শ্রুশ্মমণ্ডিত চেহারাগুলো আবারও খুরধারে ছাচাছোলা হোক এমনটাই চাইছে মিসরের সেক্যুলার সেনাবাহিনী। মেয়েরা রাস্তায়, পার্কে, এখানে-ওখানে রাত-বিরাতে ঘুরে বেড়াক ফিনফিনে পোশাকে, এমন আকাক্সক্ষা যাদের তারা রাস্তায় নেমে ‘ইরহাল ইয়া মুরসি’ বলে চিৎকার করবে, মদের ভাড়ারে যাদের টান পড়েছে ওরাই শামিল হবে ‘তামাররদ’ প্রতিবিপ্লবে। সবকিছুর মূলে একটাই কথা, ভোগের স্বাধীনতা! পশ্চিমাদের মত জীবন কালচারে যারা অভ্যস্ত হতে চায়, মুরসির মত হাফেজে কুরআন ও নামাজি শাসক তাদের মাথার ওপর জঞ্জাল তো হবেই! সেই জঞ্জাল অপসারণে কুখ্যাত সেনাবাহিনীকে ডেকে আনার মত কাজটি তারা করে ফেলেছে কত অবলীলাক্রমে! বলছি, মিসরের কথা। যেখানে গত ছয়টি দশক ইসলাম ও সেক্যুলার, খিলাফাহ ও জাতীয়তাবাদের কঠিন সংঘাত চলে আসছে। বলতে ছয়টি দশক, কিন্তু সময়ের হিসেবে ওই সময়টুকু কত দীর্ঘ তা একমাত্র মিসরের সত্যিকারের বিশ্বাসী মানুষেরাই বলতে পারবে।
কেননা, এই সময়টিতে তাদের ওপর কী পরিমাণ জাহান্নামের বিভীষিকা চালানো হয়েছে তা মিসরের গল্প-উপন্যাস ও গণমাধ্যমের বিভিন্ন সংবাদ ভাষ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
শুরুটা চল্লিশের দশকের শেষ থেকে পঞ্চাশের দশকের প্রথমদিকে। মিসরের রাজপথে অজ্ঞাতনামা [এত দিনেও জানা গেল না?] বন্দুকধারীর গুলিতে রক্তাক্ত হলেন মুর্শিদে আম ইমাম হাসান আল বান্না। ১৯৪৯ সালের মার্চে ইসরায়েল-আরব উত্তেজনা যখন তুঙ্গে এমন এক সময় কালো পিছঢালা রাজপথ রক্তাক্ত হলো শহিদের খুনে। কেবল ইখওয়ানের প্রতিষ্ঠাতা নন, আল বান্না ছিলেন তাত্ত্বিক ও সমাজসংস্কারকও।
মাত্র ছয়জন সঙ্গী নিয়ে যিনি শুরু করেন শুদ্ধি আন্দোলন আর দুই দশকে তা পরিণত হয় কুড়ি লাখ স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের বিশাল কাফেলায়। ভোগবাদ, জাতীয়তাবাদ আর পশ্চিমা জীবনাচারকে পায়ে ঠেলে একদল মানুষ প্রস্তুত হচ্ছিল জীবনকে আল্লাহর রঙে রাঙিয়ে তুলতে। পুঁজিবাদ আর সমাজবাদের দড়িখেলায় কে বেশি পেল আর কে কম পেল এই সমীকরণে যখন বুদ্ধিমানরা ব্যস্ত, একদল মানুষ নিভৃতে নিজেকে বঞ্চিত করছিল ভোগের আহ্লাদ থেকে। ধীরে ধীরে প্রস্তুত হচ্ছিল মানস, তৈরি হচ্ছিল সমাজ। জীবনের প্রয়োজনে, জীবনের একান্ত অনুষঙ্গ দীনে ইলাহীকে মনেপ্রাণে কবুল করে নিতে তাদের যেন আর তর সইছিল না।
এমন একটি কাফেলার পথপ্রদর্শন করে মানুষের সমাজে মানবতার উপযোগী আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে যিনি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন, তিনি আল বান্না। ফেরাউনের দেশে দীনে মোহাম্মদির নতুন সৈনিক। কিন্তু বাতিল চুপ করে থাকার নয়। অপ্রতিরোধ্য এই সয়লাব যে ভোগের সবটুকু আয়োজন, নগ্নতার উচ্ছৃঙ্খল জোয়ারকে রুখে দেবে তা অনুধাবন করতে কষ্ট হয় নি তাদের। আর তাই ঘাতকের বুলেট কেড়ে নিল দরদীপ্রাণ ইমামের জীবন।
