আর কেন সম্মেহন-এ পাপ, থাক- ‘বেদনা আমারি থাক’
মিসর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য নয়, ইসরাইলি মন্ত্রীদের নেতানিয়াহু
মিসরের চলমান গণবিক্ষোভ সম্পর্কে যেকোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসরাইলি মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরআগে মিসরের আন্দোলন সম্পর্কে শনিবার ইসরাইলি এক মন্ত্রীর বিরূপ মন্তব্যের পর নেতানিয়াহু এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে হারেৎজ ডট কম নামের একটি অনলাইন সংবাদপত্র।
রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে কায়রোসহ মিসরের বড় শহরগুলোতে। শুরুতে এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলেও পরে তা সহিংস রূপ নেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সান্ধ্য আইন জারি করে সরকার।
তারপরে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীকে।
আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে শনিবার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাংচুর করে লুটপাট চালায় বিক্ষোভকারীরা। এসময় দেশজুড়ে আতঙ্ক নেমে আসে। সরকারি বিভিন্ন ভবন, ব্যাংক, বিপণী বিতানেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। পথে পথে লুটপাট, আগুন আর ভাংচুরে মিসরে নেমে এসেছে অরাজকতা।
পুলিশ ও সরকারবিরোধীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে শতাধিক। এরপরেও পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক।
এ প্রসঙ্গে শনিবার ইসরাইলের একজন মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিসরের চলমান আন্দোলন দমনে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক সফল হতে পারবেন বলে মনে হয় না। তার এ মন্তব্যের পর মিসরের চলমান গণবিক্ষোভ সম্পর্কে যেকোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য ইসরাইলি মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সম্পর্কে নেতানিয়াহু বলেন, মিসরের আন্দালনের গতিপ্রকৃতি তিনি নিজেই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এভিগদোর লিবারম্যান পর্যবেক্ষণ করছেন।
এজন্য মিসরে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইৎজাক লিভাননের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
মধ্যপ্রাচ্যে মিসর হচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ মিত্র। মিসরে চলমান গণআন্দোলন সফল হলে ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইসরাইল অনেকটাই সমস্যাগ্রস্ত হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে আন্দোলনের মুখে শুক্রবার মিসরের মন্ত্রিসভা ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক।
গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ও প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক সহকর্মী ওমর সুলাইমানকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় শনিবার।
এর পরপরই বিমান বাহিনীর সাবেক কমান্ডার ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী আহমেদ শফিককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন মোবারক। সরকার পুনর্গঠনের এ উদ্যোগকে অনেকে ইতিবাচক বললেও সরকারবিরোধীরা সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করেই রাজপথে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : এপি, আল-জাজিরা, রেডিও তেহরান, জেরুজালেম পোষ্ট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।