মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চট্টগ্রামে হিন্দু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক নিধনে অংশ নেয়া এবং নির্যাতন কেন্দ্র চালানোর অপরাধে তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীই প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাংসদ থাকা অবস্থায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডাদেশ পেলেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগের মধ্যে নয়টি ঘটনায় সাকা চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হলেও দুই ঘণ্টারও বেশি সময়ে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিএনপির পক্ষ থেকে।
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে বেলা ৩টার দিকে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “ইতোমধ্যে আইনজীবীরা রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
দলীয় প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দপ্তরে আসেনি। আসলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। ”
এছাড়া স্থায়ী কমিটির সাতজন নেতার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিবেদক।
তাদের সবাই প্রতিক্রিয়া জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
দলের নীতিনির্ধারণী কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রাত ৯টায় খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে আসবেন।
তখন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে কার্যালয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, এই রায়ে তারা মর্মাহত হয়েছেন। ট্রাইবুনালের বিচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হয়নি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ঘোষণার কারণে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রধান ফটকের কাছাকাছি দেখা গেছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে দুলাল নামে একজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। তবে তার দলীয় পরিচয় জানা যায়নি।
এদিন পুলিশের অবস্থানের কারণে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। রায় ঘোষণার পরপরই নয়া পল্টনে সড়কে যান চলাচল কমে যায়।
এর আগে সকাল ১১ টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। কিছুক্ষণ নিজের চেম্বারে সময় কাটিয়ে তিনি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান।
এ সময় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।