সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ঈদ মোবারক। নাস্তিকদের সাথে আমি সাধারনত তর্কে যাই না কিন্তু কুরবানী ঈদ এ তাদের পশু কুরবানী নিয়ে বাজে মন্তব্য করার জন্যই এ পোষ্ট।
কুরবানী দেওয়া হয় আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। তিনি আমাদের কুরবানী করার নিয়ত যাচাই করেন এ কুরবানী করার মধ্য দিয়ে।
কুরবানীর ঈদ-এ মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা পশু কুরবানী দেন।
কুরবানীর পশু যায়েজ হবার কিছু নিয়ম আছে। প্রথমত পশু হালাল হতে হবে, নির্দিষ্ট বয়সের হতে হবে এবং কুরবানীর পশুতে কোন বিকলাঙ্গতা থাকা যাবে না।
" প্রাণী হত্যার যতগুলো পন্থা আছে তার মধ্যে জবাই করা পশুর জন্য সবেচেয়ে কম কষ্টদায়ক এবং এ মাংস খাওয়াও অপেক্ষাকৃত স্বাস্থসম্মত। কারন আমাদের অনুভুতির মাধ্যম হচ্ছে স্নায়ুতন্ত্র। আর স্নায়ুতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে মস্তিস্ক।
জবাই করার সাথে সাথে মুল ধমনী যা মস্তিস্ককে রক্ত সরবরাহ করে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে জবাইকৃত প্রাণীর চেতনা / অনুভুতি হ্রাস পেয়ে Sub-conscious Stage বা Unconscious Stage এ চলে যায়। ফলে যন্ত্রণা অপেক্ষাকৃত কম হয়। তবে এক্ষেত্রে ছুরি অবশ্যই ধারালো হতে হবে। ভোঁতা ছুরি ব্যবহার করলে পশুর কষ্ট বেশী হয়।
"
বিভিন্ন ধর্মে "বলি" দেওয়ার প্রথা আছে। "বলি"র সময় এক কোপে পশুর মাথা শরীর থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। সেটি আরও বর্বর। কালীপূজার সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যখন মহিষ অথবা ছাগল তাদের দেবতাদের নামে উৎসর্গ করেন/ বলি দেন তখন নাস্তিকেরা চুপ থাকেন কেন?
বিশ্বের বিভিন্ন কসাইখানায় গরু অথবা অন্যান্য প্রানীকে ইঞ্জেকশন অথবা ইলেকট্রিক শক দিয়ে অজ্ঞান করা হয়। তারপর উলটা লটকানো হয় এবং গলায় ছুরি চালানো হয়।
কিন্তু এ পক্রিয়াটি হালাল নয়। এ উপায়ে পক্রিয়াজাতকরনকৃত মাংস স্বাস্থসম্মত নয়।
নাস্তিকেরা কি নিরামিষভোজী - নাস্তিকেরা কি মাছ মাংস খায় না? আমার তো মনে হয় নাস্তিকেরা শুকর এবং অন্যান্য হারাম পশুর মাংস ভক্ষন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন না। কিন্তু কুরবানীর সময় তাদের এত চুলকানি হয় কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।