চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
ধরুন আপনি একটি গেমিং প্রোগাম বানালেন, যার অনেক এক্সিকিউশন বাটন আছে।
গেমের চরিত্রগুলো এক্সিকিউশন বাটন ইউজ করে বিভিন্ন কাজ কর্ম সারতে পারে।
মনে করেন গেমের একটা চরিত্রের সামনে তিনটা এক্সিকিউশন বাটন আছে।
একটাতে টিপ দিলে পানিতে পড়বে, একটাতে টিপ দিলে আগুনে পড়বে আর একটাতে টিপ দিলে সোজা আরেকটা লেভেলে গিয়ে পৌছবে।
এখন যদি প্রোগামার বলে আমি গেমের ক্ষেত্রে কি কি ঘটবে তা সবই জানি।
আবার যদি তিনি বলেন গেমের চরিত্রগুলোরে স্বাধিনভাবে এক্সিকিউশন বাটন টেপার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, তাহলেও কি ঠিক হবেনা।
আবার চিন্তা করেন গেমের মধ্যে ইচ্ছার স্বাধীনতা, সময়, অতীত, ভবিষত, শেষ, শুরু জাতীয় অবজেক্ট রাখার ব্যবস্থা করা হল।
এখন আবার চিন্তা করেন গেমের চরিত্রগুলোরে প্রোগামারের ব্যপারে কিছু চিন্তাভাবনা করার সুযোগ দেয়া গেল।
এখন চরিত্রগুলো প্রোগামারের শেষ, শুরু , অতীত , ভবিষত জাতীয় ব্যপারগুলো চিন্তা করে খুব কাহিল হয়ে পড়বে নয়কি।
তাই আমাদেরকে যেইসব বিষয় নিয়া সৃষ্টি করা হয়েছে (স্থান, সময় জাতীয় ডাইমেনশন) তার মধ্য থেকে স্রষ্টাকে যাচাই করা বোকামি নয়কি।
এখন একজন নাস্তিক ঈশ্বরকে অস্বীকার করার জন্য সংখ্যা দিয়ে কিসব যুক্তি প্রদর্শন করেছেন।
কিন্তু যে ঈশ্বর যুক্তি তর্ক কিংবা সংখ্যা সৃষ্টি করেছেন, তা দিয়েই আবার তাকে ঘায়েল করতে যাওয়াটা বোকামি নয় কি।
নাস্তিকেরা বোকামীটা করেন ঐ যায়গাতেই।
আমি যদি আস্তিক হই তাহলে যুক্তিটা দাড়ায় কেমন।
যে আমাকে সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন সংখ্যাকেও, তাকে অস্বীকার করতে চাইছেন সংখ্যার মারপ্যাচ দিয়ে।
পাচশ বছর আগে পৃ্থিবীর সবচাইতে সেরা যুক্তিবাদী কিংবা বিজ্ঞানীরের সামনে যদি একটা ল্যাপটপ এনে স্কাইপেতে কারো সাথে ভিডিও চ্যাট করতেন তখন সে যুক্তিটুক্তি বাদ দিয়া আপনাকে পুজা শুরু করত।
কারন পাচশ বছরের পরের জ্ঞান তার নেই।
যা বিজ্ঞান কয় বছর আগেও অস্বীকার করেছে, তা এখন প্রমানিত।
তাই অনেক কিছুই আমরা জানি না, আমাদের জ্ঞান সীমিত।
সেই জ্ঞান দিয়া সর্বশক্তিমান কাউরে যাচাই করা বোকামী ছাড়া কিছুই নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।