মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন করারই সুযোগ দেয়নি বিএনপি। বরাবরের মতো এবারও মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই দলটির।
আজ বুধবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণার সামান্য পর রিজভী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।
বক্তব্য শেষে সাংবাদিকেরা রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রিজভী বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে দলের একটি বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
এরপর এখন আর কিছু নেই। থাকলে পরে জানানো হবে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের আর কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি।
এর আগে রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতের চার নেতার বিরুদ্ধে দেওয়া রায় নিয়েও চুপ ছিল বিএনপি। প্রতিবারই বলা হয়েছিল, পরে দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি দলটি।
জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ আবদুল আলিমের বিরুদ্ধেও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালতে মামলা চলছে।
রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ প্রায় সব দলই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কিন্তু শুরু থেকেই এ বিষয়ে চুপ থেকেছে প্রধান বিরোধী দল। মুজাহিদের বিরুদ্ধে রায়ের পরও দলটির কোনো নেতা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা: গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফির বক্তব্য ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ‘কুরুচিপূর্ণ, নিম্নরুচির বক্তব্য’। সংঘাতের রাজনীতি স্থায়ী করা এবং ইচ্ছা করে অকার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজে। প্রধানমন্ত্রীর দাম্ভিকতা, বিরোধী দলকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয়, বরেণ্য ব্যক্তিদের অপমান করা এবং অব্যাহত খুন, গুম, হত্যার কারণে আওয়ামী লীগ হেরেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।