জীবনে কিছু পারি আর না পারি একটা জিনিস খুব ভালো পারি; আর তা হলো আড্ডা। এই নিয়ে একটা গোলটেবিল বৈ'ঠক ডেকেছিলাম। এর মূল কথা ছিল কে বেশী আড্ডা বাজ!
বৈ'ঠকের পরিকল্পনা করার জন্য গেলাম বিজ্ঞানী মিরাজ ভাইয়ের কাছে। মিরাজ ভাইয়ের বাসায় গিয়ে কলিং বেল টিপলাম। একবার, দুইবার.....দশবার.... আমার তো বাইরে দাড়িয়ে অবস্থা খারাপ।
আধঘন্টা পেরিয়ে গেছে। দরজা খোলার নাম নেই। একবার ভাবলাম চলে যাই, আবার ভাবলাম নাহ্ দেখা করে তবেই যাব। ভাবতে ভাবতে হঠাত্ দরজা খুলে গেল। ভিতরে তাকিয়ে তো টাসকি খেয়ে গেলাম।
একি!! মিরাজ ভাইয়ের কাপড় ছেঁড়া। চোখ লাল! হাতে একটা এক টাকার কয়েন!
-কী মিয়া বাইরেই খাড়ায়া থাকবেন? নাকি ঢুকবেন?
কী করব বুঝতে পারছিলাম না। কারণ মিরাজ ভাইয়ের মাথা ঠিক আছে নাকি, ব্রেন ট্রান্সফার করে আবার কিসের ব্রেন লাগিয়েছে কে জানে। মনে সংশয় নিয়ে ঢুকলাম। ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করলাম "আপনের চুখ এত লাল ক্যান?"
এটা শুনে মেরাজ ভাই ২৮ দাঁত(আক্কেল দাঁত এখনো ওঠেনি) বের করে হেসে দিয়ে বললেন, "কাল সারা রাইত ইন্দুর কর্মসূচি পালন করছি তো, তাই।
" আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম"মানে?"
-মানে ইন্দুর মারছি।
মনে মনে ভাবলাম যে নিশ্চই বিলাইর ব্রেন লাগিয়েছে।
-তা ক্যামনে মারলেন?
-নিউ পদ্ধতি বাইর করছি। কোন মতে একটা ইন্দুর ধইরা পাছায় সুপার গ্লু মাইরা দিলেই ডরের চোটে সবটি ভাগব।
আমি পাম দেওয়ার জন্য বললাম,'বেশ আইডিয়া তো।
নুবেল পাইয়া যাইবেন মুনে অয়। '
-ভাবলাম একটা গেম বানামু'ইন্দুর কিলার০৭'।
আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম। খাইছে! তাড়াতাড়ি যাওয়া লাগবে। দরজা খুলতেই আধা ঘন্টা নষ্ট করেছে।
তাই মিরাজ ভাইকে থামিয়ে দ্রুত সব খুলে বললাম। শুনে বললেন- খারাপ না। দেহি, মাটিরে একটা ফুন লাগান।
-ভাইরে আমার মোবাইলে ব্যালেন্স নাই।
শুনে দাঁত কেলিয়ে ভেংচি কেটে বললেনঃ
-ধূর মিয়া।
মুবাইল পালনের কাম কী? যত্তসব আজাইরা পাব-লিক।
এরপর কাকে যেন ফোন করে আসতে বললেন। হঠাত্ কলিং বেল বাজল। মিরাজ ভাই দৌড়িয়ে গিয়ে দরজা খুললেন। বাইরে থেকে বলতে শুনলাম-
-দুইডা ট্যাহা দ্যান।
আল্লায়....
মিরাজ ভাই ক্ষেপে গিয়ে বললেন-
-মানুষ নাই বাসায়। এহন মাফ করেন।
-তাইলে আফনে কী?
-আমি কী মানে?
-বাসায় যহন মানু নাই, তাইলে আফনে কী অন্য কিচু!!
"একটা চটকনা মাইরা দাঁত ফালায়া দিমু। " বলে মিরাজভাই দরজা বন্ধ করে দিলেন। এরপর আবার কলিং বেল বাজল।
কয়েকবার বাজল। মিরাজ ভাই দরজা খুলেন না। আমিও ভেবেছি ফকিরটা মনে হয়। এবার মিরাজ ভাইয়ের ফোন বেজে উঠল। মিরাজ ভাই কল রিসিভকরে বললেন- "কই মিয়া।
এত দেরী ক্যান?" এরপর কি যেন শুনে দৌড়ে গিয়ে দরজাখুলে দিলেন। ওমা! ওপাশে দেখি মাটি ভাই। মাটি ভাইরাগত স্বরে বললেন-
-ফাইজলামি তো ভালই শিকচেন! আইতে কইয়া দরজা আটকাইয়া বইয়া রইছেন।
-না মানে, ফকির ভাবছিলাম। খালি ফকিরে জ্বালায়।
(আমি আমাকে বাইরে আধা ঘন্টা আটকে রাখার কারণ আবিষ্কার করলাম মনে মনে। ) এরপর মাটি ভাই ঢুকলেন। চলবে.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।