আমি তোমাদেরই একজন, খুবই সাধারণ !!!
একটি ইট কিনুন, আপনার প্রিয়জন, প্রিয় ব্যাক্তি অথবা প্রিয় প্রতিষ্ঠানের নামে। যে ইটে খোদায় করে লেখা থাকবে আপনার প্রিয় মানুষ বা প্রিয় প্রতিষ্ঠানের নাম। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তথা দেশের প্রতি ভালবাসার এমন হাজারো ইটের সারিতে গড়ে উঠবে আমাদের বীরত্বগাঁথা স্বাধীনতার ইতিহাসকে ধারন করার জন্য একটি স্থায়ী স্থাপনা স্বপ্নের "মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর"। যে জাদুঘরের প্রতিটি ইটের ভাঁজে ভাঁজে থাকবে ভালবাসার স্পর্শ এবং দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত। সুতরাং আর দেরি কেন...আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বা প্রতিষ্ঠানকে আপনি কতটুকু ভালোবাসেন তা জানিয়ে দিন নির্মাধীন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য একটি ইট কিনে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তৈরী এবং পরিকল্পনার শুরুর কথা:
এ মাস বিজয়ের মাস। স্বাধীন একটি পতাকা পাওয়ার মাস, বাঙ্গালী জাতির একটি দেশ পাওয়ার মাস। আর এ মাসেই পূর্ণ হবে বিজয়ের ৪০ বৎসর। মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বৎসর অতিবাহিত হলো, কিন্তু এখনো পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে অজানা রয়ে গেছে শুধুমাত্র একটি পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর না থাকার কারনে। তবে ৮জন ট্রাষ্টির ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ৫, সেগুন বাগিচায় স্বল্প পরিসরের একটি ভাড়া বাড়ীতে বর্তমান অস্থায়ী জাদুঘরটি গড়ে উঠে।
বর্তমান জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মাত্র ১৪০০ স্মারক প্রদর্শিত হচ্ছে কিন্তু সংগ্রহ ভান্ডারে জমা আছে আরো ১৫,০০০ এরও বেশী স্মারক, যাহা শুধু স্থান সংকুলনের অভাবে প্রদর্শন সম্ভব হচ্ছে না।
এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্থায়ী জাদুঘর নির্মানের জন্য ০.৮২ একর ভূমি বরাদ্ধ পায় জাদুঘর ট্রাষ্ট। ২০০৯ সালে এক উন্মুক্ত স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড নতুন স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নক্শা নির্বাচন করেন।
বিগত ৪ঠা মে ২০১১ইং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগারগাঁওস্থ নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে বর্তমানে পাইলিং এর কাজ পুরোদ্যোমে এগিয়ে চলছে।
আশা করা যাচ্ছে আগামী মে/জুন নাগাদ জাদুঘরের নীচ তলার কাজ সম্পন্ন হবে।
এই সর্ম্পকে বর্তমান জাদুঘরের জেনারেল ম্যানেজার জনাব মাহাবুবুল আলমের সাথে আলাপকালে জানা যায় ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে সেগুন বাগিচাস্থ জাদুঘরে এক সপ্তাহ ব্যাপি বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে। ১৬ই ডিসেম্বর টিভিতে লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি দাতাদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের চেক বা নগদ টাকা গ্রহন করা হবে। যে কেউ এখানে সরাসরি এসে দানের টাকা দিয়ে যেতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমে ১০ থেকে ১০০ টাকা বা যে কোন পরিমানের টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমাদের ব্লগারদের একটি প্রস্তাব ট্রাষ্ট্রি জনাব আলী যাকেরের মাধমে জানানো হয়।
এই প্রস্তাবটি গত ট্রাষ্ট্রি বোর্ডের মিটিং-এ আলোচনা হয় এবং এব্যাপারে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরদের সাথে ইতিমধ্যে কথা বলা হয়েছে বলেও তিনি জানান। মোবাইল অপারেটরদের সাথে আইনানুগ চুক্তির মাধ্যমে আশা করা যাচ্ছে আগামী মার্চ-এপ্রিল নাগাদ এই সুযোগটি সবার জন্য চালু করা হবে। এই কথার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন আমার মানুষের সার্মথ্য ও ভালবাসার দানকে সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছি। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন একজন বাদাম বিক্রেতা তার আয়ের ৪৩ টাকা জমা বা একজন চা বিক্রেতা তার ১৩০ টাকা এখানে এসে জমা করেছেন, যাহা আমরা সম্মানের সাথে গ্রহন করেছি। সুতরাং ইচ্ছে করলে যে কেউ যে কোন পরিমান টাকা এখানে এসেও জমা দিয়ে যেতে পারেন।
তাঁর সাথে সরাসরি যোগযোগের নাম্বার
Mahbubul Alam, General Manager (ph. no. 01731-814353)
জাদুঘরের ঠিকানা ও নাম্বার
Liberation War Museum
05, Segun Bagicha, Dhaka-1000, Bangladesh
Contact. no. 02-9559091 & 02-9559092
Email: ,
সুতরাং আশা করতে পারি বাংলার জনসাধারনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে আমরা যেমন একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি তেমনি জনসাধারনের স্বতঃস্ফূর্ত সহয়তায় নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা ইতিহাস নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্থাপনা "মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর"।
কি ভাবে অনুদান জমা দিবেন
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মানের জন্য যে কোন অংকের অনুদান বা অর্থ-সাহায্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্ব-সম্মানে গ্রহণ করবে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে এছাড়াও বড় ধরনের অনুদান বা অর্থ-সাহায্যের জন্য কিছু অপশন রয়েছে নির্ধারিত ফরম পূরন সাপেক্ষে, যেমনbr />
@> পৃষ্ঠপোষক সদস্য : ৫০ লাখ বা তার বেশির ক্ষেত্রে।
@> স্থাপনা সদস্য : ১৫ লাখ টাকা।
@> উদ্যোক্তা সদস্য : ৩ লাখ টাকা।
@> আজীবন সদস্য : ১ লাখ টাকা।
@> একটি প্রতীকী ইট ক্রয়: ১০ হাজার টাকা।
@> সাধারণ সদস্য : ২ হাজার টাকা।
এছাড়া ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,১০০,৫০০, ১০০০ যে কোন অংকের টাকা নিম্নোক্ত হিসাবে জমা দেয়া যাবে।
অনুদান বা অর্থ-সাহায্য জনতা ও ব্র্যাক ব্যাংকের নিম্নোক্ত হিসাবে জমা দেয়া যাবে
১. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ
এসটিডি হিসাব নং-৩৬০০০৪০৮
জনতা ব্যাংক লিমিটেড, তোফখানা রোড শাখা, ঢাকা।
(এছাড়া বাংলাদেশ ও বিদেশস্থ জনতা ব্যাংকের সকল শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে)
২.মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ
এসটিডি হিসাব নং-১৫০১১০১৬৫৮৬৩৭০০১
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড,গুলশান-১ শাখা, ঢাকা।
(এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংকের সকল শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে)
আপনি সরাসরি বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ৫ নং সেগুন বাগিচায়ও নগদ বা চেকের মাধ্যমে অর্থ-সাহায্য জমা দিতে পারেন অথবা বসুন্ধরা সিটির ৭ম তলায় "দেশীদশ" ফ্লোরের যে কোন দোকানে আপনার সাহায্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জমা দিতে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ সর্ম্পকে আমার পূবের পোষ্ট সমূহ
১. সবার সহযোগীতায় নির্মিত হবে নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর- আপনিও এগিয়ে আসুন।
২. নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।