নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!
সবার পেটে সব খাবার সয়না। সবার গলায় সব গান মানায় না। সব খেলোয়াড় ই সব খেলায় ভালো হয় না। সুরে সুর মিলিয়ে বলা যায় 'রাজনীতি'র সাথে বিএনপি যায়না। কেননা, 'এ বড় দুস্টচক্র, বড়ই জটিল!' বহু আগেই বলে গেছেন সুলেখক মীর মশাররফ হোসেন।
এবং তা বালক বালিকাদেরকে ৯ম শ্রেনীতেই পড়ানো হয়।
খালেদা জিয়া ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত যে পড়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। (নিন্দুকেরা প্রশ্ন তোলে 'তিনি এস এস সি পাশ করেছেন কিনা। ) তবু যে বারবার কেন তিনি রাজনীতি করতে নামেন!
যে অর্থে আওয়ামীলীগ, জামাত, কংগ্রেস, মুসলীমলীগ রাজনৈতিক দল, সে অর্থে বিএনপি অবশ্যই রাজনৈতিক দল নয়। তবু খালেদা জিয়া বারে বারে খুজতে থাকেন 'খাটিঁ বিএনপি'।
আর দলটা ভারি থেকে ভারিতর হয় বিলুপ্ত বাম, ভাত না পাওয়া আওয়াম, তলে তলে জামাত, মৌসুমি ব্যবসায়ী ইত্যাদিদের মিছিলে।
বিএনপি একটি রাজনৈতিক ক্লাব।
বিএনপি অখ্যাত মানুষের নীরব রাজনৈতিক বটবৃক্ষ।
বিএনপি নাম স্বাক্ষর করতে না পারা লক্ষ কোটি গ্রাম্য বধু, মা বা বৃদ্ধা দাদী নানীর র অ-ব্যখ্যাত রাজনৈতিক আশ্রয়স্থল।
রাজনীতি নামক শব্দটা এদেশে ভয় ও আতংকের নাম।
ছেলে একাদশ শ্রেনীতে পা দিতেই জনক জননীর হুশিয়াঁরি 'বাবা আর যাই কর রাজনীতি করোনা। ছেলে রাজনীতি করে শুনলে পিছিয়ে যায় কনের বাবা। রাজনীতি শব্দের মিশ্রন ব্যক্তিকে করে তুলছে আতংকের আধারঁ। ব্যাংকার নি:শব্দে এড়িয়ে চলে রাজনীতি সংশ্লিস্ট ঋন প্রস্তাব। তেমনি ভয়ার্ত রাজনীতি থেকে বাচতে হা-ভাতে মানুষ ভোট দেয় বিএনপি-কে!
সুতরাং বিএনপির রাজনীতি একেবারেই সোজা।
তা-হল কোনোরূপ রাজনীতি না করা। তা হোক মানুষ নিয়ে, জনপ্রশাসন নিয়ে, বিচারালয় নিয়ে বা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে।
তাতেই লাখো মানুষের মিছিল প্রলম্বিত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।