আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আটপৌরে কথন ৩

মনের জানালায় দাঁড়িয়ে ভাবনাগুলোর মিলিয়ে যাওয়া দেখি। গুচ্ছ গুচ্ছ মেঘ হয়ে, ঐ দূর দিগন্ত পানে... সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রাধিকার চিঠি পেলাম একটা। আজ অনেকদিন বাদে। পড়ে উঠে নিজের মনের সাথে তর্ক করছিলাম এই ভেবে যে, অনুভূতিটাকে ঠিক কি ভাবে ব্যক্ত করা যায়। : নতুন কিছু উপমা চাই, যেটি হবে একেবারে সতেজ তরতাজা, ঠিক আজকের সকালটার মতোন।

: কেন "খুশী লাগছে" বললেই তো হয়! : উহুঁ সব ক্ষেত্রে হয় না। কিছু কিছু কথা আছে যেগুলো রূপকে না বললে একেবারে পানসে মনে হয়। মনে হয় একেবারে সাধাসিধে। হঠাৎ মনে হচ্ছে যেন আমার শব্দের ভান্ডারে ঠান পড়েছে। :=( : পুরাতন লেখাগুলো থেকে একটা ধার করলেই হয় : সে কথা যে একেবারেই মাথায় আসেনি তা নয়।

কিন্তু কেমন অস্বস্তি হচ্ছে ভেতরটায়। ভাবছিলাম কবি ঠাকুর অমন শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে উপমার উদ্ভব করেছেন কোথা থেকে। তাও এক লেখায় উল্লেখ করা কোন উপমা উনাকে অন্য কোন লেখায় ব্যবহার করতে দেখিনি। শেষের কবিতায় অমিতের বলা একটা লাইন মনে পড়ছে, "পূর্বের লেখা থেকে চুরি করে হয়ে পরে পূর্বের লেখার Receivers of stolen property" :=( কাল রাতে পুরাতন লেখাগুলো গুছাতে যেয়ে নিজের একটা মন্তব্যে চোখ আটকে গিয়েছিল। ভাবছি সেটিকেই একটু ঘুরিয়ে লিখলে কেমন হয়।

হবে যদি চুরি হয় তো। হাজার হোক নিজের লেখা তো। আমি তো আর কবি ঠাকুর নয় যে কথায় কথায় উপমার ফুলঝুড়ি ঝড়াবো। ... চিঠিটা যেন শরতের মেঘের মত, মিষ্টি সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ার মতো হয়ে এল। এত ভালো লাগছিল চিঠিটা পেয়ে।

ইচ্ছে করছিল তখনি উত্তর লিখতে বসি। পরে মনে হল থাক। রয়ে সয়ে দিয়। চিঠি পাওয়ার আমেজটা আরো কিছুক্ষন না হয় নিলাম। আর্শ্চয্যের বিষয় হচ্ছে এই সেদিনই আমি উনার কথা মনে ভাবছিলাম।

কেমন অদ্ভুত লাগে এই কাকতালীয় ব্যাপারগুলো আমার কাছে। এদ্দিন কোন খবর নেই, হঠাৎ-ই বা কেন আমার উনার কথা মনে পড়বে আর কেনই বা তার ক-দিন বাদেই চিঠি পাবো। অবাক করার মতোন। সবচে আনন্দ লাগে চিঠির ইতিতে নামটা দেখে, "রাধিকা"। দেখলেই মুখে হাসি চলে আসে।

অমিত লাবণ্যকে যেমন বলে, "বেসরকারী নাম" এই নামটাও তেমনি। যাক সে কথা। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার বরাবরি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনা হয়। আজও শুনছিলাম একটা। চিঠিটা পড়তে পড়তে।

অদিতি মহসিনের কন্ঠে। চিঠির প্রেরকের সাথে মনে হল গানের কথাগুলো বেশ যায়। মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে । । ভেবেছিলেম ঘরে রব, কোথাও যাব না– ওই-যে বাহিরে বাজিল বাঁশি, বলো কী করি ।

। শুনেছি কোন্‌ কুঞ্জবনে যমুনাতীরে সাঁঝের বেলা বাজে বাঁশি ধীর সমীরে– ওগো তোরা জানিস যদি আমায় পথ বলে দে । । দেখি গে তার মুখের হাসি, তারে ফুলের মালা পরিয়ে আসি, তারে বলে আসি ‘তোমার বাঁশি আমার প্রাণে বেজেছে’ । ।

... আরেকটি আনন্দের সংবাদ যোগ করতে লেখাটা এডিট করতে হচ্ছে। "সৃজনে" আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ সকাল ভায়া কে । দারুণ ভালো লাগছে অত সব নামীদামী লেখকদের মাঝে নিজের নিকটা দেখে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।