আমার লেখাই আমার পরিচয়। আমি আর বলব না
তিস্তা নদীর কথা
শুকিয়ে যেথায় অচিরেই হয়ত
পড়বে বালুর চর
শুধু তিস্তাপাড়ের সেই মেয়েকে
বলব-
সে যেন শাড়ীর আঁচল উড়িয়ে
তখনও ঘুরে বেড়ায়
এ নদীরই দুধারে।
আমি আর শঙ্কিত হব না
সুরমার কথা ভেবে,
শুধু অনুরোধ করব
ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো
বকের সারিকে
ওরা যেন তখনও
জিরোতে বসে
এই হাওড় বাওড়ের দেশে।
আমি আর ঘুরে বেড়াব না
তিতাসের বুকে নায়ে,
শুধু কবিকে বলব
সে যেন তখনও লেখে কাব্য
তিতাস নদীর নামে।
আমি আর মর্মাহত হব না
পদ্মার বুকে দেখে ধুধু বালিরাশি
শুধু রুপালি ইলিশকে বলব
ওরা যেন তবুও ঘুরে ঘুরে
এই পদ্মাতেই আসে ফিরে।
ঈশ্বর হয়ত ওপারেই থাকবেন
তবুও পদ্মার নদীর মাঝিরা
যেন এই পারেতেই থাকে
আজীবন সংগ্রামী
কুবের মাঝি হয়ে।
হয়ত আর আসবে না ফিরে
সেই প্রমত্তা পদ্মা,
ধানের ক্ষেত শুকিয়ে হয়ত
কিষাণীর চোখ গড়িয়ে পড়বে
দুফোটা জল।
রবীন্দ্রমনকে তবুও বলব
নৌকো ভাসিয়ে আজ পদ্মাতে বেড়াই চল।
নাইবা থাকল সে বাস্তব ধরায়
তবু বেচে থাকুক নদীরা-
আমাদের চিন্তা-চেতনায়
গাংচিল, বলাকার ডানায় ডানায়,
কিষানীর চোখের জলে
অথবা কিশোরীর শাড়ীর আঁচলে
রুপোলি ইলিশে, কাব্যের নামে,
অথবা কুবেরের ঘামে ভেজা সংগ্রামে।
যেন শঙ্খচীল শালিকের বেশে
জীবনানন্দ ফিরে এসে
আবারও তোমাদেরই দেখা পায়
এই খানে,
এই রূপসী বাংলায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।