সংকলিত পোস্টঃ
আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন- ‘(সাবধান!) তোমরা কি এমন একজনকে হত্যা করছো- যে বলে, আমার প্রভু আল্লাহ?’ (অর্থাৎ সে মুসলমান) (কোরান-৯০/২৯) ‘(তবে মনে রেখো!) যে ব্যাক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে তার শাস্তি জাহান্নাম; সে চিরদিন সেখানে থাকবে’ (কোরান-৯/৯৩)। যদিও সৌদি আরবের দাবি- তারা আল্লাহর নির্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বিষয়টি আবিষ্কার করতে হলে আমাদেরকে অবশ্য মূলে যেতে হবে। মূল বিষয় চারটি- ১. বাংলাদেশিদের অপরাধ, ২. সৌদি সরকারের দাবি, ৩. সৌদি সরকারের ‘আল্লাহর আইন’ ও কোরানের বিধান এবং ৪. ইসলামি রাষ্ট্র (?) সৌদি আরবে সহিহ আমলনামা।
বাংলাদেশিদের অপরাধ: সুমন, মাসুদ, মামুন, শফিক, ফারুক, মতিয়ার, আবুল হোসেন এবং সুমন মিয়াসহ আরো তিনজনে মিলে রিয়াদ নগরীর একটি গুদামে বৈদ্যুতিক তার চুরি করতে যান।
তারা মূলত ওই গুদামেরই শ্রমিক- ওখানেই তারা কজ করতো। তার চুরিকালে গুদামের প্রহরী মিসরিয় নাগরিক হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেক তাদেরকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেকের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতেই নিহত হন- হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেক। (ঘটনাটি ঘটে ২০০৭ সালে)
সৌদি সরকারের দাবি: সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে জানানে হয়েছে- ‘একটি গুদামে ডাকাতি এবং ওই গুদামের মিসরিয় প্রহরী হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেককে দায়ে বাংলাদেশিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ‘দণ্ডিত ব্যক্তিরা ওই গুদামঘরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। সশস্ত্র ডাকাতির সময় সংঘর্ষে নিহত হন হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেক। তাই নরহত্যার অভিযোগ এনে তাদেরকে ৭/১০/১১ বিকেলে আসর নামাজের পর স্থানীয় আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদের মাধ্যমে এদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সৌদি সরকার দাবি করছে- ‘আল্লাহর আইন’ পালনে তাদের কিচ্ছু করার ছিলো না। তাছাড়া এটি সৌদি সরকারের বিষয় নয়।
এক মিসরিয় নাগরিকের বিষয়। নিহত মিসরিয় নাগরিকের পরিবার আট বাংলাদেশিদের ক্ষমা না করায় ‘আল্লাহর আইন’ পালন করেছে সৌদি আরব।
সৌদি সরকারের ‘আল্লাহর আইন’ ও কোরানের বিধান: কোরানে রয়েছে- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্তাধীন ব্যক্তি স্তাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। তারপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে।
এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। (কোরান-২/১৭৯) এই আয়াতটিই হলো কেসাস সম্পর্কে কোরানের প্রধান আয়াত। সৌদি সরকার ‘আল্লাহর আইন’ বলতে এই আয়াতের কথাই বুঝিয়ে থাকে। এই ‘আল্লাহর আইন’ এর কথা বলেই আট বাংলাদেশির শির কেটে নিয়েছে আরবের তথাকথিত ‘ইসলামি আইন’ বাস্তবায়নকারীরা।
অথচ এই আয়াতের রয়েছে বিস্তর ব্যাখ্যা; আছে অসক্সক্ষ ফাঁকফোকর এবং এই আয়াতের রয়েছে একটি সুন্দর পটভূমি।
‘ইসলামের অভ্যুদয়ের কিছুকাল পূর্বে দু’টি বিবাদমান গোত্রের মধ্যে একটি ভয়াবহ রক্তক্ষয়ি যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সে যুদ্ধে নিহত হয়েছিলো উভয় পক্ষের অনেক লোক। এই য্দ্ধুটি ঘটেছিলো বনু কোরাইজা এবং বনু নাজিরের মধ্যে। এক গোত্র অন্য গোত্রের তুলনায় ছিলো সংখ্যাঘরিষ্ঠ এবং অধিক প্রভাবশালী।
