আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি আন রোম্যান্টিক গল্প

মাত্র পাশ করে বেরিয়েছি তখন, সিংগাপুরে। পাশ করবার আগেই চাকরি একটা জুটে গিয়েছিল কপালের জোরে। তবে রেজাল্ট বেরয়নি বলে সেই চাকরিতে টিকতে পারলামনা ইমিগ্রেশনের কারনে । ফাট কপাইল্যা একেই বলে। রেজাল্ট বেরোবার পরে একটা দুইটা এমন সেমন চাকরিতে গঁাত্তা গোঁত্তা খেয়ে একসময় যায়গা মতন গিয়ে পরলাম।

শুরুটা খুবই খারাপ হলেও আমার গে বস সর্বস্য অফিসে একসময় অনুভব করলাম আমি মধ্যমনি। শুরুতে যে আমি'র বসের ভয়ে মুখ দিয়ে সাত চড়ে রা' বেরোতো না, এক সময় আবিস্কার করলাম সেই আমার গলা ছারা অফিসে আর কারো গলা শোনা যায় না আমার দুই গে আর এক লেসবিয়ান বসের গলার পাশে। হ্যা আমার তিন বস ছিল। স্যাক্সন, ষ্টানলি ও টেরেসা - তেনারা তিন পার্টনার। দু'জন গে আর একজন লেসবিয়ান।

এই তিন চিড়িয়া কেমনে জুটলো একসাথে সেটা আমারও এক বিশাল প্রশ্ন । স্যাক্সন ও টেরেসা'র সাথে আমি আর আমার কলিগ আভান্তি যাই হোক তেনারা তিন জনই এক সময় আমাকে নিয়ে মাথায় তুলল আর তার সাথে চমৎকার সব কলিগ আমার পাশে। অফিস তো না জীবনটা তখন যেন আড্ডা বাজি আর পার্টি প্রতিদিন। আমরা সবাই কাজ করতাম পাগলের মতন, শহরের সেরা কাজ গুলো বের করতাম আমরা। আমাদের চিনতনা কম মানুষই ছিল সেই মিডিয়াতে।

সকাল ৯টা থেকে রাত ৩/৪ পর্যন্ত কাজ করতাম সবাই মিলে। তবু রোজ সকালে গান গেয়ে নাচতে নাচতে অফিস যেতাম আবার নাচতে নাচতে গভীর রাতে বাড়ি ফিরতাম খুব কম দিনই বিকেলের আলো দেখে বাড়ি ফেরার সুযোগ হয়েছে তখন। স্টানলির বাসায় ডিনার, টেবিলে শেষ মাথায় কালো শার্ট পরে স্টানলি বসে। মনের সুখে ৩/৪ ঘন্টা ঘুমিয়েও কোন কমপ্লেইন ছিল না জীবনে। সারাদিন গান শুনে শুনে আমরা কাজ করতাম, আর অফিসের ডিজে ছিলাম আমি ।

নানান ধরনের নানান ভাষার গান তখন আমার ভান্ডারে! প্রেম নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা ভুলেও মনে আসতো না। অফিসই ছিল ঘড়বাড়ি অফিসই ছিল আমাদের ছোট পরিবার। প্রেম করতে হলে যে সুন্দর করে সাজতে হয় সুন্দর করে তাকাতে জানতে হয় সেটাও তখন ভুলে গেছিলাম । কাজ আর দুস্টুমি বুদ্ধি ছারা মাথায় অন্য কিছু থাকত না। কলিগরা মিলে এমন কোন দুস্টুমি ছিল না যে করতাম না ।

একদিন স্টাশনে বসা এক ককেশিয়ান ছেলেকে $৫ ডলার ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল, " Hey go and have lunch you poor boy" এটা শুনে ছেলেটার মুখ দেখতে কেমন হয় শুধু তাই দেখবার জন্য । দেশে গেলেই বাবা বিবাহের কথা বলেন নানান ইশারা ইংগিতে, আর মা'কে ফোন করলে মা'র ঘ্যানর ঘ্যান - বিবাহ কেমনে হবে এই জীবনে। কথায় বার্তায় জিঙ্গেস করে নতুন কারো সাথে পরিচয় হলো কিনা। আমি বলি, "সময় কই বাইরে যাবার"। মা আমার মিন মিন করে বলে, "উইক এন্ড এ গান বাজনা শুতে গেলেও তো পারো মনটা ভাল লাগবে।

