মুসলিম এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মিসর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করে।
এর বাইরে ইরাকও বাংলাদেশকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের পক্ষে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনের শরিক ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে তারা। সেই সূত্রেই গণহত্যার বিপরীতেই অবস্থান ছিল মিসরের। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দিকের রাষ্ট্রগুলোর একটি মিসর।বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি প্রতিবেশী ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর অবদানও অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ চলছিল, তখন বিশ্বনেতারাও নীরব ছিলেন না।
ভারত সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রভৃতি বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রশ্নে একযোগে কাজ করেছে। বাংলাদেশকে নিয়ে পাকভারত যুদ্ধ শুরু হলে তা নিয়ে জাতিসংঘে তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় এবং প্রস্তাব উঠে যুদ্ধবিরতির। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে একাধিকবার ভেটো প্রদান করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। কারণ যুদ্ধে সে সময় পাকিস্তানের পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার। ব্রিটেন এবং ফ্রান্সও ভোটদানে বিরত থাকে।
বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকাও ছিল উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানি গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কার্যক্রম তারা তাদের লেখনী ও প্রচারণার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।