maanush84@yahoo.co.uk সভ্যতার ঊষালগ্ন হতে গতকাল রাত পর্যন্ত মানব জাতি একটি প্রশ্নের চক্রপাকে অবিরাম আবর্তিত হয়ে এসেছে। নানা মুনি নানা মত দিয়ে গেছেন, অধিক সন্যাসীতে গাজনও (গাজন মানে কি গাঁজা?) নষ্ট হয়েছে এক গাদা। তবুও প্রশ্নের উত্তর মিলেনি। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জনগণের হালত হয়েছিল নিম্নরুপ
চারি দিক হতে এল পন্ডিতের দল—
অযোধ্যা কনোজ কাঞ্চী মগধ কোশল।
উজ্জয়িনী হতে এল বুধ-অবতংস
কালিদাস কবীন্দ্রের ভাগিনেয় বংশ।
মোটা মোটা পুঁথি লয়ে উলটায় পাতা,
ঘন ঘন নাড়ে বসি টিকিসুদ্ধ মাথা।
বড়ো বড়ো মস্তকের পাকা শস্যখেত
বাতাসে দুলিছে যেন শীর্ষ- সমেত।
কেহ শ্রুতি, কেহ স্মৃতি, কেহ-বা পুরাণ,
কেহ ব্যাকারণ দেখে, কেহ অভিধান ।
কোনোখানে নাহি পায় অর্থ কোনোরূপ,
বেড়ে ওঠে অনুস্বর-বিসর্গের স্তূপ।
এমনই কঠিন যে প্রশ্ন তার উত্তর যে আমার ফ্রিজের মধ্যে লুক্কায়িত থাকবে তা কি কেউ কখনো জানত? ধৈর্যশীল পাঠক নিশ্চয় এতক্ষনে অধৈর্য হয়ে ভাবিতেছেন প্রশ্নখানা কি? প্রশ্নই এখন বিরাট প্রশ্ন, ঢাকা ইউনিভার্সিটির 'গ' ইউনিটের প্রশ্নপত্রের মতো।
তবে খুলেই বলি সেই আদি অকৃত্রিম প্রশ্নখানা, "ডিম আগে না মুরগী আগে?"
গতকাল রাতের কথা। প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে প্লে-স্টেশনে জেমস্ বন্ডের ব্লাড ডায়মন্ড গেমখানা খেলছিলাম। এ যাবৎকালের সব চাইতে অখাদ্য ০০৭ গেম এইটা। জঘন্য গ্রাফিক্স আর গাদা খানিক বাগ দিয়ে ভর্তি। রাত একটার সময় কোনমতে জেমস্ বন্ডের জীবন রক্ষা করার পর খিয়াল করলাম খাদ্যাভাবে আমি নিজে মরো মরো।
দ্রুত বেগে কিচেনে গিয়ে তড়িৎ গতিতে ফ্রীজ খুলে দেখলাম সেখানে আছে ডিম আর মুরগী। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম ডিম আগে না মুরগী আগে। পরে ভেবে দেখলাম এত রাতে মুরগী রান্না করা সম্ভব না। অতঃপর ডিম খানা ভেজে খেলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।