I am a general Muslim বাংলাদেশের ৮৯.৫% লোক মুসলমান (তথ্যসূত্র: Click This Link)।
কিন্তু বেশ কিছু দিন আগে "আর মাত্র দুইটি ভোট পেলে ৫০% লোক নাস্তিক" মোটামুটি এমন একটি শিরোনাম চোখে পড়েছে । আসলে এমন শিরোনামের পিছনে রহস্য কি? মানুষকে বোকা বানানো। এমন ভুয়া জরিপ দিয়ে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার পেছনে কারন কি? যাই হোক উত্তর খোঁজার দরকার আমার আপাতত নাই। আমি শুধু বলতে চাই এদেশের সমস্ত নাস্তিকই সঠিক জিনিস বুঝতে না পেরে পথভ্রষ্ট হচ্ছেন।
কয়েকদিন আগে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নাস্তিকের সাথে কথা হল। আমি তাকে বললাম কোআনের মত এমন মহাসত্যকে অবিশ্বাস করার পিছনে কারণ কি? সে মোটামুটি যা বলল " আমি কোরআন অনেক পড়ে দেখেছি যার অনেক জিনিস সঠিক নয়। " আমি বললাম কোন জিনিস সঠিক নয়? সে বলল "কোরআন যে যুদ্ধ বন্দিদের দাস বানানোর ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে তা যুলুম"।
প্রকৃত পক্ষে কি তাই।
পাঠকবৃন্দ লক্ষ করুন যুদ্ধবন্দীদের সাথে কত রকমের আচরন করা যায় আমার দৃষ্টিতে তা-
১।
হত্যা করতে হবে
২। জেলখানায় বন্দী করে রাখতে হবে।
৩। মুক্ত করে দিতে হবে।
এখন দেখুন ইসলাম বলল -
১।
যুদ্ধবন্দীদের মুক্ত করে দেয়া(শর্ত সাপেক্ষে)
২। জেলখানায় আটকে রাখা নতুবা তাকে এমন কোন ব্যক্তির নিকট বন্দি করে রাখা যে নিজে যা খাবে তাকেও তা খেতে দিবে এক কথায় তার সাথে কোন খারাপ আচরণ করা যাবে না। যেটা দাস প্রথার নামে ইসলাম অনুমতি দিল। এখন বলুন একজন মানুষ কে জেল খানায় অন্ধকারে বন্দি করে রাখার তুলনায় তাকে মুক্ত আলোতে ভাল সুযোগ সুবিধায় অন্য একজন ব্যাক্তির নিকট আটকে রাখা- কোন টি বেশি ভাল হল।
৩।
লোকটি যদি এমন হয় যাকে বাচিয়ে রাখলে সে আরও সৈন্য সংগ্রহ করে পুনরায় আক্রমন করতে পারে সেক্ষেত্রে তাকে হত্যা করা।
তারপর ঐ নাস্তিকের কথা বন্ধ হয়ে গেল। আমি বললাম তোমার আরও কিছু জানার থাকলে আমাকে জিজ্ঞাসা কর। ইনশাআল্লাহ আমি উত্তর দিয়ে দিব। কিন্তু তারপর ও এমন ভ্রান্তি থেকে সঠিক পথে ফিরে আস।
সাম্প্রতিক ইসলাম প্রদত্ত নারীর অধিকার নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেন। আদর্শ নারী, মাসিক মঈনুল ইসলাম, মাসিক মদীনা সহ অনেক মাসিক পত্রিকায় এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত যুক্তি সহকারে আলোচনা করা হয়েছে। দয়া করে এগুলো পড়বেন।
এছাড়া ইসলাম সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন থাকলে তা উলামায়ে কেরামের নিকট জিজ্ঞাসা করলেই সমাধান হয়ে যাবে। প্রয়োজনবোধে আমার ব্লগেও লিখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।