কিন্তু এতেই থেমে গেল না ফেরাউনের প্রেতাত্মারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ করা হলো ইখওয়ানকে। বন্দী হলেন, বিশিষ্ট ব্যক্তি, তাজাপ্রাণ তরুণ, বয়োবৃদ্ধ আলেম, সুশীল বুদ্ধিজীবী, উদীয়মান যুবক এমনি কি ঘরের কন্যা-জায়া জননীও। শুধু গ্রেফতারই হলেন না, কায়রোর কুখ্যাত সামরিক কারাগারে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও জঘন্য নিপীড়নের স্বীকারও হলেন। বন্দীদের আপন সহোদরের সঙ্গে সমকামিতায় বাধ্য করা আর যুবতীদের কৌমার্য ছিন্ন করা তাদের কাছে ছিল সাধারণ ব্যাপার।
কুখ্যাত ওই কারাগারটিকে নিয়ে অনেক গল্প, উপন্যাস, আত্মজীবনী এমনকি সিনেমাও তৈরি হয়েছে। তবে তার সঠিক স্বরূপ, জিঘাংসার বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা আদতে মুশকিল।
মিসর কেবল মুসার দেশই নয়। ফেরাউনের দেশও। কোরআন ও বাইবেলের বর্ণনা থেকে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০০ অব্দে মিসরে ফেরাউন বংশ শাসন করত।
ফেরাউন রাজাদের কবরের ওপর নির্মিত পিরামিড ও স্ফিংস এখানও সভ্যতার বিস্ময় হয়ে রয়েছে। ভূ-খ-টিতে ইসলামের বিস্তার সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে। এক সময় ক্রুসেডিয় শক্তির বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালিত হয়েছিল মিসরের ভূমি থেকে। শষ্য শ্যামলা মিসরকে বলা হয় নীল নদের দান। এখন থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক ভূগোলবিদ হিরোডটাস এমন অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন মিসর নিয়ে।
মরুরবুকে একখণ্ড সুবজ যেন মিসর। মিসরের আবহাওয়া আরবদেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। অবশ্য সেখানে শহরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কম। সৈয়দ মুজতবা আলী পাঠে জানা যায়, কায়রোয় বৃষ্টি নিয়ে হুলস্থূল কাণ্ডের কথা। এই দেশটির বুকচিরে বয়ে চলছে নীলনদের স্বচ্ছ সুনীল স্রোতধারা।
আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় বিশালাকার হ্রদগুলো থেকে নীল নদের উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই নদটি গিয়ে পড়েছে ভূমধ্যসাগরে। শীত ও বসন্তে নীলনদ শান্তভাবে চলে, কিন্তু বর্ষায় দু’কূল ছাপিয়ে আশপাশের সব জায়গা ভাসিয়ে দেয়। প্লাবনে নদীর উপকূলবর্তী অঞ্চল উর্বর হয়ে ওঠে, এতে ফসল ভালো হয়। এ জন্যেই নীলনদকে বলা হয় মিসরের প্রাণ।
ভৌগলিকভাবে মিসর মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূণ দেশ। এর ভৌগলিক অবস্থার দিকে চোখ বুলালেই দেশটিতে অস্থিরতার কারণ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। মিসরের অবস্থান আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর পূর্বকোণে। সুয়েজ উপসাগর দিয়ে মিসরের একটি অংশ সিনাই উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত, যাকে সাধারণত এশিয়ার মধ্যে ধরা হয়। মিসরের উত্তরে ভূমধ্যসাগর, উত্তর-পূর্বে ইসরায়েল, পূর্বে ইসরায়েল, আকাবা ও লোহিত সাগর, দক্ষিণে সুদান ও পশ্চিমে লিবিয়া।
