উইকিলিকস থেকে রফিকুল ইসলাম ॥-----
শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়াকে মর্যাদার সঙ্গে রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা উভয়ই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর পরই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের এ ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে গ্রেফতারের পর রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন তৎকালীন ডিজিএফআইর সন্ত্রাস দমন বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন। তিনি স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শেখ হাসিনার ছেলে জয় বিৰোভ মিছিলের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের উদ্যোগী করতে পারে। তারবার্তায় বলা হয়েছে, গ্রেফতারের ঘটনায় বিৰোভ মিছিল যাতে না হতে পারে সে জন্য দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন।
২০০৭ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো মার্কিন দূতাবাসের তারবার্তায় শেখ হাসিনার গ্রেফতার নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনের অভিমত তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বে সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস গত ৩০ আগস্ট এই তারবার্তাটি ফাঁস করেন। ১৭ জুলাই সেনাবাহিনীর এই সিনিয়র কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স গীতা পাসির সঙ্গে দেখা করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা একটি চাঁদাবাজির মামলার কথা তুলে ধরেন। আরও অভিযোগ আনার হবে বলে তিনি জানান। জেনারেল আমিন বলেছেন, বেগম জিয়াকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
গ্রেফতারের পর রাজনীতির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। আমিন বলেছেন, প্রধান দুইটি দলের মধ্যে চলমান বিশৃঙ্খলা থেকে জামায়াতে ইসলামী কোন সুবিধা পাবে না। তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাস প্রায় পুরোটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্রিগেডিয়ার আমিন সরকারের দুর্নীতি দমন কার্যক্রমের প্রতি মার্কিন সরকারের অব্যাহত সমর্থন কামনা করছেন। মার্কিন তারবার্তায় বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স, দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাশে, আঞ্চলিক বিষয়ক কর্মকর্তা, মিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চীফের সঙ্গে সাৰাত করে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার এবং গ্রেফতার পরবর্তী পরিস্থিতি অবহিত করেন।
ডিজিএফআইর কর্মকর্তা বলেছেন, খালেদাকে যে গ্রেফতার করা হবে তা খালেদা নিজেও জানেন এবং সে ভাবে তাঁর প্রস্তুতিও রয়েছে। আমিন বলেছেন, বেগম জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়া অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে রাজনীতির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আগস্টের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বরে তুলে দেয়া হবে বলে জানাচ্ছেন এই সামরিক কর্মকার্তা। সরকার শীঘ্রই ছাত্র রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে_ উলেস্নখ করে বলেছেন, ছাত্র রাজনীতিকে সংঘাতের উৎস হিসেবে অবিহিত করে একে নির্মূল করা হবে বলে জানিয়েছেন। তবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের ব্যাপারে কিছু নেতিবাচক দিকের কথাও তিনি উলেস্নখ করেন।
বড় দু'টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলার ফায়দা জামায়াতে ইসলামী নেবে কিনা-এ রকম একটি প্রশ্নের জবাবে আমিন বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে জামায়াতে ইসলামী উলেস্নখযোগ কোন সুবিধা নিতে পারবে না। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী নিজেদের একক প্রচেষ্টায় নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। দুর্নীতি দমন অভিযানে জামায়াত নেতাদের বেশিরভাগই ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে কি না_ এ প্রসঙ্গে জেনারেল আমিন বলেছেন, ওদের মধ্যে দুর্নীতির সে রকম অভিযোগ নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।