ছাত্রী। বিএ অনার্স। ইংলিশ
লিমনের পায়ে RAB এর গুলি, হাসপাতালে পা কেটে ফেলা ইত্যাদির পর পত্রিকায় খবরটা এলো। সমগ্র দেশবাসীর সমর্থন এবং সহানুভুতি পেল লিমন। একই সাথে পুলিশ দ্বিগুন উৎসাহে লিমনকে সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টাও লিপ্ত হলো।
পত্রিকায় ব্যাপক রিপোর্ট হওয়াই মুখ রক্ষার জন্য RAB এর মহাপরিচালক বললেন -লিমন সন্ত্রাসী নয়, পরিস্থিতির স্বীকার। এর পরেও পুলিশ নিষ্ক্রান্ত হয়নি। সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তার নামে মামলা হলো। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এগিয়ে এলেন লিমনকে আইনি সহায়তা দিতে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন লিমনের ব্যাপারে তার কিছুই করার নেই।
হাসপাতাল তাকে রিলিজ দিল চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে। আদালত পাঠালো জেলে। উন্নত চিকিৎসার নামে তাকে বরিশালে পাঠানো হলো যদিও সেখানে লিমনের মত পঙ্গুকে চিকিৎসা করানোর সুব্যাবস্থা নেই। বহুল আলোচিত লিমনের উপরোল্লিখিত ঘটনা গুলো সবার জানা। যা আমাদের অজানা তা হলো -
১. RAB নিজেদের অপরাধকে ঢাকার জন্য আর কত নিষ্ঠুর হবে।
২. লিমনের মত একজন নিরীহ তরুনের বাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর যদি কিছই করার না থাকে তাহলে খুনের আসামীর মামলা প্রত্যাহার হয় কোন যুকিততে?
৩. ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেন কিভাবে?
৮. জামিন দিলে পালানোর ক্ষমতা যার (লিমন) আদৌ নেই, তাকে জামিন না দিয়ে জেলে কেন পাঠানো হলো?
৯. জেল হতে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে না এনে বলিশালে কেন নেওয়া হলো?
উপরের প্রশ্ন গুলোর জবাব নেই। তবে মনে হচ্ছে যদ্ধোপরাধীরা লিমনের চেয়ে ঢের শান্তিতে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।