আমি আজীবন লিখতে চাই ইনশা আল্লাহ্ । নারায়ণগঞ্জের তিন মেয়র প্রার্থী তাদের নিজ নিজ সাক্ষ্যে বলেছেন, শামীম ওসমানের নামে ১৭ টি মামলা ( কোন কোনটির যেন সাজাও হয়েছিল পত্রিকায় দেখেছিলাম), তৈমুর আলম খন্দকারের নামে ১৩ টি, আর ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর নামে কোন মামলা নেই । এই স্বীকারোক্তির মধ্যে কি একটুও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়নি ? যদি পেয়ে থাকে তাহলেতো সেটি বিবেচনায় নিয়ে ভোট দেয়া উচিত ।
তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেখেছে, কারা সন্ত্রাস করে । আইভীর মত নারীরা যদি সন্ত্রাস করে, তাহলে নারায়ণগঞ্জের পুরুষরা তা ঠেকাতে পারবে কিনা ? শামীম ওসমান যদি সন্ত্রাস করে, তা ঠেকাতে পারবে কিনা ? তৈমুর যদি সন্ত্রাস করে, তা ঠেকাতে পারবে কিনা ? এগুলিও বিবেচনা করে ভোট দেয়া উচিত ।
নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে শামীম ওসমান ব্যতিত সকল মহলেরই শংকা আছে । এখানে প্রশাসন যে নিরপেক্ষ নয় তা শামীম ওসমানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসকের হাততালি (জিয়া হলের মতবিনিময় সভায়), জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ডিসি, এসপির উপস্থিতিতে মাননীয় সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীর সাথে শামীম ওসমানের অসৌজন্যমূলক আচরন, এবং ডিসি, এসপির সেখানের ভূমিকা (এটিএন নিউজে দেখানো), নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের জবাবে, "নির্বাচনের আগে এমন কত অভিযোগই করে" (গতকালের টিভি নিউজে দেখা), বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিদের বিরুদ্ধে আইভীর সমর্থকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে হুমকি দেয়ার অভিযোগ (প্রথম আলো সহ অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত) জানানোর পরও কোন একশন না নেয়া, এবং সর্বোপরি নাসিম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য থেকেই সুস্পষ্ট হয়ে যায় ।
তবুও আগামী ৩০ শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের মানুষের বোধোদয় যেন হয় তাহাই আল্লাহর কাছে চাওয়া । আল্লাহ্ আমাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন । কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, টেণ্ডারবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী লালনকারীকে আমাদের ওপর নাজিল না করুন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।