কারও মনের গভীরে যদি লুক্কায়িত থাকে পাক্-স্তান জিন্দাবাদ, তবে সেই লুকানো চিজটা সময় সুযোগ বুঝে ঠিকই দাঁত কেলিয়ে বেরিয়ে পড়ে। পাক্-প্রেমীদের ক্রীড়াসক্তি, ক্রিকেট-ভক্তি দেখে কেমন যেন কোষ্ঠকাঠিণ্যের উদ্রেক হয়, গা গুলিয়ে আসে। একপাল লেখক যখনই হাতে কালিযুক্ত কাঠিটি (কলম) তুলে নেয়, তখনই পাক্-জমিনের স্তব-গীত ধ্বনিত হওয়া শুরু হয়। ২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো-র স্টেডিয়াম-এ প্রকাশিত বিশিষ্ট্য ক্রীড়া সাঙবাদিক, বুদ্ধির ঢেঁকি ও বুদ্ধিজীবির ছেড়া ল্যাঙট – উৎপল শুভ্র-র কড়চা “অহেতুক বিতর্ক” পড়ে বিস্মিত হতে হতেও হলামনা, মনে পড়ল ঐ ছেড়া ল্যাঙট-টার অতীত রেকর্ড। ছেড়া ল্যাঙটের স্বপ্ন ভূমিটার বিরূদ্ধে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের জয়ের পর ছেড়া ল্যাঙট-টা লিখে বসল- শচীনের ইনিঙ্স ও বিড়ালের নয় জীবন। এই যার লেখনী, সে তো “অহেতুক বিতর্ক”- টাইপ কদাকার কলাম ছাড়া আর কিছু পয়দা করতে পারবেনা! ছেড়া ল্যাঙট-টা শোয়েব আকতারের আত্মজীবনী “কন্ট্রোভার্সিয়ালি ইয়োর্স্” বইটি না পরেই নাকি বুঝে ফেলেছে, শোয়েব “অকপটে” ওটাতে সত্যি কথা বলেছে। ছেড়া ল্যাঙটের মনে আসলে অনেক জ্বালা, যার ঝাল মিটাতে সে ও তার গুষ্টির অন্তর্গত অচিজ গুলা গণমাধ্যম ব্যবহার করে। শচীন ভালো ফিনিশার না, শচীন “বিশ্বমানের”(ছেড়া ল্যাঙটের ভাষায়) শোয়েব আকতারের বল খেলার সময় কাঁপত, আউট না হয়েও শোয়েব-এর ভয়েই মাঠ থেকে পালিয়েছিল, কোনমতেই লারার চেয়ে শচীন ভলোনা… শচীনের বিরুদ্ধে ছেড়া ল্যাঙট- উৎপল শুভ্র-র কত শত অভিযোগ! ছেড়া ল্যাঙট আরও লিখল, “প্রতীকী অর্থে ভারতের ‘ক্রিকেট-ঈশ্বর’ লিখতে লিখতে শচীন টেন্ডুলকার কি সত্যিই ‘ঈশ্বর’ হয়ে গেলেন যে তার বিরুদ্ধে কিছু বলা বা লেখা যাবেনা?” না, ছেড়া ল্যাঙট, আপনি যত খুশি বলতে ও লিখতে থাকুন; আপনি ঘোষণা দিয়ে দিন, টেন্ডুলকার-এর দ্বিগুণ রান-সেন্চুরি আপনি আপনার কানি আঙুল দিয়েই করতে পারবেন!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।