একদিন এক সিদ্ধপুরুষের সাথে দেখা হল। সিদ্ধপুরুষ বলছি কেননা তিনি নিজে হয়ত তাই ভাবেন তার পেছনে জুটে গেছে একদল ভক্ত সাগরেদ; তাদের সদা ব্যস্ততা তাঁর সেবায়, প্রশংসায়। আমি যাচ্ছিলাম রাস্তা বরাবর সামনে কি আছে তার রহস্য কাজ করছিল বোধে; পথটা মসৃণ ছিল না অন্তত যতদূর হেঁটে এসছি আর যতদূর চোখ যায়। তাঁর দেখা পাবার সময়ে মনে হল যাক, এই কন্টকাকীর্ণ পথে কেবল আমিই নিভৃত একা অতিক্রমকারী নই; আর অন্য যে সাগরেদরা সষ্টাঙ্গে রোজ রোজ সিদ্ধপুরুষের পূজো করে যাচ্ছে সেই তাঁরাও এ পথের পথিক ছিল একদিন। আমার সাথে তিনি কি কথা বললেন তা তেমন মনে নেই তবে আমি সেখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে চাই নি। তৎক্ষণাৎ বুঝে নিয়েছি তার কি অভিপ্রায় আর সাগরেদের সীমাবদ্ধতা। আমার মত অনেকেই পথের পর পথ হেঁটে যায় কেবল রহস্য উন্মোচন করবার ইচ্ছা আর বোধে একধরনের আকর্ষন, কী আছে সুদূর পথের ওপারে। কিন্তু মাঝ পথের নৈরাশ্য আর হতাশা তাদের আশাহানি ঘটায়, থামিয়ে দেয় রক্তের উষ্ণতা; রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে কিন্তু শীতল হয়ে যাওয়া প্রানের গতি নিয়ে তখন সিদ্ধপুরষ-আশ্রয়ী না হয়ে আর কোন পথ থাকে না! আর সিদ্ধপুরুষ, সেও হয়ত অনেক আগের তরুণ কোন পথিক যার ছিল রহস্য উন্মোচনের, সীমালঙ্ঘনের আকাঙ্খা হয়ত একদিন। আমার দৃষ্টি চলে গেলো পথের দিকে আহ কী অনন্ত, অনন্তের পথ!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।