জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
স্বামীর উদ্দেশ্য সাজ-সজ্জা গ্রহন করা একটি সওয়াবের কাজ। স্বামীর উদ্দেশ্য সাজ-সজ্জায় থাকার জন্য স্ত্রীর প্রতি শরীয়তে নির্দেশ রয়েছে।
বর্তমানে নারীদের অবস্থা হলো, স্বামীর সামনে তারা নোংরা অপরিছন্ন ও ময়লা কাপড় চোপড় পরে থাকে। আর বাইরে বেড়াতে যাবার সময় আপাদ-মস্তক সুসজ্জিত হয়ে যায়।
কেউ স্বামীর উদ্দেশ্য সাজ-সজ্জা গ্রহন করলে সমালোচনা শুরু হয়ে যায় যে, মেয়েটির লাজ-লজ্জা বলতে কিছুই নেই- স্বামীর সামনে সে কেমন রূপ চর্চা করছে!
পরিতাপের বিষয়! যেখানে সাজ-সজ্জা গ্রহন করা উচিত সেখানে তা নিন্দনীয়। আর যেখানে
সাজ-সজ্জা গ্রহন করা উচিৎ নয় সেখানে তা প্রসংশনীয়। স্বামী যখন স্ত্রীর সাজ-সজ্জা কামনা করে তখন তা গ্রহন না করার কি যু্ক্তি থাকতে পারে?
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, মহিলারা স্বগৃহে তো বাঁদী-দাসী ও গৃহপরিচালিকার ন্যায় অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন্ থাকে। আর যখন কোন বিশেষ অতিথির আগমন ঘটে তখন বিভিন্ন সাজ-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে সম্পূর্ন নববধু বনে যায়।
প্রতিটি জিনিষের একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে।
আমার প্রশ্ন, ভাল কাপড় -চোপড় পরিধানের উদ্দেশ্য কি শুধু অন্যদেরকে দেখানো? অদ্ভুত কান্ড! যাকে দেখানের জন্য এই কাপড়-চোপড় ও সাজ পোশাক তৈরী হয়েছে, যার টাকায় তৈরী বা কেনা হয়েছে, তার সামনে তা পরিধান না করে অন্যদের সামনে পরিধান করা হয়। বিষয়টা কিছুটা লজ্জাজনক হলে ও সংশোধনের প্রয়োজনের বলতে হচ্ছে।
আজকালকার স্ত্রীরা স্বামীর সাথে কখনও স্বতঃফূর্তভাবে কথা বলবে না । তার সামনে ভাল কাপড়-চোপড় পরিধান করবে না। অতচ অন্যের গৃহে গেলে সুমিষ্টভাষী বনে যাবে, সুন্দর থেকে সুন্দরতম এবং উন্নত থেকে উন্নততর সাজে সজ্জিত হবে-এ কেমন কথা? অর্থ খরচ করবে স্বামী আর উপভোগ করবে অন্যরা?
সূত্রঃ
কোরআন ও হাদীসের আলোকে পারিবারিক জীবন
মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রঃ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।