ছবিটি আখাউড়া ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর উপরে দুটি ব্রিজ এর লান্ডস্কোপ । ২০০৮ সালে তোলা ছবিটি দেখলে যে কারো সেই নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার বাসনা আসতে পাড়ে । নদীর মাঝে ছোট চর আর একটা গাছ
আগের ছবিতে যে গাছ আর চর দেখেছিলেন তার ছবি তিতাসের ব্রিজ থেকে তোলা । ২০০৯ তোলা ছবিতে চরের মাঝে কিছু মানুষের জীবন।
হাজার বছরের নিষ্পেষিত বাঙ্গালী এক জেলের কর্মস্থল।
পেছনে সেই ছোট চরের বৃহৎ বৃক্ষ। মল্লবর্মণের কোনো এক চরিত্র ,আর না বলা কথা ।
২০০৮ সালে তোলা সড়ক ব্রিজ এর ক্লোজ শট । দূরে পিলারের নিচে সেই ছোট চর আর তার বৃহৎ বৃক্ষ দেখা যায় । নদী থেকে তোলা ।
তিতাসের নৌকা ভ্রমন আসাধারন ছিল মনে হয় ।
ইংরেজদের ফেলে যাওয়া রেইলয়ে ব্রিজ। আজো চলছে । তিতাসের উপর রাস্তা বানানোর দুঃসাহস ওদের হয় নি। কেন তখন কি এই মুলুকে বাঘ ভাল্লুকের রাজত্ব ছিল ।
তিতাস ব্রিজ এর নিচ থেকে তোলা । তলতলে ঠাণ্ডা পানি । তিতাসের পানি । উজানের বাধে পানির হাহাকারের তিতাস ।
এখন ২০১০ এর তিতাস ।
ইটেরর সুরকি ফেলে বানানো হচ্ছে রাস্তা। ভারতের জন্য রাস্তা। পৃথিবীর কোনো সভ্য স্বাধীন জাতীর ইতিহাসে আজ ও তা হয় নি ।
২০১১ সেই তিতাসের উপর আজ জল জ্যান্ত রাস্তা । ভারতকে ট্রানজিট দিতে আমাদের জাতির পিতা র কন্যা হাসিনা তিতাসে রাস্তা বানিয়েছেন ।
সেই তিতাস কে গলা টিপে হত্যা করেছেন যার জন্য তার পিতা কোনো আপোষ করেন নি কারো সাথে । পিতার যোগ্য সন্তান বটে !
ছবি গুলো দেখলে কান্না আসতে পারে । কারন কেদেছি আমি , কাদতে দেখেছি বন্ধুকে । কিভাবে একটা নদিকে মেরে ফেলা হলো । আর মানুষগুলো কিছু করল না ।
একজন বাংলাদেশী কখনই মেনে নেবে না এই অত্যাচার। সেদিন সীমান্তে হত্যা করা হয়েছে ছোট বোন ফেলেনিকে ,আর ২ বৎসর ধরে তিলে তিলে হত্যা করা হলো তিতাস কে । কেউ দেখার নেই ?
এবার জাগো বাঙ্গালী ,৭১ সেদিনের মত বয়ান্নেরর মত। তোমার নদী আর দেশ আজ তোমায় চায় ।
চলুন সেই বায়ান্নর ২১ ফেব্রুয়ারির মত আসছে ২১ ফেব্রুয়ারি তে জানিয়ে দেই ওপাশের দোসর দের , বাঙ্গালী রক্ত দেবে তবে নদী দেবে না ,দেবে না আত্মমর্যাদা ।
চলুন যাই তিতাসের পাড়ে , কোদাল দিয়ে কেটে দেই অত্যাচারির বাধা বাঁধ । জানিয়ে দেই বিশ্বকে ,'' বাঙ্গালী গরীব হইবার পাড়ে তয় আত্মমর্যাদা হীন না ''
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।