প্রভাবশালী গোত্র অপর গোত্রের নারীদেরকে ‘মহর’ নির্ধারন করা ছাড়াই বলপূর্বক বিয়ে করতো। এরকম আরো বহুধরনের জুলুম নির্যাতন-অত্যাচারে লিপ্ত ছিলো তারা। অত্যাচারিত গোত্র এক সময় রুখে দাঁড়ালো। তারা শপথ করলো যে- আমরা দাসের পরিবর্তে স্বাধীন লোক, নারীর পরিবর্তীতে পুরুষ লোক এবং একজনের পরিবর্তে দু’জনকে হত্যা করবো। (সৌদি আরব যা করলো- একজনের পরিবর্তে আটজনকে হত্যা)।
একটি আঘাতের বিনিময়ে দু’টি আঘাত করবো। মুহাম্মাদ সা. এর নিকট এ খবর পৌঁছলে আল্লাহ তায়ালা ওপরযুক্ত ২/১৭৮ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। এ আয়াতে রয়েছে সমতার নির্দেশনা। ’ ‘কেসাস’ বা সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করা যেতে পারে তখন- যখন কেউ ইচ্ছাকৃত বা পরিকল্পিতভাবেই কাউকে হত্যা করে। অপরিকল্পিত বা অনিচ্ছাকৃত হত্যা দণ্ড ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) নয়; বরং অনিচ্ছাগত ভুলের জন্য কিছু ক্ষতি পূরণ আদায় করবে মাত্র।
আর ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) গ্রহণ করার কিছু নির্দিষ্ট বিধানও রয়েছে। তারমধ্যে আলোচ্য বিষয় হলো- একটি প্রাণের বিনিময়ে একটি প্রাণ সংহার করা হবে। একটি প্রাণের বিনিময়ে অনেকটি প্রাণ সংহার করা যাবে না। একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হলে তার বিনিময়ে একজনকেই হত্যা করা হবে; একাধিক বা সৌদি আরবের মতো আটজনকে নয়। কোরানের ২/১৭৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যা হিসেবে আল্লাহ তায়ালা আরেকটি আয়াত অবতীর্ণ করেন- ‘আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, একটি প্রাণের বিনিময়ে একটি প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম (‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) গ্রহণ করা হবে)।
তারপর যে ক্ষমা করে, সে পাপ থেকে পবিত্র হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা অনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই অত্যাচারী। ’ (৫/৯৫) আল্লাহ তায়ালার এসব বাণীগুলো প্রমাণ করে যে- একজনের বিনিময়ে একজনকেই হত্যা করা যাবে, তার অধিক নয়। এখানে আবার কেসাসের পরিবর্তে ক্ষমার বিধানও রয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার ইচ্ছা করলে অপরাধীকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন।
কিংবা দ্বিতীয় হত্যাযজ্ঞ রচনার পরিবর্তে রক্তপণ বিনিময়ও করতে পারেন। এই অনুযায়ী যারা আমল না করবে তারা অত্যাচারী হিসেবে গণ্য হবে।
কয়েকজনে মিলে যদি একজনকে হত্যা করে তাহলে তার বিধান ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। অর্থাৎ নিহত ব্যক্তিকে সবাই যদি একযোগে বা একই সাথে আঘাত করে (একটুও আগপিছ নয়) তাহলে তাদের সকলের ওপর ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) কার্যকর করা যাবে- তাছাড়া নয়। অর্থাৎ একটু আগপিছে প্রহার করলেও ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) গ্রহণ করা যাবে না।
বরং এদের থেকে রক্তপণ হিসেব পয়সা-কড়ি নেয়া যেতে পারে- এর বেশি নয়। একজনের বিনিময়ে আটজনকে হত্যা করা তো অনেক দূরের কথা। ‘কেসাস’ বা সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আরেকটি বিধান রয়েছে- হত্যাকারী যে বস্তু দ্বারা হত্যাকাণ্ড সমাধা করেছে সেই বস্তু দ্বারাই ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) গ্রহণ করতে হবে। কথাটার পুনরাবৃত্তি করছি- ওই বস্তু দ্বারা ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) গ্রহণ করা হবে, যা দ্বারা হন্তারক আঘাত হেনেছে। কারণ, কোরানে প্রতিশোধ গ্রহণের ব্যাপারে ‘কেসাস’ শব্দটি উল্লেখ রয়েছে।
