নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মনোজ কান্তি বড়ালকে আজ বৃহস্পতিবার প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার লোকজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অসামাজিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন মনোজ কান্তি। চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ বলছে, এটা ভুল বোঝাবুঝি। আর মনোজ কান্তি দাবি করেছেন, আজ তিনি ঢাকাতেই আসেননি।
স্থানীয়রা জানান, তাঁরা বেশ কিছুদিন ধরে তিলপাপাড়ার ১৮ নম্বর সড়কের পাঁচতলা একটি বাড়ির দোতলায় বসবাসকারী তিন সদস্যের পরিবারটিকে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য সন্দেহ করছিলেন। আজ সকাল নয়টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে একজন লোক ওই বাড়িতে ঢোকার পর এলাকার মানুষ ওই ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালা দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে ফ্ল্যাটের ভেতরে আটকা পড়া ব্যক্তিটি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক। এরপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার ও পরে একজন অতিরিক্ত উপকমিশনার ঘটনাস্থলে আসেন। দুপুর একটার দিকে পুলিশ তাঁকে নিয়ে ওই বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
বিকেলে ওই বাড়িটিতে গেলে বাড়ির মালিক বলেন, ওই পরিবারটি প্রায় দুই বছর ধরে তাঁর বাসায় ভাড়া আছেন। পরিবারে ষাটোর্ধ্ব একজন নারী ও তাঁর দুই অবিবাহিত মেয়ে রয়েছেন। তবে দোতলার ওই ফ্ল্যাটটির সামনে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ভেতর থেকে কেউ দরজা খোলেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, সেখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক তাঁর অসুস্থ আত্মীয়াকে দেখতে এসেছিলেন।
পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে।
তবে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তি বড়াল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তিনি সকাল থেকে অফিসে ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে যেসব গুজব রটানো হচ্ছে সেগুলো সবই অপপ্রচার। তিনি এ বিষয়ে সংবাদ না করার অনুরোধ করেন।
তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আজ দিনভর এ ঘটনা নিয়ে নানা কানা-ঘুষা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, দেশের এই অস্থির অবস্থায় অফিস সময়ে জেলা প্রশাসক জেলা ছেড়ে সরকারী প্রটোকল ছাড়াই অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় কি করতে গেলেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেছিলেন কী না তা তদন্ত করা প্রয়োজন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।