মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে দোটানায় পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নির্বাচিত মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দেশটির সেনাবাহিনীর প্রশংসা না তিরস্কার করবেন, তা ঠিক করতে পারছেন না। এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জন্য সত্যিই এক কঠিন কাজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার মিসরের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি হোয়াইট হাউসে শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওবামা। এ সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে হিমশিম খেতে দেখা যায়।
মিসরের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বরাদ্দ যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের সহায়তা স্থগিত করার বিষয়টির ভাবার। তবে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে তিনি মধ্যপন্থা অবলম্বন করেছেন। মিসরের শাসনক্ষমতা দ্রুত বেসামরিক সরকারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মিসরকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। কেননা ওবামার উপদেষ্টারা মনে করেন, সরাসরি কোনো পক্ষ অবলম্বর করা হবে আগুনে ঘি ঢালার মতো।
বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্যরা এবং আঞ্চলিক সহযোগীরা যত দ্রুত সম্ভব মিসরে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের হাতে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতি জোর দিয়েছেন। ’
২০১১ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ চলাকালে দীর্ঘ দিনের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র মোবারকের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল। এবার মুরসির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ওবামা কী করবেন, তা দেখার বিষয়।
পদক্ষেপ হিসেবে ওবামা কায়রোতে বেসামরিক সহায়তা বাড়িয়ে দিতে পারেন। কায়রো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বার্ষিক ১৫০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে।
এর মধ্যে বেসামরিক সহায়তা মাত্র ২৫ কোটি ডলার। একই সঙ্গে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিতে কূটনৈতিক দূতও পাঠাতে পারেন ওবামা।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে মিসর সমস্যার প্রান্তসীমায় পৌঁছে গেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। মুরসি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুতর সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওয়াশিংটন অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিল। একই সঙ্গে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ বের করতে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে বৈঠক বসার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।
এর আগেই মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।