এই আরবি ‘কেসাস’ শব্দটির অর্থ হচ্ছে- সমতুল্য। হাদিস শরিফে রয়েছে- ‘এক ইহুদি কোনো এক রমণীর মস্তক গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো প্রস্তর দ্বারা। মুহাম্মাদ সা. ওই প্রস্তর দ্বারাই হাত্যাকারীর মস্তক গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ’ এ থেকে বুঝা যায় হত্যাকারীর ব্যবহƒত অস্ত্র দ্বারাই ‘কেসাস’ কার্যকর করা হবে। মুহাম্মাদ সা. বলেছেন- ‘কেউ যদি কাউকে পানিতে ডুবিয়ে মারে তবে তাকেও ডুবিয়ে মারতে হবে।
আর আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করার ক্ষেত্রে আগুনে জ্বালিয়ে হত্যা করাটাই হবে ‘কেসাস’। ’ কেসাসের ওপরযুক্ত আলোচনা থেকে ‘কেসাস’ কার্যকর করার কয়েকটি শর্ত উšে§াচিত হয়েছে-
১. আল্লাহর বিধান ‘কেসাস’ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ কার্যকর করার প্রথম শর্ত হলো- তা ইচ্ছাকৃত হত্যাযজ্ঞ হতে হবে। কেউ যদি অপরিকল্পিত বা অনিচ্ছা সত্বেও কাউকে হত্যা করে তাহলে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ নেওয়া যাবে না । সেখানে ক্ষতি পূরণ আদায় করতে হবে। সৌদি আরবে ‘অপরিকল্পিত বা অনিচ্ছাবশত’ হত্যাযজ্ঞ ঘটেছে।
তারা বিবৃতিতে বলেছে- ‘সশস্ত্র ডাকাতির সময় সংঘর্ষে নিহত হন হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেক’। এখানে ‘সংঘর্ষ’ শব্দটিই তো আট বাংলাদেশিকে প্রাণে বাঁচিয়ে দেয়। তারা যখন গুদাম ডাকাতি করে চোরাই মাল নিয়ে বেরিয়ে আসবে- তখনই তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় প্রহরী হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেক। তখন তারা নিজেদের মুক্ত করতে ‘সংঘর্ষে’ লিপ্ত হয়। প্রহরীকে মারার ইচ্ছা ছিলো না তাদের ।
‘অপরিকল্পিত বা অনিচ্ছাবশত’ নির্দিষ্ট কোনো একটি বস্তুর আঘাতে প্রহরী নিহিত হন। অতএব এখানে ইচ্ছাকৃতি হত্যা ঘটেনি। অথচ বাংলাদেশিদের ওপর ইচ্ছাকৃত হত্যার বিধান কায়েম করা হয়েছে। এটি সৌদি আরবের হিংস্রতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
২. একজনের বিনিময়ে একজনকেই হত্যা করা হবে- তার অধিক নয়।
এক্ষেত্রে সৌদি আরব অপরাধী- কোরানের বিধান লঙ্ঘন করেছে। একের পরিবর্তে আটজনকে হত্যা করেছে।
৩. কয়েকজনে মিলে যদি একজনকে হত্যা করে তাহলে তখন সকলের ওপর ‘কেসাস’ কার্যকর করার শর্ত হলো সবাই একযোগে হত্যা করতে হবে। অর্থাৎ নিহত ব্যক্তিকে যদি সবাই একযোগে বা একই সঙ্গে আঘাত করে (একটুও আগেপিছ নয়) তাহলে তাদের সকলের ওপর ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) কার্যকর করা যাবে- তাছাড়া নয়। অর্থাৎ একটু আগেপিছে প্রহার করলেও ‘কেসাস’ (সমপরিমাণ প্রতিশোধ) গ্রহণ করা যাবে না।
বরং এদের থেকে রক্তপণ হিসেব পয়সা-কড়ি নেয়া যেতে পারে- এর বেশি নয়। সৌদি আরব মিসরিয় নাগরিক হত্যার ঘটনাকে প্রহরী এবং ডাকাতের ‘সংঘর্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ‘সংঘর্ষে’ কখনো একযোগে আঘাত করা যায় না- একটু আগেপিছ হয় এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশিদের সংঘর্ষেও একই ঘটনা ঘটেছে- একযোগে সবাই আঘাত করে নি। কারণ, সংঘর্ষে কখনো একযোগে বা একসংগে আঘাত করা যায় না।
এ ক্ষেত্রেও সৌদি আরব ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে।
৪. ‘কেসাস’ কার্যকর করার সর্বশেষ শর্ত হলো- হন্তারক যে বস্তু দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ওই বস্তু দিয়েই হন্তারককে হত্যা করা হবে। সৌদি আরব তলোয়ারে মাথা কেটে ‘কেসাস’ কার্যকর করেছে। কিন্তু বাংলাদেশি নাগরিকগুলো কি তলোয়ার দিয়ে প্রহরীকে হত্যা করেছে? কিংবা সকলের নিকট কি একই অস্ত্র ছিলো? কেউ পিস্তল দিয়ে আঘাত করেনি তো? প্রহরী হুসাইন সায়্যেদ মুহাম্মিদ আবদুল খালেককে বাংলাদেশিরা যদি তলোয়ার দিয়ে হত্যা না করে তাহলে সৌদি আরব হত্যার বিচারে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব আন্তার্জাতিক মহলের কাছে এই রহস্য উšে§াচন করছে না কেন?
