রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলের “ফেইস দ্য নেশন” অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সিবিএস’কে দেয়া প্রেসিডেন্ট আসাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
এতে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসাদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণ থাকলে তা প্রকাশ করা উচিত।
আসাদ বলেছেন, “আমার নিজের লোকদের বিরুদ্ধে আমি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছি এর কোনো প্রমাণ নেই। ”
তবে প্রতিবেদনের পক্ষে কোনো ভিডিও বা অডিও প্রকাশ করেনি সিবিএস।
সিবিএস জানিয়েছে, কোনো ধরনের হামলা তার সেনাবাহিনীর শক্তি কমিয়ে দেবে বলে শঙ্কিত হয়ে আছেন আসাদ। এ ধরনের হামলা আড়াই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে মনে করছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে সিরিয়ার মিত্ররা পাল্টা হামলা চালাতে পারে।
এদিকে, সিরিয়ার হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের জন্য বুধবারকে ভোটাভুটির দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাবে কিনা তা বুধবারই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২১ অগাস্ট দামেস্কের প্রান্তীয় এলাকার বিদ্রোহী অধিকৃত একটি অংশে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এই হামলার জন্য বিদ্রোহীরা আসাদকে ও আসাদ বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন।
এই হামলায় শিশুসহ ১৪শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদন সূত্রে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পশ্চিমা শক্তিগুলো এ হামলার জন্য আসাদকে দায়ী করলেও হামলার জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে রাশিয়া ও ইরান।
জাতিসংঘ এই রাসায়নিক হামলার তদন্ত করছে।
তাদের তদন্তকারী দলের প্রাথমিক তদন্ত শেষ হলেও চূড়ান্ত ফলাফল দিতে আরো কয়েকদিন লাগবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জাতিসংঘের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষা করার কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাই জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই যুক্তরাষ্ট্র হামলা শুরু করে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইউরোপ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জাতিসংঘ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি নিয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেননি। প্যারিসে এ বিষয়ে অনুকূল মনোভাব দেখিয়েছেন তিনি।
তবে সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো প্রস্তাবে রাশিয়া ও চীন ভেটো দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিক সিরিয়া হামলার বিরোধী। সম্প্রতি জরিপ সংস্থা ইপসোস ও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৬ শতাংশ নাগরিক মনে করে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়ানো উচিত নয়, বিপরীতে মাত্র ১৯ শতাংশ নাগরিক সিরিয়ায় হামলার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।