শহীদ রুমী স্কোয়াড এর আমরণ অনশণরতদের পরিচয় এবং উদ্দেশ্য নিয়ে শাহবাগের এক যোদ্ধার প্রশ্ন ছিল, ওরা কারা??
প্রশ্নকারীকে ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রচন্ড শ্রদ্ধা করতাম, তার লেখা আমার হ্নদয়ে দাগ কাটতো।
তার মত একজন ব্যক্তি যখন সাদাত হাসান নিলয়কে চেনেন না তখন আমাকে মুখ খুলতেই হয়। বলতে বাধ্য হই, নিলয় রণাঙ্গনের সেই পরিক্ষিত সৈনিক যে ইনহেলার নিতে নিতে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগানের লিড দিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রগতিশীল শিক্ষার্থীর নিকট ৬ ফুট উচ্চতার এই কালো ছেলেটি পরিচিত। তার পরিচয় তিনি সাম্যবাদী সমাজ নির্মাণের দাবিতে পুলিশের লাঠির সামনেও স্লোগান দিত।
একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবসে বা স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলী দেওয়ার সময় জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের দাবিতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তোলা স্লোগানে প্রকম্পিত হত শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ চত্বর।
নিলয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র, প্রগতিশীল ছাত্র জোটের অন্যতম নেতা। থাকতেন একুশে হলের শহীদ রফিক ব্লকের পঞ্চম তলায়। ওখানে গিয়ে জেনে আসুন ভ্রমন প্রিয় এই ছেলেটি, কখনো জামায়াত-শিবিরের পক্ষে কথা বলেছে কিনা??
আপনারা নিলয়কে চেনেন না?? প্রজন্ম চত্বরের শহীদ জননীর ম্যুরাল তোলার দায়িত্বে যে কালো ছেলেটি ছিল তাকে কি চিনতে পারেন, যে ছেলেটির অনুরোধে সন্ধ্যার আলো নিভিয়ে দিয়েছিলেন, ম্যুরালের আলোয় যে ছেলেটি শাহবাগ চত্বরকে আলোকিত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল, তার নাম সাদাত হাসান নিলয়।
সেই নিলয় এখন রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করতেই আপনারা তাকে ভুলে গেলেন।
প্রশ্ন তুললেন তার পিতার পরিচয় নিয়ে।
নেতা কখনো জন্ম নেয় না, জনতা নেতা তৈরি করে। সময়ের প্রয়োজনে জনতা যতি নিলয়,শুভ্র এবং দ্বীপকে বাংলার নেতা হিসেবে জন্ম দেয়, তবে তাদেরকে মেনে নিতে আমার কোন দ্বিধা নেই। কারণ নেতা যদি সঠিক নির্দেশনা দিয়ে জনতাকে বিজয় উপহার দিতেই পারেন, পারেন জামায়াত-শিবির মু্ক্ত বাংলা উপহার দিতে তাহলে আপনার সমস্যা কোথায়??
জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি এবং ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতিকে নিষিদ্ধে নিলয়দের সকল দাবির প্রতি আমার আকুন্ঠ সমর্থন আছে, যেমন সমর্থন ছিল প্রজন্ম চত্বরের দাবির সাথে। আমি নিলয়কে চিনি না, চিনতে চাই তরুন প্রজন্মকে যারা নিজেদের জীবন দিয়ে আমার দাবিকে আদায়ের সংগ্রাম করছে।
বিপ্লবী মরে, কিন্তু বিপ্লব কখনো মরে না। বিপ্লবের দায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মকে দিয়ে যেতে হয়। এটা নিলয়রা জানে।
আমি নিজে আপনাদের আন্দোলনে যোগ দিতে পারিনি, তবে আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিতে দ্বিধান্বিত হব না।
জয় আপনাদের হবেই।
শহীদ রুমি স্কোয়াড বেঁচে থাকুক প্রতিটি বাঙ্গালীর চেতনায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।