ইসলামি বিধান বলে মানুষ হত্যা করার অধিকার সৌদি আরবের নেই: ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করার অধিকার সৌদি আরবের নেই; কারণ ইসলামি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক সর্ত হলো ‘ইসলামি রাষ্ট্র বা ইসলামি আইনানুযায়ী গঠিত রাষ্ট্র’ হওয়া।
সৌদি আরব নিজেদের শাসন ব্যবস্থাকে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা বলে দাবি করলেও তা আদৌ ইসলাম অনুযায়ী নয়। প্রকৃত ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কখনই ‘রাজতন্ত্র’ সমার্থন করে না। হজরত মুহাম্মাদ সা. এর ওফাত হলে ইসলামি খেলাফতের দায়িত্ব আবু বাকার রা. এর ওপর পড়ে তার যোগ্যতা, মুহাম্মাদ সা. এর সমর্থন এবং জনসমর্থনের কারণে। অথচ মুহাম্মাদ সা. এর রক্তের সম্পর্ক ছিলো আলি-ওসমানের সংগে। কিন্তু তারা অগ্রাধিকার পায় নি।
আবু বাকার রা. এর পর খেলাফতের আসনে বসলেন ওমর রা.; তিনিও আবু বাকার বা মুহাম্মাদ সা. এর রক্তের না। তিনিও জনসমর্থন গ্রহণ করে শাসনের দায়িত্বভার নিয়েছেন। হজরত আলি-ওসমান অনেক পরে এসেছেন- তাও জনসমর্থনের মাধ্যমে। অথচ সৌদি আরবে রাজা বা বাদশার পদ গ্রহণ করেন মৃত বাদশার আত্বীয়ের মধ্যে কেউ। সেখানে জনসমর্থনের তোয়াক্কা করা হয় না বিন্দু মাত্রও।
যে শাসনের গোড়াপত্তন অনৈসলামিক- সেখানে আবার ইসলামি শাসন কায়েমের সুযোগ কোথায়? ইসলামি আইন বাস্তবায়নের অধিকার তারা কখনোই পেতে পারে না।
সৌদি আরবের ‘সহিহ আমলনামা’: ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’র রিপোর্ট অনুযায়ী ‘সৌদি আরব এবছর এরই মধ্যে ৫৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এর মধ্যে ২০ জনই বিদেশি নাগরিক। তারা ২০০৭ সালে ১৫৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। যাদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছে ৭৬ জন।
২০০৯ সালে ১২০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাদের ৯০ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। ২০০৯ ও ২০১০ সালে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ৬৯ এবং ২৭ জন। এর মধ্যে বিদেশি ছিলেন ১৯ ও ৬ জন। ’ ইসলামের আলোকেই সৌদি আরবের ‘সহিহ আমলনামা’ বলছি।
বেশ ভালো কথা- সৌদি আরব ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু সেটা শুধু মানুষ হত্যা, চোরের হাত কাটা ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ কেন? মানুষ হত্যা যেমন মহা পাপ, তেমনি জিনা বা ব্যাবিচার করাটাও তো ইসলামে মারাত্মক পাপ। ইন্টারনেটে শার্স করলে দেখা যায় সৌদি আরবি মেয়েদের পর্ণো ভিড়িওগুলো। রাষ্ট্র ব্যবস্থা কেন এদের ছবি নিয়ে প্রত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে জিনা বা ব্যবিচারের বিচার করছে না। কেনই বা তাদের র্দোরা মারা হচ্ছে না।
ইসলামি ব্যবস্থা কি মেয়েদের হাটুর ওপর কাপড় তোলে ফুটবল খেলার অনুমতি দেয়। ইসলামে তো তা ‘ফেতনা’ ছড়ানোর মতো অপরাধ। ইসলামে ‘ফেতনা’ ছড়ানো মহা পাপ। অথচ সৌদি সরকার তো তাদের বিচার করছে না? এই ‘সহিহ আমলনামা’য় আরও অনেক কিছু রয়েছে- যেগুলো প্রমাণ করে সৌদি আরব ইসলামি রাষ্ট্র নয়; বরং প্রাচীন আদলে গড়া আধুনিক একটি রাষ্ট্র মাত্র।
আল্লাহর আইন মহান।
