আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেতা শব্দটির সাথে সার্ভিস বিষয়টি জুড়ে দেয়া গেলে আমরা অর্থবহ শক্তিমান সামাজিক ইসলামী নেতা পেতাম...

সকল মতাদর্শকে আন্তরিকতার সাথে অধ্যয়ন করি। বেশীরভাগ ইসলামী দলের চিন্তাচেতনা হল জনগন কিছু বুঝেনা তাই তাদের বুঝাতে হবে। দাওয়াত এন্ড দাওয়াত। আমার অবজারভেশন জনগন পরিবেশ থেকে তাদের জাগতিক সুবিধা অসুবিধার অনেক কিছুই বুঝে। তবে জনগন র্দীঘমেয়াদী , সুক্ষ অনেক বিষয় কম বুঝে থাকতে পারেন।

এক্ষেত্রে রাষ্টনায়ক , দার্শনিক , সমাজবিজ্ঞানীদের দরকার পড়ে। নেতার কনসেপ্ট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পরিচিত ইসলামী সংগঠন সমুহ যে ধারনা দেয় তা হলঃ ১. নেতার আনুগত্য ফরজ। ২.নেতার আনুগত্য না করলে আমল বরবাদ হবে। ৩.নেতা যতক্ষন নামাজ পড়ে ততক্ষন আনুগত্য করতে হবে। ৪. নেতাকে পরামর্শ দেয়া যাবে।

৫. পরামর্শ মানতে নেতা বাধ্য নন। নেতার মধ্যে মানবীয় গুনাবলী ডেভেলপ হলে অধস্তনরা ভাল থাকেন কিন্তু মানবীয় গুনাবলী ডেভেলপ না হলে অসহনীয় স্বৈরাচারী আচরন প্রকৃষ্ট হয়ে উঠে। বাহ্যিক ভাবে দেখলে উপরোক্ত ৫টি পয়েন্টে একজন স্বৈরাচারী নেতার বৈশিষ্ট্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। "সেবার জন্য নেতৃত্ব " এই বিষয়টির সাথে আমরা পরিচিত । নেতা বিষয়টির কনসেপ্ট বর্ননার সময় জনগনের বা অধীনস্তদের জন্যে সার্ভিস বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বর্ননা করা গেলে ও প্রায়োরিটি দিলে আমরা অর্থবহ শক্তিমান , সামাজিক ইসলামী বা ধার্মিক নেতা পেতাম।

জনগনকে সেবা দেয়ার মনমানসিকতা নাই অথচ নেতা হতে চান! ইসলামী নেতারা রুবুবিয়াতের (স্রষ্টার )হক আদায় করার জন্যে জনগনকে যতটুকু উদ্বুদ্ধ করতে আগ্রহী ততটুক ইহকালীন বা জাগতিক সমস্যার সমাধানে আগ্রহী নন। তাই পৃথিবীর নেতৃত্ব তাদের হাতে না যাওয়াটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে পরকালমুখী জীবন গঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য আল্লাহর আইন মেনে নিয়ে জাগতিক সমস্যার সমাধান ও পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করা মাত্র। সবাই আল্লাহ'স রুলস এন্ড রেগুলেশনে মেনে নিলে ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিল , কোন গ্রুপ বা দলীয় স্বার্থ হাসিলের আইন দ্ধারা কেহ এফেক্টেড হবেনা। এটাই অর্ন্তনিহিত তাৎপর্য।

তবে হারামের সাথে ম্যাচ করে এই রকম রুল'স ছাড়া আপনি অন্য আইন প্রনয়ন করতে পারবেন তবে তা ইসলামিক প্রিন্সিপ্যালের সাথে সাংঘর্ষিক হবেনা। আপনি আল্লাহর ইবাদাতের জন্য মোটিভেশন চালাতে পারেন কিন্তু আপনি ইসলামী নেতা হলেও আল্লাহর সন্তুষ্টির গ্যারান্টি দিতে পারেননা বা জান্নাতের টিকিটও দিতে পারেননা। তাই আল্লাহর খলিফা হয়ে আপনি রুবুবিয়াতের হক আদায়ের জন্য জনগনের মাঝে মোটিভেশন চালাবেন সাথে সাথে জনগনের জাগতিক সমস্যা সমাধানে আপনাকে দৃশ্যমান ব্রতী হতে হবে। এখানে প্রদর্শনেচ্ছার কথা তোলা বোকামী কারন আপনি মেডিকেল সার্ভিস দিতে চান কিন্তু জনগন জানেনা আপনার মেডিকেল সার্ভিস কোথায় পাওয়া যাবে। তাইলে তো জনগন আপনার সার্ভিস নিতে পারবেনা।

