অস্তিত্বের মাঝে অস্তিত্বহীন একজন গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল মেডিকেল কলেজ এর ভর্তি পরীক্ষা । তো যথারীতি কোন প্রস্তুতি ছাড়া চলেগেলাম পরীক্ষা দিতে। প্রস্তুতি ছাড়া যাওয়ার কারন, মেডিকেল এ ২ বছর পড়ে পরীক্ষা দিলেও chance পাওয়া দুষ্কর । তারউপর, ডাক্তারি পড়তে গেলে সব ঝাড়া মুখস্ত করতে হয়। যার কারনে ভুল করে মেডিকেল এ টিকে গেলেও ও পথে পা বাড়ানোর সাহস আমার নেই।
কারন, অনেক আগেই মুখস্থ বিদ্যাকে বিসর্জন দিয়েছিলাম।
এখন দয়া করে ভাববেন না যে, আমি বুঝে পড়ি বলে মুখস্ত করিনা। আসল কারন, আমি মস্ত বড় ফাঁকিবাজ। আমি খেয়াল করেছিলাম যে, পরীক্ষার খাতা দেখার সময় বা পড়া ধরার সময় স্যারেরা পুরোপুরি দেখেনা বা শোনেনা। যার কারনে আমি কোন কিছুর সারসংক্ষেপ জেনে নিয়ে নিজের ইচ্ছামত বানিয়ে বলে দিতাম।
আর প্রতিক্ষেত্রে পার পেয়ে যেতাম।
তো আমি মেডিকেলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম মূলত প্রশ্ন দেখার জন্য । এর সাথে পুরনো বন্ধদের সাথে দেখা করা ও ছিল উদ্দেশ্য ।
পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পর মজাই পেলাম । চারিদিকে উদ্বিগ্নমুখ।
এর মাঝে আমি মোটামুটি হাসিমুখ নিয়েই কেন্দ্রে প্রবেশ করলাম। যেহেতু পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু আগে রুমের গেট খুলে দিবে সেহেতু আশে পাশে দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে নিজেকে একজন ঐ কেন্দ্রের কর্মচারী হিসেবে আবিষ্কার করলাম!!! সব মেয়েরা দেখি আমাকেই জিজ্ঞেস করে তাদের রুমটা কোনদিকে!!!! আরে বাবা সামনে তো সিট প্ল্যান দেওয়াই আছে, দেখে নিলেই তো পারিস!!!! তা ও যদি না পারিস তাইলে গেট এ যারা দাঁড়ায়ে আসে তাদের জিজ্ঞেস করতে পারিস না!!! । আমি আসি অ জায়গায় দাঁড়াইয়া, আমারে জিগাস ক্যান??????
পরে বুঝলাম বেশি পইড়া এদের মাথা গেসে গুলায়া।
যথারীতি পরীক্ষা শুরু হল।
প্রশ্ন মনে হইল সোজাই হইসে
মোটামুটি জানাগুলার উত্তর দেওয়ার পর হিসাব করে দেখলাম, এই সোজা প্রশ্নে ওয়েটিং লিস্টের দূর সীমান্তেও জায়গা হবেনা
তো পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে সব উত্তর দেওয়া শুরু করলাম । মনে আশা, কোপটা যদি লেগেই যায় তবে ভালই ভাব মারা যাবে
পরীক্ষা শেষে মনে হইল সব উত্তর দিয়ে ভালই করসি কারন, সবার হাসি মুখ দেখা যাইতেসে ।
তো যথারীতি ফলাফল বের হল । ফলাফল দেখে নিজেরেই একটা গদাম দিতে মন চাইল। আর সব রাগ গিয়ে পড়লো তথাকথিত ভাল স্টুডেন্টসদের উপর।
বেটা তোরা না বাইর হইয়া লাফাইলি, প্রশ্ন সোজা হইসে কইয়া??
তাইলে নম্বর এতো কম পাইলি ক্যা???
তোগো জন্য আমার এখন সারাজীবন আফসোস করা লাগব ক্যান উল্টাপাল্টা উত্তর দিয়া আইসি .... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।