ইসলাম ধর্মে রাজতন্ত্রের কোন সুযোগ নেই। কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারের যে কোন সদস্যের চাপিয়ে দেয়া শাসন ব্যবস্থা হচ্ছে রাজতন্ত্র, যা সাধারণ মানুষের অধিকারকে দমিয়ে রাখে এবং রাজার স্বৈরাচারী এবং স্বেচ্ছাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যে কোন সরব বক্তার বাক রুদ্ধ করে। কুরআন মজিদে এ সকল রাজাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে “রাজা-বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তাকে, বিপর্যস্ত করে দেয় এবং সেখানকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে অপদস্থ করে। তারাও এরূপ করবে। ” (সূরা নমল: আয়াত-৩৪)
একজন মুসলমান সর্বোচ্ছ ৪ বিয়ে করতে পারে কিন্তু কিং আব্দুল আজিজের ২২ টা স্ত্রী ছিল।
সৌদি রাজ পরিবার
৯৫১ হিজরী সনের কথা। আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের একদল লোক একটি কাফিলা তৈরি করে ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আল-মাসালিক ছিল আনজা গোত্রের শাখা। এই কাফিলার উদ্দেশ্য ছিল ইরাক থেকে খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করে এনে নজদে সরবরাহ করা। সেই কাফিলার প্রধান ছিল শামী-বিন-হাতলুল।
কাফিলা যখন বসরায় পৌঁছে, তখন খাদ্যশস্যের এক ইহুদী বড় ব্যবসায়ীর সাথে দলের লোকজন সাক্ষাৎ করে। সেই ইহুদী ব্যক্তিটি ছিল মোরদাখাই বিন ইব্রাহীম বিন মোসেহ। কোন কোন প্রাচীন ইতিহাসে ইহুদী মোরদাখাইকে মানি বিন রাবিয়া আল মুরাইদি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোরদাখাই-এর বংশধরেরা ম্রুদা গোত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সেই ইহুদী ব্যবসায়ীর সাথে দর কষাকষির সময় ইহুদী ব্যক্তিটি প্রশ্ন করে “আপনারা কোথা থেকে এসেছেন?” উত্তরে তারা বলেন, আমরা আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ভুক্ত।
আল মাসালিক সম্প্রদায়ের কথা শুনেই সেই ইহুদী ব্যবসায়ী আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের উপসি’ত সবাইকে আবেগাপ্লুত হয়ে মুয়ানাকা করতে শুরু করে এবং বলে সেও মূলত আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের তবে সে বসরায় এসে বসবাস করছে। তার পিতার সঙ্গে আনজা গোত্রের কয়েকজন সদস্যের ঝগড়া বিবাদের ফলে সে এখন বসরায়।
এই বানানো গল্প বলার পর পর সে-ই ইহুদী ব্যবসায়ী তার ভৃত্যকে সমস্ত গম, খেজুর, অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যসমূহের বস্তা উটের পিঠে চড়াতে বললো। সেই সুদূর ইরাকে আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের সম্প্রদায়ের একজন এত উদার ব্যক্তি পেয়ে বেশ গর্ব অনুভব করলো। তারা সেই ইহুদীর সকল কথাই বিশ্বাস করলো।
যদিও সে মাসালিক সম্প্রদায়ের ছদ্মবেশে ছিল একজন ইহুদী। কিন’ খাদ্যশস্যের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়াতে সে সহজেই সবার কাছে বিশ্বস্ত হতে পেরেছিল।
> আপনি জানেন কি, সৌদি আরব আদৌ কোন ইসলামী প্রজাতন্ত্র নয় ? ইসলামে নিষিদ্ধ রাজতন্ত্র দ্বারা দেশটি পরিচালিত ? যে রাজতন্ত্র নিশ্চিহ্ন করার জন্যে নবীজীর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরন করেছিলেন।
> নবীজীর দেয়া নাম আল-হিজাজ’ নামটি পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সৌদ পরিবার পুরো দেশের নাম তাদের পরিবারের নামে নামকরণ করেছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ ?
