নিজে শিখি ও অপরকে জানাই অনেকের মুখেই আজকাল শুনতে পাই একথা বলতে যে, নাস্তিকতা আলাদা একটি ধর্ম । আস্তিকের যেমন আস্তিকতার অধিকার আছে , তেমনি নাস্তিকেরও আছে নাস্তিকতার অধিকার । আপনি কি মনে করেন?
একটি ছেলে অপরের গাছ থেকে অন্যায়ভাবে আম পেরে খাচ্ছে । আপনি বললেন কেন একাজ করলে? সে জানাল, তার মন চেয়েছেতাই করেছে । এখানে দেখেন ছেলেটি আম পেরে খেয়েছে কারন তার মন চেয়েছে ।
এখানে তার মন-ই হচ্ছে তার খোদা । সে তাকেই মেনে চলে । একথাই পবিত্র কুরআনে এসেছে এইভাবে-
‘ তুমি কি তাকে দেখেছ? যে তার মনকে ইলাহ/প্রভু বানিয়ে নিয়েছে । '
নাস্তিকেরাও এরকমই । সে আল্লাহকে মানেনা সত্য কিন্তু মনকেই যে সে আল্লাহ বানিয়ে নিয়েছে তা বুঝতে পারেনা ।
তাই বলা হয়ে থাকে, আল্লাহ না থাকলে মানুষই আল্লাহকে বানিয়ে নিত তার প্রয়োজনে । আশেপাশে তাকান এর প্রমাণ পাবেন ।
আমাদের স্যার বলেন, নাস্তিকেরা আসলে এক ধরনের ঘোর মিথ্যাবাদী । সে জানে সে নিজে নিজে সৃষ্টি হয়নি তাকে কেউ সৃষ্টি করেছে । তারপরেও সে তাকে অস্বীকার করে ।
উচিত ছিল কে তাকে সৃষ্টি করেছে তার অনুসন্ধান করা, তার পরিচয় খুঁজে বের করা । তা না করে সে অবুঝ শিশুর মত তাকে অস্বীকার করে বসে, কেননা, তাকে খুঁজতে গেলে মাথার ঘাম ঝরাতে হবে কিন্তু অস্বীকার করলে বসে বসে ললিপপ চুষা যাবে ।
আমাদের দেশের দিকে তাকান, এখানে কারা নাস্তিক? আসলে এরা সুবিধাবাদী । সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ এটাই তাদের একমাত্র বুলি । আস্তিক হতে গেলে তাকে অনেক অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে তাই আস্তিকতার কাছে না এসে নাস্তিকতাকে বেঁচে নেয়।
মুলত এরা দুনিয়ার জীবনকেই প্রথম ও শেষ মনে করে তাই একাজ করে । ভাবুনতো, ধনী গরিবের মাল মেরে খেল কিন্তু গরিব কিছুই করতে পারলনা এর প্রতিকার হওয়া উচিত কিনা? গরিব ন্যায্য অধিকার পাবে এটা দরকার কিনা? যদি এই দুনিয়াই সব হত তাইলে ভালো মন্দের মাঝে কোন তফাৎ থাকত না , ধনী গরিবের মাঝে বৈষম্য থাকত না । অবশ্য নাস্তিকেরা আর যাই করুক একদিন যে মরতে হবে এটা অস্বীকার করেনা !!! আচ্ছা বাদ দিন সব কথা । ধরুন,আমি পরকাল আছে মনে করে আস্তিকতা চর্চা করে মরে গেলাম,থাকলে আর আপনি নাস্তিকতা চর্চা করে মারা গেলেন ,গিয়ে দেখলেন পরকাল আছে তাইলে ঐ কালে আপনার কি দশা হবে ?
যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার নাক দিয়ে বায়ু যাবে বের হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত আপনার চিন্তার অবকাশ আছে । একবার বায়ু চলে গেলে আর ভেবে লাভ হবেনা।
রোগী মরার পর ডাক্তার এসে ফায়দা কি ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।