আগামী জুন মাসে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রি-জি) লাইসেন্সের উন্মুক্ত নিলাম হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে দ্রুত কাজ চলছে। ”
নিলামে বর্তমান মোবাইল ফোন অপারেটরসহ বিদেশি অপারেটররাও অংশ নিতে পারবে বলে জানান তিনি।
থ্রি-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চগতিতে তথ্য পরিবহন সম্ভব হওয়ায় মোবাইল ফোনেই টিভি দেখা, জিপিএসের মাধমে পথ নির্দেশনা পাওয়া, উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহারসহ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়া সম্ভব।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটক আগামী বছর ২৬ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে থ্রি-জি সেবা চালু করবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজীউদ্দিন আহমেদ রাজু গত ৭ সেপ্টেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছিলেন।
গত ৯ অগাস্ট টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত ফি ও চার্জ পর্যালোচনা সভায় দেশে দ্রুত থ্রিজি সেবা চালু করতে সংশ্লি¬ষ্টদের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
থ্রি-জি লাইসেন্স উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয় ওই সভায়।
‘পরামর্শক নিয়োগ চূড়ান্ত আগামী সপ্তাহে’
থ্রি-জি নিলাম প্রক্রিয়ার বিষয়ে দুটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বলেন, “দুটির মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত করা হবে। ”
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটার হাউজ কুপার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ভারতীয় শাখা ও যুক্তরাষ্ট্রেরই নেরা ইকোনমিক কনসাল্টিং।
পরামর্শক হিসেবে বিটিআরসিতে রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল জমা দেওয়া পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ দুটিকে বাছাই করে বিটিআরসি।
জিয়া আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটির থ্রি-জি নিলামের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে একটিকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পরামর্শক নিয়োগের পরপরই থ্রি-জি লাইসেন্সের নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
‘নিলামে বিদেশি অপারেটররাও’
নিলামে বর্তমান মোবাইল ফোন অপারেটরসহ বিদেশি অপারেটররাও অংশ নিতে পারবে বলে জানান টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “ইচ্ছা করলে নতুন অপারেটররা নিলামের মাধ্যমে লাইসেন্স নিতে পারবে, থ্রি-জি লাইসেন্সের সঙ্গে তারা টু-জি লাইসেন্স দাবি করলে সে বিষয়েও বিবেচনা করা হবে। ”
দেশে বর্তমানে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটর রয়েছে।
এগুলো হলো- গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল, বাংলালিংক ও টেলিটক।
এর মধ্যে টেলিটক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান।
থ্রি-জি নিলামে টেলিটককে অংশ নিতে হবে কি না জানতে চাইলে জিয়া বলেন, টেলিটককে নিলামে অংশ না নিতে হলেও লাইসেন্স নিতে যে পরিমাণ টাকা নিলামে উঠবে সে পরিমাণ টাকা টেলিটকেরও দিতে হবে।
থ্রি-জি লাইসেন্স বাবদ রাষ্ট্রের কী পরিমাণ অর্থ আয় হতে পারে জানতে চাইলে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থ্রি-জি লাইসেন্স বাবদ প্রায় ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশও এ খাত থেকে একটি বড় অংকের টাকা আশা করছে।
লিংক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।