রাইভেট পড়াই।
আপনি প্রাইভেট পড়ান! বাহ! খুব ভাল তো? তা আপনার বাচ্চাদের কি অবস্থা? পড়াশোনা কেমন করে, নাকি দুষ্টমি করে- আপু চকলেট দাও, আপু বাড়ি যাব ইত্যাদি ইত্যাদি? হাহাহা…
না দুষ্টমি করেনা, পড়ালেখা ভালই করে।
হুম, আপনার মত একজন টিচার থাকলে বাচ্চারা ভালতো করবেই।
হুমমম…।
আচ্ছা আপনি পড়ান, ডিষ্টার্ব করবনা, পরে কথা হবে।
আচ্ছা।
অন্য আরেকদিন-
হ্যালো… কেমন আছেন? কি করেন?
এইতো টিভিতে মুভি দেখি, নীলা খুব মিষ্টি সুরে বলে।
কি মুভি?
এই শুনো…খুব সুন্দর একটা মুভি হচ্ছে টিভিতে! তারপর নীলা দুই-তিন মিনিট ধরে মুভির কি কি যেন কাহিনী বললো ছেলেটা কিছুই শুনলোনা।
তখন তার কানে কেবল বাজছে এই শুনো, এই শুনো… আহ! কি মধুর ডাক!
আজকে সারাদিন কি করলেন? ছেলেটি জিজ্ঞেস করল।
কলেজ গিয়েছিলাম, তারপর কলেজ থেকে এসে বিকেলে ঘুমিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে একটু ঘরের কাজ করে এখন এইতো টিভি দেখি।
হুম ভালো তো, লক্ষী মেয়ে!
হাহাহা… নীলা হাসে ছেলেটার কথা শুনে।
দুইদিন আগে (ছেলেটা আর মেয়েটার পরিচয় পর্ব)…
ছেলেটা সন্ধ্যায় রাস্তায় হাটছে।
হঠাৎ তার মোবাইলে তার এক বন্ধুর ফোন আসে। বন্ধুটির সাথে কথা শেষে কললিস্ট চেক করার সময় কললিস্টে সে একটা অপরিচিত নম্বর দেখতে পায়। সে মনে করলো হয়তো কেউ ফোন দিয়েছিল, সে নম্বরটিতে ফোন দেয়। অপর প্রান্ত থেকে একটা মেয়ের কন্ঠ।
হ্যালো।
হ্যালো, হ্যালো…
৩০ সেকেন্ড হয়ে গেছে। মেয়েটা হ্যালো হ্যালো বলতেই আছে। ছেলেটা কি বলবে বুঝতে পারেনা। সে ফোনটা কেটে নেয় এবং হাফ ছেড়ে বাঁচে।
(চলবে)
বিঃদ্রঃ পরের পর্বগুলো পড়ার জন্য আমার প্রোফাইল ফলো করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।