মনের ও তো একটা এন্টারটেইনমেন্ট লাগে"। আমি ভাবি উমমম দেখি যাবো একসময়। এই একসময় করতে করতে কখন তিনটা বছর পেরিয়ে গেল টের পাইনি । এর মধ্যে মা গেলেন আমাকে দেখতে, থেকে এলেন দু'সপ্তা আমার সাথে। আমার অফিসেও গেলেন সবার সাথে দেখা করতে।

দু'প্তা পরে যখন সে ফিরে গেল দেশে আমার তখন তেরটা বেজে সারা। শুধু মন খারাপ লাগে কি যন্ত্রনা রে বাবা! এয়ার পোর্টে বিদায় দিতে গিয়ে কেন্দে ভুত! এর পর থেকে শুরু হলো আমার মন খারাপ করা রোগ । অফিস থেকে অফিসের খরচে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো টোকিও তে আনন্দ ভ্রমনে ১০ দিনরে জন্য। ঘুরে এসেও যেই সেই অবস্থা। একদিন স্যাক্সন ডাকল আমাকে তার অফিসে।

বলল, " আমি শুনলাম তুমি বাইরে কোথাও যাওনা, কেন যাও না?" বললাম, "সময় কই"। সে বলে, "সময় বের করলেই সময় হয় না করলে না, আমি চাই তুমি বাইরে যাও, মানুষের সাথে মেশ"। আমি বলি, "স্যাক্সন আমি কোন ভাল মানুষ দেখিনা আমার অফিসের বাইরে, আই থিং আই এম লিটল স্কেয়ার্ড টো গো আউট"। স্যক্সন ব্যপারটা জেনেই বলল, "Believe me, loads of good people out there, You just haven't tried yet......i really want you to go out and mix with people and find someone special, I don't want to see you in the office after 8pm and over the weekend". তো আস্তে আস্তে বের হওয়া শুরু করলাম। যাই হোক তখন আমার গাড়ি নেই আমি সকাল সন্ধ্যা ঠেলাঠেলি করে ট্রেনে চেপে অফিস যাই।

আমার বাড়ি থেকে ট্রেন স্টেশন ৫/৭ মিনিটের হাঁটা পথ। ট্রেনে এত ভীর থাকে এই দু'টো সময় যে কিছু না ধরে দাঁড়িয়ে থাকাটা একটা চ্যালেঞ্জ আর কি। ট্রেন এত ফাস্ট চলে যে হুরমুর করে কারো গায়ে পরাটা নিত্যদিনের কাহিনী। ট্রেনে আমার একটা প্রিয় জায়গা ছিল যেখানে আমি প্রতিদিন দাঁড়াতাম, জায়গাটা আমার পারমানেন্ট হয়ে গেছিল। সেটা হলো দরজার পাশে জানালার পাশে শেষ সিটটার ধারে হেলান দিয়ে দঁাড়াতাম।

বলাই বাহুল্য বসবার জায়গা কখনই পেতাম না আর কখনও পেলেও তা বুড়োদের জন্য ছেরে দিতাম। রোজই একই সব যাত্রাসঙ্গিদের সাথে দেখা হত কারন সবাই একই সময়ের ট্রেন ধরত একই লাইনের, মাঝে মাঝে কেউ কোন কারনে ট্রেন মিস করলেই শুধু দেখা হয় না। আমি রোজ এক হ্যান্ডসাম বুড়োর হুইসেল শোনার অপেক্ষায় থাকতাম। উনি চমৎকার করে হুইসেল দিতেন! ট্রেনে ওঠা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত একটার পর একটা গান হুইসেল দিয়ে গেয়ে চলতেন, বয়স তার ৬০/৬৫ হবে । সারাটা পথে গল্পের বই পড়তে পড়তে আর চমৎকার হুইসেল শুনতে শুনতে গন্তব্যে পৌছে যেতাম এক সময়।

সেদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে স্টেশনের পথ ধরতে যাব দেখি রাস্তার ওপার থেকে এক ছেলে বয়স ৩৬/৩৭ হবে, রাস্তা পেরিয়ে এসে আমার একটু আগে আগে স্টেশনের পথা হাটা ধরল। তাকে সুদর্শনই বলব যদিও সে আমার টাইপ নয় তবু তাকে যদি সুদর্শন না বলি তাহলে এক ধরনের পুরুষ সৌন্দর্যকে অপমান করা হয়। সেই দৃস্টিতে সে একটু বারাবারি রকমের সুদর্শন। তাকে দেখে বোঝা যায় না সে ইটালিয়ান নাকি ইন্ডিয়ান (বম্বের)। কেউ যদি Alec Baldwin কে পছন্দ করেন তাহলে তিনি তাকে পছন্দ করবেন।

কারন সে হুবহু Alec Baldwin এর মতন দেখতে। বাই দ্যা ওয়ে আমি Alec Baldwin কে পছন্দ করিনা পার্সোনালি যদিও বলব যে উনি সুদর্শন। তো সেই লোক বা ছেলে স্টেশনে ঠিক আমার বগির দরজাটার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। না না আমার তাতে কোন অসুবিধা নাই। সে কোন বগিতে উঠবে সেটা তার ব্যপার।

ট্রেন ঠিক সময় এলো। যাত্রিরা সবাই ট্রেনে উঠল। আমি আমার নির্ধারিত জায়গায়র দিকে হেটে গিয়ে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে দেয়ালে যেই হেলান দিয়ে দঁাড়াতে গেছি অমনি এই সুদর্শন ফসকরে আমার পেছন দিয়ে গলে আমার জাগায় গিয়ে সেটা দখল করে দঁাড়াল আর একটা পেপার মুখের উপর খুলে যেন কিছুই হয়নি ভাব করে থাকল। আমি তো হতভম্ব জীবনে এমন ছোটলোক দেখিনি বাবা । যাই হোক েসদিনের মত ছেড়ে দিলাম।

পরের দিন আবারও ছাগলটার সাথে দেখা আমার বাসার সামনে এবার আর তাকে সুদর্শন মনে হলো না ছাগল কথাটাই মনে আসল । সেদিন আমি একটু তাড়াতারি হেটে ওর আগে স্টেশনে গিয়ে প্লাটফর্মে জায়গা মত দাঁড়ালাম, নিজের জায়গাটা দখল আজ করতেই হবে! ট্রেন আসা মাত্রই ঝট করে উঠে আমার জায়গাটা নিয়ে নিলাম। সে দেখল, দেখে আমার উল্টা দিকে দাঁড়াল। আমিও যেন কিছুই হয়নি ভান করে গল্পের বইটা খুলে মন দিলাম পড়ায় এভাবে এই জায়গাটা নিয়ে মারামারি করতে করতে রোজ দিন শুরু করি। কি যন্ত্রনা রে বাবা! এই ছাগলের জ্বালা থেকে বাঁচতে যদি কখনও অন্য বগিতে উঠেছি তো সে সেখানেও হাজির, বাপ, সারা ট্রেনে এত দরজা, তোর আমারটা নিয়ে টানাটানি কেন ।

অফিসে এসে কলিগদের সাথে আলাপ করি এইটাকে কিভাবে টাইট দেয়া যায়। নানান কায়দা ট্রায় করি পিছলে ঢুকে সোজা জায়গা মত গিয়ে দাঁড়াবার। অফিসে তার রিহার্সেলও দেই। তো সেদিন আমার জয় হয়েছিল। ছাগলটা একই দরজায় আমার উল্টাদিকের হেলান দেবার দেয়ালে দঁাড়িয়ে, আর আমি বই খুলেছি যথারীতি।

এমন সময় ট্রেনের দুলুনিতে পেছন থেকে একজন হুরমুর আমার গায়ের উপর এসে পরল আর আমার হাত থেকে বইটা ছিটকে ছাগলের সামনে গিয়ে পরল। আমি ধাক্কা সামলে বই টা তুলতে গেছি, ছাগলও ভদ্রতা দেখিয়ে বইটা তুলতে গেছে আর যাবে কোথায় মাথা ঠুকে গেল এমন জোরে ছাগলের মাথার সাথে যে সাথে সাথে আমার কপালে আলু ফুটে গেল। আমি দুই হাতে আমার মাথা চেপে ধরে রাগের চোটে কি করব বুঝতে পারছিলাম না। ছাগল তো আপ্লুত হয়ে আমাকে ধরতে এল, জানতে চাইল কতটা ব্যথা পেয়েছি। আমি মনে মনে গালি দিয়ে বলি শালা তুমি সিনেমা সিনেমা খেলার জায়গা পাওনা ।