৩। আপনি জানেন কি, পবিত্র মক্কা ও মদীনার অবস্থান হওয়ার কারনে এ দেশটি পুরো মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারতো ? কেবল সৌদ পরিবারের ক্ষমতার লোভের কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না ?
> জানেন কি, সৌদি বাদশারা নিজেদেরকে দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম পরিচয় দিয়ে তাদের ইসলামী চরিত্র জাহির করার চেষ্টা করলেও, প্রকৃতপক্ষে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের খাদেম ? লক্ষ লক্ষ অসহায় ফিলিস্তীনি ইসরাইলের দ্বারা নির্যাতিত, ধর্ষিত ও লাঞ্চিত হলেও সৌদি রাজতন্ত্র এদের বিরুদ্ধে টু শব্দটিও করেন না ?
> পবিত্র মাটিতে এরা ইহুদি নাসারা মার্কিণ সৈন্যদের ঘাঁটি করার অনুমতি দিয়েছে ?
> জানেন কি, সৌদি রাজ পরিবার বংশানুক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের তাবেদারী করে আসছে ?
> ইসলামের কিছু বিধি নিষেধ এখানে কঠোরভাবে কার্যকর করা হলেও ইসলামের মুল ভিত্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে ? জানেন কি, রাজতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র ইসলামে হারাম, হারাম এবং একেবারেই হারাম ?
> সৌদি রাজতন্ত্রকে সর্বোতোভাবে রক্ষার লক্ষ্যে সৌদি শরীয়া কাউন্সিল ও গ্রান্ড মুফতিরা নিরলসভাবে রাজতন্ত্রের খেদমত করে যাচ্ছেন ? সম্প্রতি তারা ফতোয়া দিয়েছেন, মিশরের হোসনী মোবারকের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা ইসলামের দুষমন।
আন্দোলন, বিক্ষোভ ইসলামে নাকি নিষিদ্ধ। ইসলামকে নিজেদের স্বার্থে কোথায় নামিয়ে এনেছেন খেয়াল করেছেন ?
৯। জানেন কি, সৌদি আরব মুসলমানদের শত্রু ইসরাইলের বিরুদ্ধে কখনো একটি কথা না বললেও বাহরাইনে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মুসলমানদের বিরুদ্ধে দ্রুত সৈন্য পাঠিয়েছে ? এসব সেনারা বাহরাইনে ’গুয়ান্তনামো বে’ কারাগারের স্টাইলে মুসলমানদের নির্যাতন চালাচ্ছে ? এসব সেনাদের এ অমানবিক ট্রেনিং দিয়েছে খোদ বৃটেন ?
