আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসায়নিক পদার্থ খাদ্যদ্রব্যে

ফরমালিন! যে রাসায়নিক পদার্থটির কথা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে মৃত প্রাণীকে বছরের পর বছর অপচনশীল অবস্থায় রাখার একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ। আমরা যদি চিড়িয়াখানা অথবা কোনো প্রাণী গবেষণাগারে যাই তবে সেখানে দেখতে পাব, বিভিন্ন মৃত প্রাণীকে ‘ফরমালিন’ নামক রাসায়নিক পদার্থের সাহায্যে বৈয়াম বা বড় কোনো কাচের জারে সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে রাখা হয়েছে এবং এভাবেই এগুলো বছরের পর বছর কোনো রকম পচন ছাড়াই রয়েছে। এটি মানবজাতির জন্য ফরমালিনের একটি চমত্কার প্রয়োগ। কিন্তু বর্তমান সময় এ ফরমালিনকে মানবজাতির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, যা ফরমালিনকে মানুষের সামনে বিষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে অধিকাংশ পচনশীল খাদ্যদ্রব্যে বিশেষ করে মাছে ফরমালিন নামের রাসায়নিক পদার্থটি মেশানো হচ্ছে, যা মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে।

ফরমালিন মানব শরীরের জন্য এক ধরনের বিষ ছাড়া কিছুই নয়, আবার বিভিন্ন ফলে কার্বাইড ও শাক-সবজিকে সতেজ রাখার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়, যা আসলে মানব শরীরের জন্য বিষ ছাড়া আর কিছুই নয়। এগুলো মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধির সৃষ্টি করবে। এর ফলে আমাদের আগামী প্রজন্ম এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে মনে হয় সরকারসহ কারোরই কোনো মাথাব্যথা নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা শুধু তাদের ব্যবসার মুনাফার কথাই চিন্তা করছে, কিন্তু দেশের মানুষের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্রও মনুষ্যত্ববোধ ও মমত্ববোধ কোনোটিই নেই।

কারণ তাদের যদি মনুষ্যত্ববোধই থাকত, তবে তারা খাবারের সঙ্গে কখনই বিষ মেশাত না। খাবারের সঙ্গে ফরমালিন, কার্বাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর প্রতিযোগিতা চলে একেবারে বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত। অথচ কারও মধ্যেই প্রতিবাদ করার কোনো মনমানসিকতা নেই। এছাড়াও রাস্তাঘাটে দেদারসে কৃত্রিম বিষাক্ত রংমিশ্রিত শরবতসহ বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে এবং সাধারণ জনগণও তাদের রসনাবিলাসে ব্যস্ত রয়েছে। অথচ ওইসব খাবার-দাবার মানব শরীরের জন্য যে কতটা ক্ষতিকর তা তারা নিজেরাও জানে না।

দেশের আগামী প্রজন্মকে এসব বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থযুক্ত খাদ্যসামগ্রী থেকে মুক্ত রাখার জন্য দেশের সরকারসহ আপামর জনগণকে এ ব্যাপারে খোলামনে এগিয়ে আসতে হবে এবং এ দেশের জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়াকে এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার মনোভাব দেখাতে হবে। তবেই দেশের জনগণ এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্ত হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.