এতই ব্যথা পেয়েছি যে মুখ দিয়ে কথা বেরুচ্ছিল না । সেও ব্যথা পেয়েছে বলেই বারবার আমাকে জিঙ্গেস করছে আমি ঠিক আছি কিনা। ধবিঘাটে নামলাম দুজনই, ওখান থেকে ট্রেন বদলাতে হবে দুজনকেই। সেখান থেকে দু'জন দুই পথের ট্রেন ধরব। সে বারবার আমাকে পৌছে দিতে চাইল অফিসে, আমি বললাম তার আর দরকার হবে না "I am alright". সে তার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে আমারটা চাইল, বললাম সাথে নেই।

সে বলল তাকে একটা ফোন বা ইমেল করে যেন জানাই কেমন আছি আমার মাথার আলু নিয়ে আমি ইমেল বা ফোন কোনটাই করিনি, করার সময় বা ইচ্ছা কোনটাই ছিল না। পরের দিন সে আমাকে স্টেশনে ধরল। কেমন আছি, আমার আলুর অবস্থা কি, আবার মিট মিট করে হাসে । নানান প্যাচাল চলতে পথে। এভাবে প্রতিদিন দেখা হতো, জানা গেল সে ইন্ডিয়ান, বম্বে থেকে এসেছে, এখানে আমার সামনের বিল্ডিং এ বন্ধুদের নিয়ে একটা ফ্লাট শেয়ার করে, সিটি হলে কোন একটা অফিসে আই টি ডিপার্টমেন্টে কাজ করে, আমিও আর আমার ভিজিটিং কার্ড না দিয়ে পারলাম না ভদ্রতা বশত ।

ওর সাথে নানান গান নিয়ে কথা হতো। এর পর ফেরার পথেও দেখা হতে থাকল। দুজনই বাড়ির সামনে এসে দুদিকের বিল্ডিং এ ঢুকে যাই। একদিন He asked me out for Coffee. অফিস থেকে ফেরার পথে ধবিঘাটে স্টারবাক্সে দেখা করে কফি খাওয়া, আড্ডা.....উম খারাপ লাগেনি । সেই সময় আমার এক ব্রিটিশ বন্ধু আমাকে একটা হিন্দি গান শোনাল।

আমি হিন্দি বুঝিনা তবে গানটার সুর চমৎকার! ক'দিন ধরে মাথার ভেতর গানটা ঢুকে আছে। বারবার গানটা শুনি। মাঝে মাঝে আমার এমন একেকটা গানের নেশা উঠে। সবারই হয়ত এমন হয়। গানটা শুনতে শুনতে পচে না যাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে।

তো আমার তখন ঐ গানের সময় চলছে, গানের মানে একবর্ন বুঝিনা শুধু সুরটার জন্য গানটা শুনি। আসলে দু'টো গান তখন আমাকে গিলে গিলে খাচ্ছিল। একটা ছিল ইংলিশ, আমার খুবই প্রিয় একটা গান........ Save me a Saturday night আর হিন্দি গানটা হলো .......... Tuhi re গান গুলোর সুরে কিছু একটা যাদু আছে যা ভাললাগায়, বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। শুনতে শুনতে হয়তো ভিকি'র - ভিকাশ - ছাগলটার নাম ছিল ভিকাশ বা সর্টকাট ভিকি, ওর জন্য ভেতরে ভেতরে কিছু একটা তৈরি হচ্ছিল। ওর ছাগল মার্কা চেহারাটাও হয়ত মনে হতে লাগল কোন ভাবে ঠিক ঠাক করে নেয়া গেলে যেতেও পারে বন্ধু হিসেবে খারাপ হবে না হয়ত।