১০। পবিত্র কাবায় হজ্বের সময় সব ধরনের হত্যা আল্লাহপাক আল কোরানেই নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহপাক এটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসাবে ঘোষনা করেছেন।
জানেন কি, আল্লাহর সেই চরম আদেশকেও সৌদি রাজ পরিবার লঙ্ঘন করেছে ? ১৯৮৭ সালে হজ্ব মৌসমে ৩০০-রও বেশী হাজীকে মিছিল করার অপরাধে গুলি করে হত্যা করে সৌদি পুলিশ ? এতে মদদ এবং সাহস দিয়েছে মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্র ? উদ্দেশ্য ছিল ইসলামী বিপ্লবের ঢেউ যাতে সেদেশে লাগতে না পারে।
১১। জানেন কি, সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট বুশকে বারংবার অনুরোধ করেছেন ইরানের পরমানু চুল্লী গুড়িয়ে দিতে
যারা হাজীদের পানি সরবরাহ করে এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করে, তোমরা কি তাদেরকে সে সব লোকদের সমজ্ঞান কর, যারা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান আনে এবং আল্লাহর পথে জ্বেহাদ করে ? আল্লাহর নিকট তারা সমতুল্য নয়। আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। (৯ ঃ ১৯)
মোটকথা যেটুকু তাদের পক্ষে তারা ততটুকু ইসলাম মানে এরা নরমের যম শক্তের ভক্ত।
কিচুদিন আগে এক ব্রিটিশ কানাডিয়ান খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তখন এই সৈর শাসকরা মাফও চায় মুক্তিও দেয় তখন কোথায় ছিল আইন আজ বালের সরকার আমাদেরকে সৌদি আইনের দোহাই দিয়ে এ হত্যাকান্ড বৈধ করতে চাচ্ছে। ভারতীয় নাগরিকদের কোন সাজা হয় না। কিন্তু বালের সরকার কেন এমন চুক্তি করতে পারল না।
হা ওরা যদি অপরাধীও হয় ওদের বিচার আমরা করব। কিন্তু ওরা কেন আমাদেরকে মেরে ফেলবে? যদিও দুইটা ধাপ বাকী থাকতে ওরা বাংগালীদের মেরে ফেলেছে।
আরও দুইটা ধাপ চালাতে আরও খরচ লাগবে। এমন কি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নাকি ওই লোকদের জানানো হয়নি তাদের আইনি সহায়তা লাগবে কিনা, তাদের কি শাস্তি হতে যাচ্ছে। সীমান্তের ভারতীয়রা কুত্তার মত মারে, সৌদিতে ছাগলের মত মারল, সোনাবরুরা না খেয়ে মরে, রাজনীতিবিদরা অসন্তুষ্টিতে মারে,গরু ছাগল চেনা ড্রাইভাররা রাস্তায় মারে । হায় বাঙালি তোদের মারতে মারতে শেষ , আর কত মরবি ??
এক বুরহান উদ্দিন গৌড় গবিন্দের পতন ঘটিয়েছিলেন। তিতুমীর বাশের কেল্লা নিয়ে লড়াই করেছেন ।
৫২ ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদরা জীবন দিয়েছেন। ৭১ এ ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন তবুও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে নি বাঙ্গালীরা, ৯০ সৈরাচার পতন, ৯৪ এর তসলিমা বিরোধী আন্দোলন, ৯৬ এর অসহযোগ, ২০০০ এর ব্রাহ্মণ বাড়ীয়া, ২০০৭ এর কানসার্ট আজ বিলিভ ইট অর নট এর কোন কাহিনী মনে হচ্ছে। ১৬ কোটি বাঙ্গালী আজ রর্াব পুলিশের ভয়ে ভীত । কিন্তু বেশী না অন্তত একশ লোকও কি নেই যার সৌদি দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ করবে?
সব দোষ ওই ডিজিটাল বাংলাদেশের যে আমাদের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর থামিয়ে দিয়েছে, স্বাধীনতার পর একটা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছিল ভাত দে হারামজাদ নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাব । গত ৯৬ এর বালের শাসনের সময় পুলিশের হাতে এক রুবেল হত্যাকান্ড নিয়ে কি তুলপাড় হয়ে ছিল অথচ আজ হাজার হাজার মানুষ পুলিশের হাতে মরতেছে।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১৬ বিএসএফ খতম হয়েছিল গত বালের শাসনে কিন্তু আজ সীমান্ত বাংলাদেশী হত্যা করে খোদ ঢাকায় এসে ওরা বলে আমরা নাকি মারা যাই। বাঙ্গালীরা চাইলে অনেক কিচু করতে পারে সুভাষ বসু, ক্ষুদিরাম আমাদের করে দেখিয়েছেন। কিন্তু আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে আজ ৮ টা তাজা প্রাণ বিনা বিচারে ঝরে গেল। আমরা ব্লগে ব্লগে হা হুতাশ করা ছাড়া কিচুই করার নাই।
আজকে বাংগালীরা চাইলে সৌদি দূতাবাস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে পারত, কিন্তু আজ আমরা বিড়ালের জাতি সরি বিড়াল না ইদূর ।
সূত্র: কোরান, বোখারি, মুসলিম, তাফসিরে ইবনে কাছির, তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, তাফসিরে মাজহারি এবং দৈনিক যুগান্তর ও অন্যান্য পত্রিকাগুলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।