মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে... বিশেষ কিছু ঘটেনি আজকের দিনটায় তাও টুকরো টুকরো কিছু মুহূর্ত লিখে রাখতে ইচ্ছে করছে।
গ্রুফ স্ট্যাডি করবার জন্য আজ ইউনি যাচ্ছিলাম। হেঁটে সাবওয়ে যাবার পথে দেখি এক মা শপিং কার্ট ঠেলে আসছে আমার উল্টোদিক থেকে। পেছনে তার পিচ্চি গুটি গুটি পা ফেলে আসছে।
হয়তো নতুন হাঁটা শিখছে। দেখলাম পিচ্চিও একটা শপিং কার্ট ঠেলছে। কিন্তু তারটা খেলনার। ভেতরে দেখলাম খাবারও আছে। নুডলসের প্যাকেট মনে হল।
এমন মিষ্টি একটা দৃশ্য। পাশ দিয়ে যেই যাচ্ছে সবাই পিচ্চিটার দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছে।
ট্রেনের এক ঘন্টা সময় কাটানোর জন্য চোখ বুজে হেডফোনে গান শোনছিলাম। কিছু পরে চোখ খুলে দেখি সামনে স্ট্রলারে বাবা মায়ের সাথে আরেকটা পিচ্চি। এত এত কিউট।
মায়ের হাত থেকে কলা খাচ্ছিল। স্ট্রলারটায় এমন যে পিচ্চি কলা খেতে খেতে রাজা বাদশাহদের মত করে পায়ের উপর পা তুলে দিল। এত আদুরে হয় এই পিচ্চিগুলো।
ইউনিতে যে জন্য গিয়েছিলাম তার সবটুকু অবশ্য ভালোয় ভালোয় হল। পড়া এবং একটা গ্রুফ এসাইনমেন্ট শেষ করা।
যার সাথে বসে করছিলাম তার কথা কিছু বলি এইবার। সে চাইনীজ ছেলে বুঝার উপায় নেই কিন্তু এত জিনিয়াস। সে তার গ্যামিং কন্ট্রোলার প্রোগ্রামিং করে ম্যাকবুকের মাউস হিসেবে ব্যাবহার করে ভাবা যায়! গ্রাজুয়েট লেভেলের ক্লাস নিচ্ছে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করাকালীন। তার স্বপ্ন ইমেজ প্রসেসিং নিয়ে কাজ করা। জিপিএ ৩.৯২, ৪ এ।
তাও সে নাখোশ। সে বলছিল কিভাবে বায়োলজী ক্লাসে এক্সাম পদ্ধতি না বুঝার ফলে B+ পেল। আর আমি মনে মনে ভাবছিলাম ভাগ্যিস সে আমার জিপিএ জানে না। তার ইচ্ছে MIT তে মাষ্টার্স এর জন্য ভর্তি হয়ে Artificial Intelligence নিয়ে কাজ করা।
...
রবীন্দ্রসঙ্গীত পেজটায় একটা কমেন্ট দেখে মুখজুড়ে হাসি চলে এল, একজন লিখছে - "ohhh ...obviously this is a damn positive site of FB...go on ...gooooo" - এমন করে তাড়িফ শুনলে কার না ভালো লাগে।
আমারও লাগে
বাসায় ফিরে দেখি আম্মু পোলাও আর মুরগীর রোস্ট রেঁধেছে। ছোটভাই প্রথম চেষ্টাতেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে বলেই বোধহয়। মাঝে মাঝে এমন মোঘলাই ভোজ দিনটাকে অন্যরকম একটা আমেজ দিয়ে মোড়ে দেয়। এই যেমন আজ আমার।
কোরিয়ান একটা মুভি দেখছিলাম কাল।
নাম Fair Love। এমন ইন্টারেষ্টিং একটা বিষয় তুলে ধরেছে। একটা দৃশ্যের কথা বলি, এক ভাতিজা তার চাচাকে বলছে, সে একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছে, যাকে সে কোনভাবেই বলতে পারছে না তার ভালোলাগার কথা। এক সময় কেমন করে যেন মেয়েটা ছেলেটার উপর দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে, তার জন্য খাবার নিয়ে আসতে থাকে। ছেলেটা তেমনি একটা অবসরে মেয়েটাকে তার মনের কথা বলে।
তো ভাতিজা চাচাকে বলছিল, "যেই মুহূর্তে আমি মুখ দিয়ে কথাটা বের করলাম, ঠিক তখনি আমার মনে হচ্ছিল I didn't really mean it"। শুনেই এমন হাসি পেল। মুভিটার কন্সেপ্টটা অবশ্য বেশ লাগলো। কি করে দুটো মানুষ কাছাকাছি হতে হতেও কেমন করে শেষ পর্যন্ত মিলতে পারে না।
সহব্লগার এক ভায়ার কল্যাণে ফাইরুজের গানের সাথে পরিচয় হলাম কাল।
নীচে দিলাম ঘাঁটতে ঘাঁটতে পাওয়া পছন্দের একটা গান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।