আয়তন ৩,৮৬,৯৯০ বর্গমাইল। দেশটির ৯০ ভাগই মরুভূমি। ফলে ৯৯ ভাগ লোক বাস করে নীল নদের ব-দ্বীপ ও অববাহিকা এলকায়। লোকসংখ্যা গড়ে আট কোটি। এর শতকরা ৯৫ ভাগ সুন্নী মুসলিম, বাকিরা অধিকাংশ কপটিক খ্রিস্টান।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী আরববিশ্ব রাজনৈতিক সঙ্কটে নিপতিত হয়। দেশের অভ্যন্তরে গোত্রীয় শক্তির উত্থান ও জাতীয়তাবাদী চেতনা ও চিন্তাধারার প্রসার ঘটতে থাকে ব্যাপকভাবে। তুর্কিতে তখন কামাল আতার্তুকদের জয়জয়কার। খেলাফত ব্যবস্থা অপসারণ করে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করা হয় জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার শক্তি। ধর্মকে মানবজীবন থেকে বহিষ্কার ও ইসলামকে নির্বাসিত করা হয় ওসমানি খেলাফতের প্রাণকেন্দ্র তুরস্কে।
ওই সময় এর একটি প্রভাব দেখা যায় আরববিশ্বেও। বলা বাহুল্য, এই পুরো অঞ্চলটি ছিল বৃটেন ও ফ্রান্সের মজবুত কব্জার মধ্যে। মিসর তখন বৃটিশের অধীনে। বৃটিশের তত্ত্বাবধানে এখানে জাতীয়তাবাদের চারা রোপন ও পরিচর্যার ব্যবস্থা করা হয়। ‘জাতীয়তাবাদ’ () ও ‘স্বাদেশিকতাবাদের’ প্রতিধ্বনি আরব দেশগুলোতে শোনা যেতে থাকে।
বিভিন্ন স্বদেশী আন্দোলন ডানা মেলতে শুরু করে। এ সময় নাস্তিকতা, সমাজতন্ত্র ও অশ্লীলতার ব্যাপক বিস্তার ঘটে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে। দেশ ও জনগণ যখন নিজস্ব স্বকীয়তা বিসর্জন দিয়ে পাশ্চাত্যের ভোগবাদে নিমজ্জিত শহিদ হাসান আল বান্না তখন [১৯২৮ সালে আলেকজান্দ্রিয়ায়] প্রতিষ্ঠা করেন ইখওয়ানুল মুসলিমিন দলটি। উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সমাজে আদর্শিক বিপ্লব সৃষ্টি এবং আত্মিক পরিশুদ্ধি চালানো। ১৯২৮ থেকে ১৯৪৯ দীর্ঘ একুশ বছর এই লক্ষ্যে কাজ করে যায় ইখওয়ান।
বিপুল সংখ্যক মানুষ ঝুঁকে পড়ে তাদের এই সমাজবিপ্লবী চিন্তাধারার প্রতি। ক্রমশ বাড়তে থাকে সমর্থন। ওই সময় মিসর থেকে বৃটিশ খেদাও আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে ইখওয়ান। কিন্তু বিপ্লব পরবর্তী ক্ষমতায় আরোহণ করা সেনাশাসক নিজেদের ভোগবাদী ইচ্ছার সামনে একমাত্র প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে পায় ইখওয়ানিদেরকে। ফলাফল হিসেবে হাসান আল বান্নার শাহাদাত এবং দলটিকে নিষিদ্ধকরণ ও নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন।
ষাটের দশকের মধ্যভাগে ইখওয়ানের কেন্দ্রীয় নেতা ও তাত্ত্বিক সাইয়্যেদ কুতুব ও তাঁর সঙ্গীদের ফাঁসি দেয় জামাল নাসেরের সরকার। এরপর আনোয়ার সাদাতের সময় সত্তুর ও হোসনি মোবারকের আশির দশকে ব্যাপক নিপীড়নের মুখে পড়ে দলটি। ইখওয়ানের মুর্শিদে আম শেখ হোজাইফী একবার ইউরোপিয় একটি ‘পশু অধিকার সংরক্ষণ’ সংস্থাকে বলেছিলেন, ‘ইখওয়ানিরা মিসরে কুকুর-বিড়ালের অধিকার চায়। কারণ, কুকুর-বিড়াল যখন খুশি ডাকতে পারে, কিন্তু ইখওয়ানিরা নিজের ঘরের চার দেয়ালের মাঝেও মন খুলে কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত। ’
হাজার হাজার ইখওয়ানির সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে সেনা শাসক জামাল আব্দুন নাসের।