তাই হাসপাতাল বা ডাক্তারের এডভারটাইজমেন্ট দরকার। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা হাসপাতালের চেয়ারম্যান বা পরিচালনা পর্ষদ বা এডভারটাইজমেন্ট হওয়া একজন ডাক্তারকে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ায় যে মূল লক্ষ্য তা স্মরন করিয়ে দিতে পারি দলীয় প্রোগ্রামে বা শিক্ষা ব্যবস্থায়। পরকালমুখী জীবন মানে দুনিয়া সম্পর্কে নিষ্পৃহ থাকা নয় বরং স্রষ্টার দেয়া নিদের্শনার আলোকে জীবন পরিচালনা। আল্লাহর কাজ সঠিক ভাবে করার জন্যে "ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করাই শ্রেষ্ঠ ইসলামী কাজ" বলে মনে করি। জানি অনেকেই আতকেঁ উঠবেন ।

আপনি ক্ষমতার রাজনীতি না করে ইসলামী আন্দোলন করে এমন সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে বা এমন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে আপনি যা কাজ করবেন ক্ষমতায় গিয়ে আপনি অল্প পরিশ্রমে তা করতে পারবেন। অন্য কোন দিন ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করাই শ্রেষ্ঠ ইসলামী কাজ এই কথার ব্যাখ্যা নিয়ে লিখব আশা রাখছি। আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে লোক গঠনের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছিনা কোনভাবেই। জনগনকে সেবা দেয়ার মানসিকতাহীন ,শুধুমাত্র পরকাল নির্ভর ,উচ্চকন্ঠে জনগনের জন্যে দুর্বোধ্য , কঠিন ও সাহিত্যমান সম্পন্ন শব্দ প্রয়োগে বক্তব্য দিতে অভ্যস্ত, চেহারায় কৃত্রিম ভাব নিয়ে পরকাল নিয়ে চিন্তাক্লিষ্ট বলে ভক্তদের ধারনা দেয়ার কৌশলী চেষ্টা , হাসিকে তাকওয়ার ঘাটতি মনে করা বা ব্যাক্তিত্বহীনতা বা হালকা মেজাজের আখ্যায়িত করা , নিজের ভাল লাগা ইসলামী দার্শনিকের বা নেতার সিস্টেমের সাথে সাংঘর্ষিক অন্যের ব্যাতিক্রম মতকে ষড়যন্ত্র বা ইসলামিক জ্ঞান কম বলে উড়িয়ে দেয়া, সামষ্ঠিক পাঠ-কুরআনতালিম-জনশক্তি বৈঠক-দায়িত্বশীল বৈঠক-মিছিল ও কিছু নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামের ফ্রেমে আটকে যাওয়া সর্বোপরি জনগনের ইহকালীন সুখ দুঃখ নিয়ে চিন্তা করতে ব্যর্থ হওয়া ইসলামী দলের আদৌ কোন আসন সংসদে পাওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা সেটাই চিন্তার বিষয়। তবুও জনগন দয়া করে যা ভোট দেয় তাও তো অনেক বেশী কিছু।

তাই অনেক ইসলামী দলের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গী ও নিয়ম আপগ্রেডেশনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি তীব্রভাবেই। যতদিন ইসলামী দলের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন হচ্ছেনা ততদিন ধর্মনিরপেক্ষতা , আধা ধর্ম নিরপেক্ষতা বা মনের মাঝে ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য গোপনে ভালবাসা লালনকারীদের হাতে আমরা নিষ্পেষিত হব। পরিত্রান পাওয়া যাচ্ছেনা সহসা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.