শক্তের ভক্ত, নরমের জম। জেনে গ্যাছে এবার কানা আজম। রাসুলের (সা.) প্রতি মিথ্যাচার করে মসজিদকে মন্দির বানিয়ে হিন্দুদের দিয়ে উলুধ্বনি দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। এ ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে রয়েছে আইন ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি। অবিলম্বে তাদের অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ও সমমনা ১২ দল।
গতকাল সোমবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে ১২ দলের নেতারা এ দাবি জানান। নেতারা বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের কথা বাদ দেয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দুদের মা দুর্গার প্রতি তার বিশ্বাসের কথা প্রকাশ করেন। এখন ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর মুখ দিয়ে ‘রাসুল (সা.) মসজিদ হিন্দুদের ভাগ করে দিয়েছিলেন' বলিয়ে হিন্দুদের মসজিদ ভাগ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই ইসলামের ওপর একের পর এক আঘাত হেনে চলেছে। ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করাই এই সরকারে উদ্দেশ্য।
তাই দেশ ও ঈমান বাঁচাতে
সংশ্লিষ্ট খবর
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী নিজেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন
পবিত্র মসজিদ বিধর্মীদের মধ্যে ভাগ করার কথা বলে দুই প্রতিমন্ত্রী কুফরী করেছেন -অধ্যাপক মুজিব
মসজিদ নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মিথ্যা বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে
ভাগ করে দেয়ার কথা বলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কুফরী করেছেন -জাতীয় ফতোয়া বোর্ড
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে
এ সংশ্লিষ্ট আরো খবর
হলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ছাড়া আর কোন পথ নেই। এজন্য সবাইকে নিয়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) মিলনায়তনে আলোচনা সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শাহজাহান মিয়ার দেয়া ‘রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক হিন্দুদের জন্য ভাগ করে দিয়েছিলেন' ও ইফা মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজলের ‘রাসুল (সা.) মসজিদের অর্ধেক ইহুদীদের ভাগ করে দিয়েছিলেন', এর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ‘রাসুল (সা.) ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন' বক্তব্যের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা মুহিউদ্দিন রববানী ও যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানী, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, শর্ষিণার ছোট পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মীরের সরাই পীর মাওলানা আব্দুল মোমিন নাসেরী, খেলাফত আন্দোলনের দফতর সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেন, শেখ হাসিনা নাকি নামাজ পড়েন, সেজদা করেন।
আবার তিনি দুর্গার প্রতিও বিশ্বাস করেন। তিনি বলেছেন, মা দুর্গা গজে চড়ে আসার কারণে নাকি ফসল ভালো হয়েছে। আমরা কোন দুর্গার বাচ্চাকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। এই সরকারের পতন চাই। আল্লাহ তুমি এদের পতন ঘটাও।
মাওলানা ইসহাক বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক ধর্মের ওপর আঘাত হানছে। এখন দেশ বাঁচাও, ঈমান বাঁচাও শ্লোগান দিয়ে মাঠে নামতে হবে। আওয়ামী লীগের পতন ছাড়া পথ নেই। সবাইকে নিয়ে তীব্র গণআন্দোলন শুরু করবো আমরা।
মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ দিয়ে দুর্গার প্রতি তার বিশ্বাসের কথা বলে ঈমান হারিয়েছেন।
এখন শাহজাহান মিয়া দিয়ে পুরো মসজিদে হিন্দুদের ছেড়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। তারা একদিন বলবেন, মসজিদে নামায হবে না উলুধ্বনি হবে। তাই ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইফা ডিজির শাস্তি চেয়ে লাভ নেই। আসল জায়গায় যেতে হবে। হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
মাওলানা মুহিউদ্দিন রাববানী বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইফা ডিজিকে অপসারণ করে শেখ হাসিনা যেন দায়-দায়িত্ব মুক্ত হন। মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ও ইফা ডিজির খুটির জোর কোথায়? এদের অপসারণ না করলে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হঠানো হবে। ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, অবিলম্বে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ও ইফা ডিজিকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। না হয় পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।