ফেরাউনি রক্তের এই উত্তরাধিকার ছাড় দেয় নি পৃথিবীখ্যাত মুফাসসির ও মুজাদ্দিদ সাইয়্যেদ কতুব শহিদ ও তাঁর পরিবারকেও। বোন হামিদা কতুব, আমিনা কতুব আর ভাই মুহম্মাদ কুতুব কয়েক দশক পর্যন্ত বন্দী ছিলেন ওই কারাগারে। এমনকি মুক্তি পেলেও জীবনের শেষ দিনটিও নির্বাসনে কাটান উস্তাদ মুহাম্মদ কুতুব। জামাল নাসেরের পর আনোয়ার সা’দাত এবং তার পর মোবারক আমলেও নির্যাতনে নিপীড়িত হতে থাকে ইসলামি শক্তি। ১৯৫৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দেশটি শাসন করেছে চারজন সামরিক শাসক।
মিসরের মতো দেশে যেখানে দাড়ি রাখতে সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন, হিজাব পরলে নানা বিপত্তি সেখানে মানুষ মুক্ত ও স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করবে এমন সুযোগ কখনই ছিল না। কিন্তু এত কিছুর পরও মিসরের মাটি থেকে ইসলামকে উৎখাত করা সম্ভব হয় নি। গণমানুষের অব্যাহত ক্ষোভ ও ক্রোধ শেষ পর্যন্ত আরব বসন্তের রেশ ধরে রাস্তায় উপচে পড়ে। মোবারকের বিরুদ্ধে উচ্চকিত হয় মানুষ। ‘আজ তিউনিসিয়া কাল মিসর’ স্লোগানে উজ্জীবিত তরুণরা তাহরির স্কয়ারসহ দেশের রাজপথগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
বলাবাহুল্য, এদের মূল শক্তিটিই ছিল ছয়দশকের নিপীড়িত ও বঞ্চিত ইখওয়ানুল মুসলিমিন। মিসর তথা আরব বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ও জনপ্রিয় দল হচ্ছে, ইখওয়ানুল মুসলিমিন। আঠার দিনের টানা বিক্ষোভ-বিদ্রোহে মোবারকের পতন ঘটলে ক্ষমতা চলে যায় সেনাদের হাতে। জনগণের বিপ্লব ছিনিয়ে নিতে কম করে নি পশ্চিমের একান্ত বাধ্যগত সেনাবাহিনী। পশ্চিমারা চায় না কোনে কালে কোনো দেশে ইসলামপছন্দ শক্তি ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করুক।
যারা দেশের সম্পদ বিদেশিদেরকে অন্যায়ভাবে ভোগ-দখল করতে দেবে না। এছাড়া সরকার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করুক, পশ্চিমের কর্পোরেশগুলো তাও চায় না। তাই মিসরে বিপ্লবের ফসল হিসেবে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতায় আসবে, তা মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না পাশ্চাত্য শক্তি। ফলে আবারও জনগণকে রাস্তায় নেমে আসতে হল। ১৬ মাস ক্ষমতা দখলে রাখার পর বিপুল ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী।
কিন্তু এরপরও নানাভাবে চলে তাদের প্রতিবন্ধকতা। বিচার বিভাগের অসহযোগিতা তার দায়কে আরও বাড়িয়ে দেয়। একটি বছর ষাট বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। তবুও তার কাছে এমনটি দাবি করা হয়েছে। সেই অসম্ভব চাওয়াকে পুঁজি করে জনগণের একাংশের প্রতিবাদ এবং ওই প্রতিবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া শুধু মিসর নয় পুরো বিশ্বে একটি ভুল বার্তা পৌঁছাবে।
মিসরের ইসলামপন্থীরা যখন শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিবর্তনের পথে হাঁটছে, তখন তাদের ওপর আবারও জিঘাংসা ছাপিয়ে দেওয়ার পরিণাম যে ভালো হবে না, তা নিয়ে এখনই পশ্চিমের অনেক বিশ্লেষক হইচই করছেন। সামনের দিনগুলোতে আরও চমকপ্রদ অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তবে এটা ঠিক, পঞ্চাশের দশকের বিশ্ব আর আজকের বিশ্ব একই অক্ষরেখায় দাঁড়িয়ে নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।