আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আক্কেল দাঁতের বেআক্কেল অবস্থান

ধুসর এই পৃথিবীতে আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন খুজে বেড়াই ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সে আমাদের ওপর ও নিচের চোয়ালের একেবারে শেষে চারদিকে চারটি দাঁত ওঠে বা ওঠার চেষ্টা করে_এগুলোকে আক্কেল দাঁত বলা হয়, ডেন্টিস্টরা বলেন, 'থার্ড মোলার টুথ'। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সময় ওঠে বলে বাংলায় এটি আক্কেল দাঁত আর ইংরেজিতে উইজডম টুথ নামে পরিচিত। আজকাল অনেককেই দেখা যায় আক্কেল দাঁতের সমস্যায় ভুগছে, আবার অনেকে আক্কেল দাঁতের নাম শুনলেই ভয় পেয়ে যায়। এর অবশ্য কারণও রয়েছে। ৩২টি দাঁতের মধ্যে আক্কেল দাঁতগুলো, বিশেষ করে নিচের চোয়ালের আক্কেল দাঁত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ও সঠিক অবস্থানে না উঠে চোয়ালের স্বাভাবিক সারির বাইরে, সামনে বা পেছনে আবার কখনো বা বাঁকা হয়ে পাশের দাঁতের সঙ্গে আটকে থাকে; পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থানে উঠতে পারছে না যথেষ্ট জায়গা না থাকার কারণে।

আবার কখনো বা সোজা হয়ে উঠছে কিন্তু ওঠার সময় মাড়ি বা ফ্লাপের ভেতর ইনফেকশন হয়ে ফুলে যাচ্ছে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। সাধারণত বাঁকা হয়ে ওঠা দাঁতে ইনফেকশনের হারটা বেশি; যাকে বলা হয় 'পেরিকরোনাইটিস'। কী কী হতে পারে * ইনফেকশন হয়ে মাড়ি ফুলে যেতে পারে এবং সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। * চিবিয়ে খাবার সময় গালের মাংসে কামড় লেগে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং কামড়টা বারবার লাগলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত হতে পারে, যা থেকে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। * আক্কেল দাঁত যখন বাঁকা হয়ে পাশের দাঁতের সঙ্গে আটকে থাকে, তখন দুই দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে।

এতে দুটি দাঁতেই জীবাণুর আক্রমণে গর্ত হয়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, আক্কেল দাঁতের কারণে তখন পাশের দাঁতও নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। * আক্কেল দাঁতের ইনফেকশনগুলো সাধারণত একবার হলে যথাযথ চিকিৎসা না করালে বারবার হতে থাকে। কী করবেন * প্রথমেই উচিত একজন ডাক্তার দেখানো, যিনি সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করবেন এবং চিকিৎসা দেবেন। * বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের সমস্যায় আক্কেল দাঁত তুলে ফেলতে হয়।

তবে সব সময় মনে রাখতে হবে, অনেক সময়ই 'ইমপ্যাকটেড' বা আটকে থাকা আক্কেল দাঁত তোলা সাধারণ দাঁত তোলার মতো নয়। এ ক্ষেত্রে ছোট অস্ত্রপচারের মাধ্যমে দাঁত তোলা হয়ে থাকে। চিকিৎসা না করালে কী হতে পারে * ইনফেকশন হয়ে ফোঁড়া বা 'এবসেস' হতে পারে। * পাশের দাঁতে ডেন্টাল ক্যারিজ হয়ে 'পালপাইটিস' হতে পারে, যাতে প্রচণ্ড ব্যথার কারণ হয়ে থাকে। * গালে ক্ষত হয়ে গেলে চিকিৎসা না করালে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

সুতরাং 'ইমপ্যাকটেড' বা আটকে থাকা আক্কেল দাঁত মুখে থাকলে, উপরোক্ত সমস্যাগুলো হওয়ার আগেই চিকিৎসা নেওয়া উচিত। তা না হলে, ইনফেকশনের কারণে ভীষণ কষ্ট পেতে হয় এবং সার্জারিও করাতে হয়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.