এই সময় কোন এক Saturday night এ He asked me out for dinner. আমি কি সেজেছিলাম সেদিন? মনে নেই ঠিক, সাজতে তখন জানতাম না তেমন, তবু ভিকির চোখে মুগ্ধতা ছিল! আমার কোরিয়ান পছন্দ বলে আমরা কোরিয়ান দোকানে খেতে গিয়েছিলাম। ও নানান মজার মজার কথা বলে আমাকে হাসাচ্ছিল। আমি কেমন করে ঠোট সরু করে "সরি" বলি সেটা নিয়ে মজা করছিল। বলছিল কখন আমি তাকে আমার রান্না খেতে ডাকবো বাড়িতে.....এমন সব নানান রোম্যান্টিক কথাবার্তা আরকি .....। সময়টা খারাপ কাটেনি।

ফিরলাম একসাথেই। ট্রেন থাকে নেমে হাটছিলাম বাড়ির দিকে। আমি ওকে জিঙ্গেস করলাম আমার প্রিয় গান দু'টো সে শুনবে কিনা আমার সাথে থাকা আই Ipod এ আছে। সে রাজি হয়ে গেল। প্রথমে শুনালাম "Save me a Saturday night" গানটা শুনে বলল খুব ভাল লাগেছে।

পরের গানটা হলো "Tuhi re" যেটা ওর নিজের ভাষাতেই। গানটা শুনেই সে বলে "এই গান কেন তুমি আমাকে শোনালে ??? এর মানে কি???" আমি তো অবাক বলে কি ! গান শোনালাম ভাললাগে গান দু'টো তাই, এর আবার মানে কি? বলে, "জানো "Tuhi re" গানের মানে কি?" আমি বললাম আমি জানিনা, আমি হিন্দি বুঝিনা। সে অদ্ভুত আচরন করে হেড ফোন ফেরত দিল যেন আমি তার গায়ে সাপ ছেরে দিয়েছি। সে বলে "এই গান তোমার আমাকে শোনানো উচিৎ হয়নি" আমি তো ডাবল হতভম্ব বলে কি গাধাটা! তো এর মধ্যে বাসার সামনে এসে গেলাম। সে হেসে আমাকে জিঙ্গেস করল আমি কি তাকে কফি খেতে বাড়িতে আসতে বলতে চাই কিনা তখন।

আমার তখন মেজাজ টং এ উঠে গেছে........কফি কিসের রাত বারটায়?? যা শালা বাড়ি যা, বাড়ি গিয়ে নিজে নিজে কফি বানিয়ে খা গিয়ে । তাকে বললাম "না আমি তোমাকে আসতে বলব না" । আমি বাড়ি এসেই ডিসিশন নিলাম এই গাধাটা কে আর দেখব না । এর পর আমি অফিস যাওয়া শুরু করলাম খুব ভোরে। সকাল ৭টার ট্রেন ধরতাম ভিকি কে এড়ানোর জন্য, আর ভিকি যথারীতি সকাল ৮.৩০শের।

ভিকি প্রায়ই ইমেইল করত, বলতাম কাজের খুব চাপ চলছে একটা ক্যম্পেইন নিয়ে তাই তাড়াতাড়ি অফিস আসতে হয়। অনেক বার সে কফি খেতে ডাকল, ডিনারে ডকাল। আমি ডেট ফিক্স করেও শেষ মুহুর্তে ক্যানসেল করেছি "সরি" বলে। মন সায় দেয়নি। ওকে পুরো অন্য গ্রহের মানুষ বলে মনে হয়েছিল যার সাথে কোন ভাবেই আমার চলবেনা দু'মাস পরে বাড়ি বদলে অন্য জায়গাতে বাড়ি নিয়েছিলাম।

এই গল্পটা শ্রাবন কে বলেছিলাম সে হেসেই খুন হয়েছিল। আজও সে হাসে কথা প্রসংগে গান গুলোর কথা যদি আসে । সে আবার পারভিন আপুকে গল্পটা বলেছে। পারভিন আপু এতই মজা পেলেন যে আমাকে কয়েকবার এটা নিয়ে লিখতে বললেন। তো এই পোস্ট টা পারভিন আপুর সৌজন্যে ।

উনাকে আমি ভালবাসি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.