আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি বার্গার ২২০টাকা .................. জনসম্মুখে ডাকাতি !

সেদিন কাছের মানুষ কে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হলাম। অনেক চিন্তা করে একটি নির্দিষ্ট স্পটও খুঁজে পেলাম । যেখানে আমরা নিরিবিলি কিছুক্ষণ কাটাব বলে স্থির করলাম । তো রিকশায় করে যাচ্ছি দুপুর তখন ঠিক ১.০০ টা , সেই ভোর ৬.০০টায় সামান্য নাস্তা করে বের হওয়ায় দুপুর ১.০০টাতেই পেট চো চো করছিল । দুপুরের খাবার খাব বলে সেই কাঙ্খিত স্পটের গলিতে ঢুকে রিকশা থেকে নেমে হাঁটছি আর দোকান গুলো দেখছি কোথায় বা কোন দোকানে খাব ।

কিন্তু কি আজব! আপরা গলির এক পাড় দিয়ে হাঁটছি আর বিপরীত পাড় থেকে দোকানীরা উচ্চ স্বরে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ডাকছে । কি কে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়লাম , শেষে ঐ পাড়েই গেলাম যে পাড় থেকে ওরা ডাকছে ; ভাবলাম - এবার অন্তত উচ্চ স্বরে ডাকবে না । তো সেই পাড় দিয়ে হাটছি আর পছন্দ করছি কোন দোকানে ঢুকবো । শেষে ১০-১২ বছরে একটি ছেলে এসে হাত ধরে বলল- ভাই আমার দোকানে বসেন কেবিন আছে। আমি বললাম, আমাদের কেবিন লাগবে না , তুমি তাড়াতাড়ি হালকা খাবার মানে ফাস্টফুড জাতিয় কিছু খাবার দাও।

বলল কি খাবনে আমি বললাম একটা বার্গার আর ও বলল একটা স্যান্ডুইচ দেন সাথে এক বোতল আধা লিটারের পানির বোতল আর একটি ফ্রুটো ২২০গ্রামের এই মোটা মুটি ৩-৪ আইটেম বললাম । তো যাই হোক, ওরা একট স্যান্ডুচ আর বার্গার প্রসেস করতেই আধঘন্টা লাগিয়ে নিল । আর আমাদের কে বার বার বলতে লাগল , ভাইয়া ভিতরে বসেন (কেবিনের ভিতরে) । আমরা বলালাম এখানেই আমাদের ভাল লাগছে তুমি তাড়া তাড়ি দাও , এত সময় নিচ্ছ কেন ? আমরা যত তাড়া তাড়ি বলি ওরা তত সময় নেয় আর ওই সেইম ডায়লগ দেয়- ভাইয়া ভিতরে বসেন । তারপর ওদের প্রসেস করা খাবার আমাদের সামনে দিল ।

আমার চিকেন বার্গার ভেঙ্গে দেখি একটুকরা হাড্ডিওলা চিকেন ! পাশে ওর স্যান্ডুইচ ডিমে ভাজা তেলে জ্বরজ্বরিত। ওই খাবার আমরা কিছুই খেতে পাড়লাম না এবং সময় নষ্ট হবে বলে তাড়া তাড়ি বিল রেডি করতে বললাম । সে একটি পুরো প্রত্রিকার ছেঁড়া পাতায় বিল লিখছে পানি- ২০ টাকা গায়ের রট ১২টাকা জুস ১টা- ২০টাকা মূ্ল্য ১৫ টাকা বার্গার ১টা- ২২০টাকা সর্বোচ্চ ৫০টাকা স্যান্ডুইচ ডাবল -২০০টাক সর্বোচ্চ ৫০টাকা প্রান সচ্ - ১০ (অরিজিনাল মূ্ল্য ৬টাক ) এই মোট ৪৭০/= টাকা বিল লিখল সে ! ভাইরে আমি তো আকাশ থেকে .......................ধপাস !!!! উপান্ত না দেখে বলালাম আমার কাছে মাত্র ১২০ টাকা আছে এখন আপান কি করবেন করেনে । কিন্তু সে অনেক কেচ্ছা কাহিনী আমি ওগুলো লিখতে চাচ্ছি না । আমি কিছুই বলতে পারি নাই শুধু হেসেছি অধিক রাগ উঠলে আমার আবার হাসি পায় ! শেষ পর্যন্ত সে ৪৪০টাকা নিয়ে ছেড়ে ছিল ।

একজন ওদেরই এসে ব্যপারটা মিটকুট করে দিতে এল কিন্তু আমি যখন বললাম আপনি তো অনেক বড় ব্যবসায়ী আপনি নিশ্চয় দেশে কিংবা বিদেশে বার্গার খেয়েছেন ? বলেন তো একটা বর্গার সর্বোচ্চ কত দাম হতে পারে , সে উত্তর না দিয়ে অনেকটা পালিয়ে বাচার মত চলে গেল । আবার ওদের মধ্যে একজন বলল , জাননে উনি কে? - বললাম -কে ? উনি এই এলাকার থানার সেকেন্ড অফিসার - হাসলাম আর বললাম - সেকেন্ড অফিসার হলে তো তোরা ৪৪০ টাকা নিতেই পারতিস না । যদিও পাশেই পুলিশের কোল ঘোরা ঘুরি করছিল । আমি ইচেছ করেই ওদের কাছে যাই নাই । যাই হোক অনেক নাটকীয় ঘটনার পর এই ভদ্র ডাকাতদের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেলাম এবং একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন হল ।

এই হল আমাদের দেশের অবস্থা ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.