আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি,একদিন মনে হল আরে আমিতো 'বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে'র পড়া প্রায় শেষ করে এনেছি কিন্তু পড়াশুনা বা অন্য কোন ক্ষেত্রে তো কোন প্রাইজ এখনো জুটাতে পারলাম না।তাই ঠিক করলাম একটা প্রাইজ পেতেই হবে এবং সেটা স্কুল ছাড়ার আগেই।স্কুলটা বগুড়ার সেরা স্কুল,ফলে আমি আমার গ্রামের স্কুলে যতই ফার্স্ট হইনা কেন,এখানে ফার্স্ট হবার কথা কল্পনাতেও আনতে পারিনি কখনো,এরকম হবেনা কেন?শুধুমাত্র সায়েন্সেই ছিল চারটা শাখা,প্রতি শাখাতে ৪৫ জন,সবাই আবার ভাল ছাত্র-ছাত্রী,ভাল বলছি এজন্য যে পাশ নম্বর ছিল ৪৫,এর নিচে পেলেই টিসি দেওয়া হত,নিজের অস্তিস্ব টিকিয়ে রাখার জন্য হলেও সবাই কমবেশি পড়াশুনা করত।তাই পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোন স্বীকৃতি পাবো না জানতামই,তো প্রাইজ পাবার পথ খোলা আছে মাত্র একটা,আর সেটা হল খেলাধুলা।তবে আমি কখনোই ফুটবল বা ক্রিকেট ভাল খেলতে পারতাম না,অন্যের খেলা দেখলে মনে হত আমি খেললে তো গোল দিতাম ২-১ হালি নইলে রান করতাম মিনিমাম ৩০-৪০,কিন্তু খেলতে গেলে হয় পায়ে বলই ছোঁয়াতে পারতাম না,নয়তো ০ রানেই আউট!তাই টার্গেট সেট করলাম দৌড়,আমি বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতায় ৮০০মিঃ দৌড়ে অংশ নেবো,যে আমি কিনা এর আগে কখনো স্পোর্টসে অংশই নেই,সেই কিনা দৌড়াবে ৮০০মিঃ?তবে এত বড় দৌড়ানোর পেছনে কারনটা ছিল সিম্পল,শুরুর দিকে আমি আস্তে আস্তে দৌড়ে ৭০০মিঃ শেষ করব,আর শেষ ১০০মিঃ খুব জোরে দৌড়ে ফার্স্ট প্রাইজ নিয়ে ফিরব,কিন্তু ওটা নেহাতই আমার কল্পনা ছিল,বাস্তবতা ছিল কঠিন,অনেক কঠিন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।